এক পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে সারা দেশে নারী শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৪ হাজার ২৪টি মামলা হয়েছে। আর শুধু গত মাসেই ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫৪টি। এই ফিগার বলছে নির্মমতা বাড়ছে।
গত কয়েকদিনে ঘটনায় ধরা যাক। গাজীপুরের টঙ্গীতে মালিহা আক্তার (৬) ও মো. আবদুল্লাহ (৪) নামের দুই শিশু ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঘরে ঢুকে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূর হাত পা বেঁধে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। রাজশাহীর বোয়ালিয়ায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বাবাকে ইট দিয়ে মাথায় থেঁতলে হত্যা করা হয়। রাজধানীর মিরপুরে গাড়ির গ্যারেজে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে এক শিশুকে হত্যা করা হয়।
কেন ঘটছে এমন নৃশংসতা? এর প্রতিকারই বা কী? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী বলেন, ‘মানুষ দুইভাগে মানসিক সমস্যায় ভোগেন। একটি জন্মগত, অপরটি পরিবেশগত। বর্তমানে যে বিষয়গুলো ঘটছে তা পরিবেশগতভাবে ঘটছে। নিজ সন্তানকে বা প্রতিবেশীদের হত্যার ঘটনা সাম্ভাবিকভাবে নেওয়া ঠিক নয়। জেদের বশে হত্যা, পূর্বশত্রুতায় প্রতিবেশীকে হত্যা, নির্যাতনের পরে হত্যা, বিকৃতভাবে হত্যা করা এগুলো কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ নয়। মানসিক সমস্যা হওয়ায় রাগ বা জেদ কন্ট্রোলে রাখতে পারছে না বলেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাই এই ধরনের ঘটনার জন্য শাস্তির পাশাপাশি মানসিক চিকিৎসাও প্রয়োজন বলে মনে করেন এই মনোবিজ্ঞানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন বা হত্যা ক্রমানুসারে বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবহেলার কারণে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বাড়ে। অপরাধের পরে আসামি গ্রেপ্তার হলেও পরবর্তীতে ওই অপরাধীরা আবার ভুক্তভোগীকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন। অনেকে ভয়ে এ ধরনের অপরাধে আইনি সহযোগিতাও নেন না। তবে নিজ সন্তান, বড় ভাই ছোট ভাইকে বা প্রতিবেশীকে হত্যার কারণও ভিন্ন ভিন্ন। তাই এ ধরনের হত্যাকারীদের শাস্তির পাশাপাশি তাদের পারিপার্শ্বিক শিক্ষা এবং ভুক্তভোগীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এই সমাজবিজ্ঞানী।
শুধু শিশু মালিহা, আবদুল্লাহ বা আবু বকর নয়; দেশে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর বাইরে হয়তো আরও বেশি নির্যাতন বা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। কেউ কেউ থানায় এসে অভিযোগ দিলেও এর সংখ্যা খুবই কম। ক্ষমতার অপব্যবহার ও আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণহীনতার কারণে বাড়ে এমন নৃশংসতা। এক সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্যাতন বা উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে এমন হত্যাযজ্ঞ চালাত। এই চিত্র আবারও বাড়ছে কি না এ নিয়ে চিন্তিত সমাজ বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, বছরে সারা দেশে প্রায় ২০ হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়। মাসে গড়ে দেড় হাজার মামলা হয়, যা প্রতিদিন ৫০টির অধিক। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় চলতি বছরের তিন মাসে সারা দেশে ৪ হাজার ৯২৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মার্চ মাসে ২ হাজার ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৪৩০টি ও জানুয়ারিতে ১ হাজার ৪৪০টি মামলা হয়। এর আগে ২০২৪ সালে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৭১টি। ২০২৩ সালে ১৮ হাজার ৯৪১টি ও ২০২২ সালে ২১ হাজার ৭৬৬টি মামলা হয়েছে। এর বাইরেও হাজার হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানায় পুলিশ সদর দপ্তর।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, যাদের অবস্থান একটু ভালো বা যারা কথা বলার মতো অবস্থায় থাকেন শুধু তারাই মামলার জন্য আগ্রহী হন। বাকি কেউ অভিযোগও দেন না। বর্তমানে এমন নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটলে পুলিশ দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, কোনো হত্যা বা নির্যাতনই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধীকে অপরাধ হিসেবেই দেখে পুলিশ। পারিবারিক বা কোনো ক্ষোভ থেকে নিজ সন্তানকেও হত্যা করা হলে সেটাও গুরুত্বর অপরাধ। এক্ষেত্রে কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
টঙ্গীতে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা: টঙ্গীতে দুই ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মালিহা আক্তার ও মো. আবদুল্লাহর বাবার নাম আবদুল বাতেন মিয়া। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার তাতুয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে টঙ্গী আরিচপুর জামাইবাজার এলাকার সেতু ভিলা নামের আটতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তারা। ওই ফ্ল্যাটটির মেঝেতে পাশাপাশি দুই শিশুর মরদেহ পড়ে ছিল। গলা, বুক, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে গেছে। