ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নারী-ইয়াবা কারবারে দম্পতিসহ ছয়জন

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন: রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নারী ও ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগে এক দম্পতিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সৌরভ ইসলাম, তাসনিয়া বেলা, সাকিব আহম্মেদ, তার স্ত্রী চৈতি, সামিনা আলম নীলা ও মানসিব হায়াত। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ডিবি মতিঝিল বিভাগ গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নারী সরবরাহের সঙ্গে ইয়াবাও সরবরাহ করত। ঢাকায় ভুয়া পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তারা। গ্রেপ্তারকৃত চৈতি ও সাকিব স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাগুলো দেখভাল করত। কাউকে সেসব বাসায় নিয়ে গেলে আত্মীয়র ভুয়া পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হত। ডিবি প্রধান বলেন, নীলা অভিজাত হোটেল ও বাসা-বাড়িতে প্রায় ৬ হাজারের মতো নারী সরবরাহ করেছে। সে নারীদের ছবি দেখিয়ে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তারকৃত সাকিব ভিজাত এলাকায় চলাফেরা করত। নিজেকে সচিবের ছেলে পরিচয় দিত সে। তার গাড়িতে পতাকা ছিল, সঙ্গে থাকতো বডিগার্ড। কিন্তু আদতে তার বাবা লেখাপড়াই জানে না- বলেন হারুন। ডিবি প্রধান জানান, সাকিব আহম্মদ সোনালী নামে একটি মেয়ের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তদন্তে এসবের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, সমাজের গণ্যমান্য বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তাদের তারা নারী সরবরাহ করত বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। তারা বলেছে, অনেক জায়গায় অসংখ্য নারী সাপ্লাই দিয়েছে। এর মধ্যে আদৌ কেউ বিদেশে পাচার হয়েছে কি-না তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া, কেউ যখন তাদের নির্ধারিত বাসায় যেত- তখন সহযোগিরা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে মাসের পর মাস ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা আদায় করত। পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও আমরা পেয়েছি।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারী-ইয়াবা কারবারে দম্পতিসহ ছয়জন

আপডেট সময় : ১২:৫২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

মহানগর প্রতিবেদন: রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নারী ও ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগে এক দম্পতিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সৌরভ ইসলাম, তাসনিয়া বেলা, সাকিব আহম্মেদ, তার স্ত্রী চৈতি, সামিনা আলম নীলা ও মানসিব হায়াত। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ডিবি মতিঝিল বিভাগ গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে নারী সরবরাহের সঙ্গে ইয়াবাও সরবরাহ করত। ঢাকায় ভুয়া পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তারা। গ্রেপ্তারকৃত চৈতি ও সাকিব স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাগুলো দেখভাল করত। কাউকে সেসব বাসায় নিয়ে গেলে আত্মীয়র ভুয়া পরিচয়ে নিয়ে যাওয়া হত। ডিবি প্রধান বলেন, নীলা অভিজাত হোটেল ও বাসা-বাড়িতে প্রায় ৬ হাজারের মতো নারী সরবরাহ করেছে। সে নারীদের ছবি দেখিয়ে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তারকৃত সাকিব ভিজাত এলাকায় চলাফেরা করত। নিজেকে সচিবের ছেলে পরিচয় দিত সে। তার গাড়িতে পতাকা ছিল, সঙ্গে থাকতো বডিগার্ড। কিন্তু আদতে তার বাবা লেখাপড়াই জানে না- বলেন হারুন। ডিবি প্রধান জানান, সাকিব আহম্মদ সোনালী নামে একটি মেয়ের কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তদন্তে এসবের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, সমাজের গণ্যমান্য বিভিন্ন পেশার কর্মকর্তাদের তারা নারী সরবরাহ করত বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। তারা বলেছে, অনেক জায়গায় অসংখ্য নারী সাপ্লাই দিয়েছে। এর মধ্যে আদৌ কেউ বিদেশে পাচার হয়েছে কি-না তদন্ত করে দেখা হবে। এছাড়া, কেউ যখন তাদের নির্ধারিত বাসায় যেত- তখন সহযোগিরা তাদের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করে মাসের পর মাস ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা আদায় করত। পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও আমরা পেয়েছি।