ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দণ্ডবিধি আইন

  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নারী ও শিশু প্রতিবেদন: দেশের সব নারী ও শিশুর জন্য দণ্ডবিধি আইন তৈরি করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনজীবীর মাধ্যমে বা সরাসরি আদালতে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া পুলিশ ও আইন কর্মকর্তার (মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা) মাধ্যমেও মামলা করতে পারেন। পুলিশ ও আইন কর্মকর্তা সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবেন।
চলতি বছরের গত আট মাসে দেশে ১ হাজার ৬১১ জন নারী ও কন্যাশিশু বা কিশোরী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দেওয়া তথ্যে। এই কয়েক মাসের মধ্যে নারী ও কিশোরীদের ওপরে বেশি নির্যাতন-সহিংসতা ঘটেছে জুনে। গত জুলাই ও আগস্টে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২৫৫ ও ১৪৭ হলেও জুনে ওই সংখ্যা ছিল ২৯৭। এই নির্যাতিত নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হয়েছে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার।
খোলামেলা আলোচনা: নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে না কমছে, সেটা বলা মুশকিল। কেননা এই সহিংসতা বরাবরই ছিল। এখন হয়তো তার খবর আমরা বেশি পাচ্ছি সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে। নারীর প্রতি সহিংসতার পেছনে প্রধানত চারটি কারণের কথা বলা হয়: (ক) সহিংসতার ঘটনাগুলোর সঠিক এবং দ্রুত বিচার না হওয়া; (খ) সমাজে নারী-পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্যের প্রতি সাধারণ মানুষের মৌন সম্মতি; (গ) দোষী ব্যক্তিদের নিজেদের জীবনে নির্যাতনের শিকার হওয়া, বিশেষ করে শৈশবকালে এবং (ঘ) নির্যাতনকারীর বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালসহ বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ভুক্তভোগী নারী বা শিশুর বিচার পেতে অনেক সময় লেগে যায়। এছাড়া বিচার প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজানো থাকে, যাতে প্রতি ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে অনেকে বিচার পেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে নির্যাতনকারী কী মনোভাব পোষণ করে, সেটা তার সহিংস আচরণের পেছনে ভূমিকা রাখে। যে মানুষ মনে করে, ‘স্বামীর পর্যাপ্ত আয় থাকলে স্ত্রীর চাকরি করার প্রয়োজন নেই’, তার সঙ্গী যদি চাকরি করতে চায়, তখন দ্বন্দ্ব অবধারিত। এই দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে পুরুষের লালিত সেই মনোভাব নারীকে শারীরিক ও মানসিক আঘাত করার সাহস দেয়। গবেষণায় বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি একটা সমর্থনের আভাস পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের অংশগ্রহণমূলক একটি গবেষণায় আমরা একটি সাধারণ ব্যাপার লক্ষ করেছি। তারা সবাই শৈশবকালে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাটিয়েছে। অর্থনৈতিক বঞ্চনা, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন, পিতা-মাতার মধ্যে কলহ, মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তাদের শৈশবকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
শৈশবের নেতিবাচক অবস্থা একজন ব্যক্তির বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচকভাবে প্রভাব রাখতে পারে, যা তার এখন নির্যাতনকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ব্যক্তি (সাম্প্রতিক এ রকম ঘটনার) ভয়াবহ নির্যাতনকারী হয়ে উঠতে পারে। তাদের মধ্যে একাকিত্ববোধ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, যোগাযোগের দক্ষতায় ঘাটতি, অবিশ্বাস ইত্যাদি বিষয় ভীষণভাবে দেখা যায়।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমমনা নারী ও পুরুষের দীর্ঘমেয়াদি রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পাশাপাশি আমরা সমাজে নারী-পুরুষকে কীভাবে দেখছি এবং দেখতে চাই, সেটা নিয়ে বিস্তর এবং খোলামেলা আলোচনা হওয়া দরকার। এসব আলোচনায় বিদ্যমান সব শ্রেণি, পেশা ও মতের মানুষের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি।
আইনে দণ্ডের বিধান: সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা তার সাহায্যকারী প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে আদালত মামলাকারীর পক্ষে সুরক্ষা আদেশ দিতে পারেন। মামলাকারী চাইলে স্বেচ্ছায় সুরক্ষা আদেশের জন্য প্রার্থনা করে আদালতে আবেদনও করতে পারেন। প্রতিপক্ষ এই আদেশের শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ভোগ করতে হবে। তা ছাড়া এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে ২ বছরের কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে আমাদের আইনে।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা) আইনের ১৬ ধারায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী চাইলে আদালতে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির মাধ্যমে আদালত ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হবে, সেগুলো হলো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আঘাত, শারীরিক-মানসিক ভোগান্তি, ক্ষতির প্রকৃতি ও পরিমাণ, ক্ষতির জন্য চিকিৎসা খরচ, ক্ষতির প্রভাব, ক্ষতির কারণে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উপার্জনের ওপর প্রভাব, নির্যাতনের ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির ধ্বংসকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জীবনযাপন এবং সে রকম জীবনযাপনের ব্যবস্থা ও ভরণপোষণ। তা ছাড়া আদালত কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আলাদা বাসা ভাড়া করে দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষকে আদেশ দিতে পারেন বা প্রতিপক্ষকে তার বাসা থেকে সাময়িকভাবে উচ্ছেদের আদেশও দিতে পারেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দণ্ডবিধি আইন

আপডেট সময় : ১১:৪৭:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারী ও শিশু প্রতিবেদন: দেশের সব নারী ও শিশুর জন্য দণ্ডবিধি আইন তৈরি করা হয়েছে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আইনজীবীর মাধ্যমে বা সরাসরি আদালতে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া পুলিশ ও আইন কর্মকর্তার (মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা) মাধ্যমেও মামলা করতে পারেন। পুলিশ ও আইন কর্মকর্তা সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবেন।
চলতি বছরের গত আট মাসে দেশে ১ হাজার ৬১১ জন নারী ও কন্যাশিশু বা কিশোরী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দেওয়া তথ্যে। এই কয়েক মাসের মধ্যে নারী ও কিশোরীদের ওপরে বেশি নির্যাতন-সহিংসতা ঘটেছে জুনে। গত জুলাই ও আগস্টে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২৫৫ ও ১৪৭ হলেও জুনে ওই সংখ্যা ছিল ২৯৭। এই নির্যাতিত নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হয়েছে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার।
খোলামেলা আলোচনা: নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে না কমছে, সেটা বলা মুশকিল। কেননা এই সহিংসতা বরাবরই ছিল। এখন হয়তো তার খবর আমরা বেশি পাচ্ছি সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে। নারীর প্রতি সহিংসতার পেছনে প্রধানত চারটি কারণের কথা বলা হয়: (ক) সহিংসতার ঘটনাগুলোর সঠিক এবং দ্রুত বিচার না হওয়া; (খ) সমাজে নারী-পুরুষের বিদ্যমান বৈষম্যের প্রতি সাধারণ মানুষের মৌন সম্মতি; (গ) দোষী ব্যক্তিদের নিজেদের জীবনে নির্যাতনের শিকার হওয়া, বিশেষ করে শৈশবকালে এবং (ঘ) নির্যাতনকারীর বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালসহ বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ভুক্তভোগী নারী বা শিশুর বিচার পেতে অনেক সময় লেগে যায়। এছাড়া বিচার প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজানো থাকে, যাতে প্রতি ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে অনেকে বিচার পেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে নির্যাতনকারী কী মনোভাব পোষণ করে, সেটা তার সহিংস আচরণের পেছনে ভূমিকা রাখে। যে মানুষ মনে করে, ‘স্বামীর পর্যাপ্ত আয় থাকলে স্ত্রীর চাকরি করার প্রয়োজন নেই’, তার সঙ্গী যদি চাকরি করতে চায়, তখন দ্বন্দ্ব অবধারিত। এই দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে পুরুষের লালিত সেই মনোভাব নারীকে শারীরিক ও মানসিক আঘাত করার সাহস দেয়। গবেষণায় বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতি একটা সমর্থনের আভাস পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের অংশগ্রহণমূলক একটি গবেষণায় আমরা একটি সাধারণ ব্যাপার লক্ষ করেছি। তারা সবাই শৈশবকালে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাটিয়েছে। অর্থনৈতিক বঞ্চনা, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন, পিতা-মাতার মধ্যে কলহ, মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তাদের শৈশবকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল।
শৈশবের নেতিবাচক অবস্থা একজন ব্যক্তির বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচকভাবে প্রভাব রাখতে পারে, যা তার এখন নির্যাতনকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ব্যক্তি (সাম্প্রতিক এ রকম ঘটনার) ভয়াবহ নির্যাতনকারী হয়ে উঠতে পারে। তাদের মধ্যে একাকিত্ববোধ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, যোগাযোগের দক্ষতায় ঘাটতি, অবিশ্বাস ইত্যাদি বিষয় ভীষণভাবে দেখা যায়।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সমমনা নারী ও পুরুষের দীর্ঘমেয়াদি রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানো উচিত। পাশাপাশি আমরা সমাজে নারী-পুরুষকে কীভাবে দেখছি এবং দেখতে চাই, সেটা নিয়ে বিস্তর এবং খোলামেলা আলোচনা হওয়া দরকার। এসব আলোচনায় বিদ্যমান সব শ্রেণি, পেশা ও মতের মানুষের অংশগ্রহণ থাকা জরুরি।
আইনে দণ্ডের বিধান: সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা তার সাহায্যকারী প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে আদালত মামলাকারীর পক্ষে সুরক্ষা আদেশ দিতে পারেন। মামলাকারী চাইলে স্বেচ্ছায় সুরক্ষা আদেশের জন্য প্রার্থনা করে আদালতে আবেদনও করতে পারেন। প্রতিপক্ষ এই আদেশের শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ভোগ করতে হবে। তা ছাড়া এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে ২ বছরের কারাদণ্ডসহ ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে আমাদের আইনে।
পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা) আইনের ১৬ ধারায় ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী চাইলে আদালতে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির মাধ্যমে আদালত ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করা হবে, সেগুলো হলো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আঘাত, শারীরিক-মানসিক ভোগান্তি, ক্ষতির প্রকৃতি ও পরিমাণ, ক্ষতির জন্য চিকিৎসা খরচ, ক্ষতির প্রভাব, ক্ষতির কারণে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উপার্জনের ওপর প্রভাব, নির্যাতনের ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির ধ্বংসকৃত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির জীবনযাপন এবং সে রকম জীবনযাপনের ব্যবস্থা ও ভরণপোষণ। তা ছাড়া আদালত কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আলাদা বাসা ভাড়া করে দেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষকে আদেশ দিতে পারেন বা প্রতিপক্ষকে তার বাসা থেকে সাময়িকভাবে উচ্ছেদের আদেশও দিতে পারেন।