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাবা বাইরে ছিলেন আর মা তার নিজ রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাসায় ঢুকে তাদের দুই সন্তানকে হত্যা করে যাবে কেউ জানবেও না বিষয়টি রহস্যজনক। মা-বাবার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা রয়েছে, যে কারণে তাদের দু’জনকেই প্রথমে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে গতকাল শনিবার মৃত ভাই বোনের বাবা বাতেন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করলে মা সালেহা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রবিবার তাকে আদালতে নেওয়া হবে। এ ছাড়া এই দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ছিলেন নানার বাড়িতে। তা না হলে তাকেও হত্যা করা হতো বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গৃহবধূকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ: গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঘরে ঢুকে ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূর হাত পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আলমারি ভেঙে নগদ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও জমি সংক্রান্ত দলিলপত্র লুট করে নিয়ে যায় ধর্ষকরা। সেই সঙ্গে মাথার চুলও কেটে নিয়ে যায়। জমিসংক্রান্ত বিরোধের প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় মামলা হলে ইমাম হোসেনকে (২৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, এ বিষয়ে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ২ জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলাটিকে এফ আই আর হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পরে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুন: রাজশাহী নগরীতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বাবাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বলেন, স্থানীয় কয়েক বখাটে যুবক আমার বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তারা ফোন করে আজেবাজে গালি দিত। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার প্রতিবাদ করা হয়। একপর্যায়ে উত্ত্যক্তকারীরা বাড়িতে এসে আমাদের হুমকি দেয়। পরে বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে সেই বখাটের দল বাবার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ইট দিয়ে আঘাত করে বাবার মাথা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জনায়, গ্রেপ্তাররা হলেন- নান্টু (২৮) ও খোকন মিয়া (২৮)। মামলার এক নম্বর আসামি নান্টু ও তিন নম্বর আসামি খোকন। তারা এই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানায়।
বড় ভাইয়ের সঙ্গে গ্যারেজে গিয়ে শিশুর নির্মম মৃত্যু: গত মঙ্গলাবার (১৫ এপ্রিল) গাড়ির গ্যারেজে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে আবু বকর নামে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। পল্লবীর বাউনিয়াবাদ এলাকার রাতুল ও সুজন খান নামের দুই ব্যক্তির যৌথ মালিকানাধীন গ্যারেজে এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই গ্যারেজে কাজ করেন মৃত আবু বকরের বড় ভাই মো. জিয়াদ। ছোট ভাইকে নিয়ে সে গ্যারেজে গেলে সেখানে আরও কয়েকজন কিশোর ওইখানে ছিল। শিশুটির বড় ভাই জিয়াদকে চা আনতে পাঠায় গ্যারেজ মালিক। চা নিয়ে এসে রাজু দেখতে পায় তার ছোট ভাইয়ের পেট ফুলে আছে, পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ছোট ভাই অচেতন। ওই অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়। এই নৃশংস হত্যার ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করা হয়। ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হলে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে কিশোর হওয়ায় তাকে সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার মাধ্যমে শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে কুপিয়ে জখম: গত ১৫ মার্চ পটুয়াখালী সদর এলাকায় ছোট বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বড় ভাই ইজাজ আহমদ তুনাককে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আহত ইজাজ আহমদ তুনাক বলেন, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার বোন বিদ্যালয়ে ও প্রাইভেটে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন জামাল হোসেন মিন্টু চেয়ারম্যানের ভাগনে রুম্মান। উত্ত্যক্তর বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ৭-৮ বখাটে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে সারা দিন ঘোরাফেরা করে, উচ্চৈশব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজাতে থাকে এবং অনেক খারাপ খারাপ মন্তব্যও করে। পরে সন্ধ্যায় নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে আমার ওপরে অতর্কিত হামলা করে ওরা। চেয়ারম্যানের সামনেই ব্যাপক মারধর করে। তিনি আরও বলেন, বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করাই আমার অপরাধ হয়েছে? এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে পাঠানোর হুমকি-ধমকিও দিচ্ছে চেয়ারম্যানের লোকেরা। এ ঘটনায় বড়বিঘাই ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টু (৪০) ও তার ভাগ্নে রুম্মানের (১৯) নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘মামলার পরই ওই চেয়ারম্যান ও তার ভাগ্নে পালাতক ছিল। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।’ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্যাতন করেছে এলাকাবাসীকে উল্লেখ করে স্থানীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা: গত বছরে ১০ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নীরব হোসেন (১৭) নামের দশম শ্রেণির এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে লৌহজং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী ছিল। তখন নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেছিলেন, বিদ্যালয়ের এক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সমর্থকরা ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে ইভটিজিং করছিল। নীরব এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে তার ওপরে হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনাটি থানা-পুলিশের সহায়তায় পূর্ববিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নীরব হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই ছাত্রলীগ সমর্থকদের বাঁচিয়ে নিয়েছিল বলেও জানা গেছে।