প্রত্যাশা ডেস্ক : ‘আর্টেমিস ১’ অভিযানের জন্য চতুর্থ ‘ওয়েট ড্রেস রিহার্সাল’ শুরু করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংশের মেরামত করে নাসার পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশ উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার জ্বালানী পরীক্ষার জন্য রকেটটি এরইমধ্যে নির্ধারিত লঞ্চপ্যাডে এসে ভিড়েছে।
নাসার নতুন ড্রেস রিহার্সালের কথা উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে। মহাকাশ বিষয়ক সাইট স্পেসডটকম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘কেনেডি স্পেস সেন্টার’ থেকে আর্টেমিস ১-এর ওয়েট ড্রেস রিহার্সালটি শুরু হয়েছে ১৮ জুন শনিবার, পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৫ টায়।
ড্রেস রিহার্সাল শুরুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রযুক্তিবিদরা রকেটের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ‘ক্রাইয়োজনিক ফিউয়েল’ লোডের চেষ্টা করবেন। কোনো বাধা না আসলে সোমবার সকাল থেকে রকেটে ‘প্রপেল্যান্ট’ লোডের চেষ্টা করবেন তারা। পরীক্ষা সফল হলে ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নাসার ‘আর্টেমিস-১’ অভিযান শুরু হতে পারে। ঐতিহাসিক ৩৯বি লঞ্চ প্যাডে ‘এসএসএল’ রকেটের দ্বিতীয় যাত্রা হবে এটি। প্রাথমিকভাবে, ১ এপ্রিল প্রথম ড্রেস রিহার্সালের পর নাসা তাদের দ্বিতীয় জ্বালানী পরীক্ষাটি চালায় ১৪ এপ্রিলে। তবে, সংস্থাটি রকেটের মোবাইল লঞ্চ টাওয়ারে ‘হাইড্রোজেন লিক’ খুঁজে পাওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই পরীক্ষা। এর পরপরই ‘এসএলএস’ রকেটটি মেরামতের জন্য কেনেডি স্পেস সেন্টারের ‘ভেহিকল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং’-এ ফেরত পাঠায় নাসা। পাশাপাশি, রকেটের সক্ষমতা পূরণ করতে এর মধ্যে নাইট্রোজেন সরবরাহ শুরু করে সংস্থাটি। ওয়েট ড্রেস রিহার্সালটি শেষ হলে আর্টেমিস ১ অভিযান নিয়ে সামনের দিকে এগোতে পারবে নাসা। এই অভিযানে মানববিহীন একটি অরিয়ন ক্যাপসুল চাঁদে পাঠাতে পারে সংস্থাটি। পরের দুটি আর্টেমিস অভিযানে অবশ্য নভোচারী থাকতে পারে, যেটি ২০২৫ বা ২০২৬ সাল নাগাদ চাঁদে অবতরণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসার আর্টেমিস ১-এর চতুর্থ ‘ড্রেস রিহার্সাল’ শুরু
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