ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

নারী ক্ষমতায়নে দেশের চিত্র জাতিসংঘে তুলে ধরেছেন প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাতিসংঘে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সর্বোত্তম অনুশীলনের কথা তুলে ধরেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) জাতিসংঘে মন্ত্রী পর্যায়ের এক গোলটেবিল বৈঠকে এ চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতিমালা ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অভিযাত্রা শুরু করেন। এই নতুন অভিযানের আওতায় প্রযুক্তির সমর্থনে পরিচালিত হবে বাংলাদেশের সব অর্থনৈতিক কর্মকা-। ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশের এই প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারীরা নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার সমান সুযোগ পাবে, যা তাদেরকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন যে, সারা দেশে প্রায় ৫০০০ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে অর্ধেকেরও বেশি নারী কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যান্য উত্তম অনুশীলনের উদাহরণও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামনে তুলে ধরেন।
ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করেছে। সরকারের এই লক্ষমাত্রার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এসব লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা ও অংশীদারিত্ব কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকের ৮০ শতাংশের বেশি নারী যারা মোবাইলের মাধ্যমে তাদের মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। বর্তমান সরকার আরেকটি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রকল্প ইনফো লেডি চালু করেছে যার মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১০.২৫ মিলিয়ন গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। ইন্দিরা বলেন, তাছাড়া নারীদের সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য ‘জয়’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে এবং দুটি সার্বক্ষণিক হটলাইন সার্ভিস ১০৯ এবং ৯৯৯ প্রবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকের আগে প্রতিমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করেন। স্থায়ী মিশন জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা। কমিশনের ৬৭তম চলতি অধিবেশন সোমবার শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারী ক্ষমতায়নে দেশের চিত্র জাতিসংঘে তুলে ধরেছেন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : জাতিসংঘে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সর্বোত্তম অনুশীলনের কথা তুলে ধরেছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) জাতিসংঘে মন্ত্রী পর্যায়ের এক গোলটেবিল বৈঠকে এ চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রযুক্তির ব্যবহারসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতিমালা ও উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অভিযাত্রা শুরু করেন। এই নতুন অভিযানের আওতায় প্রযুক্তির সমর্থনে পরিচালিত হবে বাংলাদেশের সব অর্থনৈতিক কর্মকা-। ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশের এই প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নারীরা নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার সমান সুযোগ পাবে, যা তাদেরকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা করবে। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন যে, সারা দেশে প্রায় ৫০০০ ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে অর্ধেকেরও বেশি নারী কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্যান্য উত্তম অনুশীলনের উদাহরণও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামনে তুলে ধরেন।
ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করেছে। সরকারের এই লক্ষমাত্রার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এসব লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা ও অংশীদারিত্ব কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত শ্রমিকের ৮০ শতাংশের বেশি নারী যারা মোবাইলের মাধ্যমে তাদের মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। বর্তমান সরকার আরেকটি প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রকল্প ইনফো লেডি চালু করেছে যার মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় ১০.২৫ মিলিয়ন গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। ইন্দিরা বলেন, তাছাড়া নারীদের সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য ‘জয়’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে এবং দুটি সার্বক্ষণিক হটলাইন সার্ভিস ১০৯ এবং ৯৯৯ প্রবর্তন করা হয়েছে। মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকের আগে প্রতিমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করেন। স্থায়ী মিশন জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চলমান কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেনের ৬৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা। কমিশনের ৬৭তম চলতি অধিবেশন সোমবার শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে।