ঢাকা ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

নাসা’র বিরুদ্ধে ব্লু অরিজিনের মামলা টিকলো না আদালতে

  • আপডেট সময় : ১০:৩২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : নতুন চন্দ্রযান নির্মাণ চুক্তি স্পেসএক্স জিতে নেওয়ায় মার্কিন আদালতে মামলা করেছিল অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। সেই মামলা প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন ফেডারেল আদালত।
নতুন চন্দ্রযান নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নিলাম ডেকেছিল নাসা। নিলামে সবচেয়ে কম খরচের পরিকল্পনা দিয়ে দুইশ’ ৯০ কোটি ডলারের চুক্তি জিতে নিয়েছিল স্পেসএক্স। প্রাথমিকভাবে চন্দ্রযান নির্মাণের লক্ষ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়ার কথা ছিল নাসার। তহবিল ঘাটতির কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানের বদলে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেমে আসে একটিতে। আর এতেই খেপেছিলেন ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।

ব্লু অরিজিনের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছিল ১৬ অগাস্ট। সরকারপক্ষের আইনজীবিরা মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। সরকারপক্ষের সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন ওয়াশিংটনের ‘কোর্ট অফ ফেডারেল ক্লেইমস’ এর বিচারক রিচার্ড হার্টলিং। তবে মামলা খারিজ করার পেছনে বিচারকের কারণগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত নথি হিসেবে প্রকাশ করা হয়নি। মামলার অনেক বিষয়ই গোপন রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মামলা খারিজ হওয়ায় প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস টুইট করেছেন, “এই সিদ্ধান্ত আমরা চাইনি। কিন্তু আদালতের সুবিচারের উপর শ্রদ্ধা আছে আমাদের। চুক্তি নিয়ে নাসা ও স্পেসএক্সের পূর্ণ সাফল্য কামনা করছি আমরা।”
ব্লু অরিজিনের মামলা খারিজ হওয়ার পর নাসা বলছে, “যতো দ্রুত সম্ভব স্পেসএক্সের সঙ্গে পুনরায় কাজ শুরু” করবে তারা। “প্রতিযোগিতা ও চাঁদের বুকে ক্রুবাহী বাহন পাঠানোর বাণিজ্যিক প্রস্তুতি জোরদার করতে” একাধিক মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে নাসা। ১ নভেম্বর থেকে নতুন চন্দ্রযানের নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ রেখেছিল নাসা। মামলা নিস্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে একমত হয়েছিল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিস (জিএও)”-এ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল ব্লু অরিজিন। সেবারও নাসার পক্ষ নিয়েছিল জিএও। জিএও-তে ব্যর্থতার পরে মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা করেন বেজোস। মামলা কর্মকা-ে অংশ নিতে হাজির হয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্স কা-ারী ইলন মাস্কও।
১৯৭২ সালের পর আর চাঁদের বুকে পা পড়েনি কোনো মানুষের। ‘আর্টেমিস” প্রকল্পের মাধ্যমে আবার চাঁদে ফেরার পরিকল্পনা করেছে নাসা। এ লক্ষ্য অর্জনে নভোচারীদের চাঁদে পৌঁছে দিতে সক্ষম নতুন মহাকাশযান নির্মাণের চুক্তি নিয়ে চলছিলো এই আইনি লড়াই। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ফেডারেল আদালত ব্লু অরিজিনের মামলা খারিজ করার পর নাসা বলছে, “আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাঁদে দীর্ঘস্থায়ী মানব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য নাসার সঙ্গে জোট বাঁধার আরও সুযোগ সামনে আসবে।” এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি স্পেসএক্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাসা’র বিরুদ্ধে ব্লু অরিজিনের মামলা টিকলো না আদালতে

আপডেট সময় : ১০:৩২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : নতুন চন্দ্রযান নির্মাণ চুক্তি স্পেসএক্স জিতে নেওয়ায় মার্কিন আদালতে মামলা করেছিল অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন। সেই মামলা প্রত্যাখ্যান করেছে মার্কিন ফেডারেল আদালত।
নতুন চন্দ্রযান নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নিলাম ডেকেছিল নাসা। নিলামে সবচেয়ে কম খরচের পরিকল্পনা দিয়ে দুইশ’ ৯০ কোটি ডলারের চুক্তি জিতে নিয়েছিল স্পেসএক্স। প্রাথমিকভাবে চন্দ্রযান নির্মাণের লক্ষ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়ার কথা ছিল নাসার। তহবিল ঘাটতির কারণে দুটি প্রতিষ্ঠানের বদলে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নেমে আসে একটিতে। আর এতেই খেপেছিলেন ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস।

ব্লু অরিজিনের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছিল ১৬ অগাস্ট। সরকারপক্ষের আইনজীবিরা মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। সরকারপক্ষের সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন ওয়াশিংটনের ‘কোর্ট অফ ফেডারেল ক্লেইমস’ এর বিচারক রিচার্ড হার্টলিং। তবে মামলা খারিজ করার পেছনে বিচারকের কারণগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত নথি হিসেবে প্রকাশ করা হয়নি। মামলার অনেক বিষয়ই গোপন রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মামলা খারিজ হওয়ায় প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস টুইট করেছেন, “এই সিদ্ধান্ত আমরা চাইনি। কিন্তু আদালতের সুবিচারের উপর শ্রদ্ধা আছে আমাদের। চুক্তি নিয়ে নাসা ও স্পেসএক্সের পূর্ণ সাফল্য কামনা করছি আমরা।”
ব্লু অরিজিনের মামলা খারিজ হওয়ার পর নাসা বলছে, “যতো দ্রুত সম্ভব স্পেসএক্সের সঙ্গে পুনরায় কাজ শুরু” করবে তারা। “প্রতিযোগিতা ও চাঁদের বুকে ক্রুবাহী বাহন পাঠানোর বাণিজ্যিক প্রস্তুতি জোরদার করতে” একাধিক মার্কিন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে নাসা। ১ নভেম্বর থেকে নতুন চন্দ্রযানের নির্মাণ প্রকল্প বন্ধ রেখেছিল নাসা। মামলা নিস্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে একমত হয়েছিল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিস (জিএও)”-এ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল ব্লু অরিজিন। সেবারও নাসার পক্ষ নিয়েছিল জিএও। জিএও-তে ব্যর্থতার পরে মার্কিন ফেডারেল আদালতে মামলা করেন বেজোস। মামলা কর্মকা-ে অংশ নিতে হাজির হয়েছিলেন টেসলা ও স্পেসএক্স কা-ারী ইলন মাস্কও।
১৯৭২ সালের পর আর চাঁদের বুকে পা পড়েনি কোনো মানুষের। ‘আর্টেমিস” প্রকল্পের মাধ্যমে আবার চাঁদে ফেরার পরিকল্পনা করেছে নাসা। এ লক্ষ্য অর্জনে নভোচারীদের চাঁদে পৌঁছে দিতে সক্ষম নতুন মহাকাশযান নির্মাণের চুক্তি নিয়ে চলছিলো এই আইনি লড়াই। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন ফেডারেল আদালত ব্লু অরিজিনের মামলা খারিজ করার পর নাসা বলছে, “আর্টেমিস প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাঁদে দীর্ঘস্থায়ী মানব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য নাসার সঙ্গে জোট বাঁধার আরও সুযোগ সামনে আসবে।” এ প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি স্পেসএক্স।