ঢাকা ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাসার নজরুল ও তার পরিবারের ৫২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার-ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার, স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরসহ মোট ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সালাহউদ্দিনের আবেদনে আদালত এ আদেশ দেয় বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার সময় থেকে এ পর্যন্ত বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। এসব অর্থ তারা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় সেগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ও অন্যদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচার’ ও ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। গত ১ জানুয়ারি তিনি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মত ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। নজরুল ইসলাম মজুমদারও ওই সময় থেকে আর প্রকাশ্যে আসেননি। খবর রটেছিল বিদেশ চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যাংক খাতে আলোচিত নজরুল ইসলাম।

যদিও গত ১ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত যুবক ইমন হোসেন গাজী হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।

ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।

এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।

ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট এক্সিম ব্যাংক ও বিএবির চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

ব্যাংক থেকে নানা সময় চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

নাসার নজরুল ও তার পরিবারের ৫২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদার, স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরসহ মোট ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সালাহউদ্দিনের আবেদনে আদালত এ আদেশ দেয় বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, তাদের ব্যাংক হিসাব খোলার সময় থেকে এ পর্যন্ত বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। এসব অর্থ তারা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় সেগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ও অন্যদের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচার’ ও ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। গত ১ জানুয়ারি তিনি ও তার স্ত্রী-সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মত ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। নজরুল ইসলাম মজুমদারও ওই সময় থেকে আর প্রকাশ্যে আসেননি। খবর রটেছিল বিদেশ চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ব্যাংক খাতে আলোচিত নজরুল ইসলাম।

যদিও গত ১ অক্টোবর ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত যুবক ইমন হোসেন গাজী হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে হেফাজতে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ।

ক্ষমতার পালাবদলে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।

এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।

ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট এক্সিম ব্যাংক ও বিএবির চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

ব্যাংক থেকে নানা সময় চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।