ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাসার নজরুলের ৭৮১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলা দায়েরের তথ্য দিয়েছেন।

নজরুল ইসলাম মজুমদার এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, বলেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিজ নামে ঢাকার গুলশান এভিনিউ রোডে ১৪ তলা ভবন, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় তিনতলা ভবন, নিউ ডিওএইচএস-এর লেক রোড-১৮ এ দোতলা বাড়ি, নিউ ডিওএইচএস-এর ১৮ নম্বর রোডে চারতলা বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ রয়েছে, যার মূল্য ৫৩২ কোটি ৮৭ লাখ।

তার নামে এক্সিম ব্যাংকের ৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং নাসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। সব মিলিয়ে নজরুল ইসলাম মজুমদারের অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ৫৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে নাসা গ্রুপের কর্ণধারের ১ হাজার ১৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া গেছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম মজুমদারের দায়-দেনা ২৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। দায়-দেনা বাদ দিয়ে তার নিট সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৮৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

২০০৫-০৬ করবর্ষে তার নিট সম্পদের মূল্য ছিল ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০০৫-০৬ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত নজরুল ইসলাম মজুমদারের গ্রহণযোগ্য মোট আয় ৪২২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এ সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ, পারিবারিক খরচসহ তার অন্যান্য ব্যয় ছিল ৩৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং বৈধ উৎস থেকে সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

এ হিসাব অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম মজুমদারের ‘জ্ঞাত আয়ের’ বাইরে অর্জিত সম্পদের মূল্য ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকা, যা তিনি নিজের দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন।

এই পদে থেকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের’ সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে ২০০১-০২ করবর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ঘটনাকাল তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ সময়ে নজরুল ইসলামের এই ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে যাচাই করা হবে।

ক্ষমতার পালাবদলের পর গত বছরের ২ অক্টোবর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে রাজধানীর গুলশানে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

তার আগে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।

এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।

ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

এর আগে ২৫ আগস্ট এক্সিম ব্যাংক ও বিএবির চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

ব্যাংক থেকে নানা সময় চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।

নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরসহ মোট ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে গত ৪ ফেব্রুয়ারি।

এছাড়া পোশাক রপ্তানির আড়ালে ‘মানিলন্ডারিং’এর মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাসার নজরুলের ৭৮১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত’ ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলা দায়েরের তথ্য দিয়েছেন।

নজরুল ইসলাম মজুমদার এক্সিম ব্যাংক ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, বলেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিজ নামে ঢাকার গুলশান এভিনিউ রোডে ১৪ তলা ভবন, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় তিনতলা ভবন, নিউ ডিওএইচএস-এর লেক রোড-১৮ এ দোতলা বাড়ি, নিউ ডিওএইচএস-এর ১৮ নম্বর রোডে চারতলা বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ রয়েছে, যার মূল্য ৫৩২ কোটি ৮৭ লাখ।

তার নামে এক্সিম ব্যাংকের ৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার এবং নাসা গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার রয়েছে। সব মিলিয়ে নজরুল ইসলাম মজুমদারের অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ৫৯৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে নাসা গ্রুপের কর্ণধারের ১ হাজার ১৩২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া গেছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম মজুমদারের দায়-দেনা ২৯৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। দায়-দেনা বাদ দিয়ে তার নিট সম্পদের মূল্য দাঁড়ায় ৮৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

২০০৫-০৬ করবর্ষে তার নিট সম্পদের মূল্য ছিল ১৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০০৫-০৬ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত নজরুল ইসলাম মজুমদারের গ্রহণযোগ্য মোট আয় ৪২২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

এ সময়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধ, পারিবারিক খরচসহ তার অন্যান্য ব্যয় ছিল ৩৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং বৈধ উৎস থেকে সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

এ হিসাব অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম মজুমদারের ‘জ্ঞাত আয়ের’ বাইরে অর্জিত সম্পদের মূল্য ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকা, যা তিনি নিজের দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন।

এই পদে থেকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের’ সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে ২০০১-০২ করবর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ঘটনাকাল তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ সময়ে নজরুল ইসলামের এই ‘অবৈধ’ সম্পদ অর্জনে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা তদন্ত করে যাচাই করা হবে।

ক্ষমতার পালাবদলের পর গত বছরের ২ অক্টোবর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে রাজধানীর গুলশানে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

তার আগে ব্যাংক খাতে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে গত ২৯ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকে তাকে বাদ দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বিএবির নেতৃত্বও হারান তিনি।

এর মাধ্যমে ১৭ বছর পর নজরুল ইসলামের বলয় থেকে বের হল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটির পর্ষদ।

ব্যাংক খাতের আলোচিত নাম নজরুল ইসলাম ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

তিনি ২০০৯ সাল থেকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।

বিএবি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকার সময় বেসরকারি ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।

এর আগে ২৫ আগস্ট এক্সিম ব্যাংক ও বিএবির চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী নাছরিন ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ।

ব্যাংক থেকে নানা সময় চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বাড়ানো ও নীতি পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার অভিযোগও রয়েছে।

নজরুল ইসলাম মজুমদার, তার স্ত্রী নাসরীন ইসলাম, মেয়ে আনিকা ইসলাম, ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানেরসহ মোট ৫২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে গত ৪ ফেব্রুয়ারি।

এছাড়া পোশাক রপ্তানির আড়ালে ‘মানিলন্ডারিং’এর মাধ্যমে প্রায় ৩০ লাখ ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।