ঢাকা ১১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

নাশকতার মামলায় কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক

  • আপডেট সময় : ০২:২৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইশরাকের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি ইশরাক উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করায় আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
ইশরাকের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল থানার মামলায় ঢাকার আদালত ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পরোয়ানা পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত ইশরাকের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় নাশকতার মামলা করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত চলমান।
মুক্তি চাইলেন মির্জা ফখরুল : বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বুধবার দুপুরে মতিঝিল থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বুধবার মতিঝিল এলাকায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। গত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীও ছিলেন তিনি। আমি এ গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলির মতো একটি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারে আবারো প্রমাণিত হলো এ সরকার চরম জুলুমবাজ সরকার। ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়ণের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। চারিদিকে দুর্ভিক্ষের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানী, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে, আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বিভৎস বিকৃত রুপ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফখরুল বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইশরাক হোসেন একজন প্রতিবাদী বলিষ্ঠ তরুণ নেতা, তার সাহসী ভূমিকায় সরকার ভীত, তাই তিনি আওয়ামী প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার হলেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

নাশকতার মামলায় কারাগারে বিএনপি নেতা ইশরাক

আপডেট সময় : ০২:২৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইশরাকের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি ইশরাক উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁকে নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করায় আদালত তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
ইশরাকের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল থানার মামলায় ঢাকার আদালত ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের পরোয়ানা পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালত ইশরাকের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহারের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ইশরাকসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় নাশকতার মামলা করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত চলমান।
মুক্তি চাইলেন মির্জা ফখরুল : বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বুধবার দুপুরে মতিঝিল থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বুধবার মতিঝিল এলাকায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। গত নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীও ছিলেন তিনি। আমি এ গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলির মতো একটি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারে আবারো প্রমাণিত হলো এ সরকার চরম জুলুমবাজ সরকার। ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়ণের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। চারিদিকে দুর্ভিক্ষের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানী, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে, আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বিভৎস বিকৃত রুপ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। ফখরুল বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ইশরাক হোসেন একজন প্রতিবাদী বলিষ্ঠ তরুণ নেতা, তার সাহসী ভূমিকায় সরকার ভীত, তাই তিনি আওয়ামী প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার হলেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।