ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

নারীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’

  • আপডেট সময় : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে


নারী ও শিশু প্রতিবেদন : ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাব্লিউবি) কর্মসূচি নারীদের খাদ্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের উপকারভোগী হবে অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীরা। যাদের পরিবারের নিয়মিত উপার্জনক্ষম সদস্য বা আয় নেই এমন নারী। যারা ভূমিহীন ও নিজ মালিকানা জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ১৫ শতকের কম। এদের বয়স হতে হবে ২০-৫০। এরা ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এই কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব পরিবার দৈনিক দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে ও মাটির দেওয়াল, পাটকাঠি বা বাঁশের তৈরি ঘরে থাকে, যে পরিবারে কিশোরী বা ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়ে, অটিজম-প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে এবং বিদেশ থেকে প্রত্যাগত এমন অভিবাসী নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ করা উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জানান, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বাস্তবায়ন বা কার্ড প্রদান করা হবে না।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, উপকারভোগীরা সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতি মাসে নিজ একাউন্টে ২৪০ টাকা সঞ্চয় জমা করবেন, যা হবে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন। সঞ্চয়কৃত অর্থ এবং প্রশিক্ষণে পাওয়া জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা দুই বছর পর নিজেরাই ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, ৪৯২ উপজেলার সব ইউনিয়নে ভিডাব্লিউবি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এ জন্য নির্বাচন হবে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী। তারা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দুই বছর প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবেন। ২০২৫-২৬ সাল থেকে ১৫ লাখ উপকারভোগীকে এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, তথ্য আপা, স্থানীয় কম্পিউটারের দোকান অথবা ১০৯ ও ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে কল করে আবেদন করতে পারবেন উপকারভোগীরা। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমের মাধ্যমে অফলাইনে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাছের মাথার ফেলে দেওয়া অঙ্গ সংগ্রহ করে লাখ টাকায় বিক্রি করেন যশোরের নেওয়াজ

নারীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’

আপডেট সময় : ১২:১৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২


নারী ও শিশু প্রতিবেদন : ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডাব্লিউবি) কর্মসূচি নারীদের খাদ্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
গত সোমবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের উপকারভোগী হবে অসচ্ছল, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীরা। যাদের পরিবারের নিয়মিত উপার্জনক্ষম সদস্য বা আয় নেই এমন নারী। যারা ভূমিহীন ও নিজ মালিকানা জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক ১৫ শতকের কম। এদের বয়স হতে হবে ২০-৫০। এরা ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
এই কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার পাওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব পরিবার দৈনিক দিনমজুর হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে ও মাটির দেওয়াল, পাটকাঠি বা বাঁশের তৈরি ঘরে থাকে, যে পরিবারে কিশোরী বা ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়ে, অটিজম-প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে এবং বিদেশ থেকে প্রত্যাগত এমন অভিবাসী নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ করা উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জানান, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট বাস্তবায়ন বা কার্ড প্রদান করা হবে না।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, উপকারভোগীরা সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতি মাসে নিজ একাউন্টে ২৪০ টাকা সঞ্চয় জমা করবেন, যা হবে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন। সঞ্চয়কৃত অর্থ এবং প্রশিক্ষণে পাওয়া জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তারা দুই বছর পর নিজেরাই ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলা, ৪৯২ উপজেলার সব ইউনিয়নে ভিডাব্লিউবি কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এ জন্য নির্বাচন হবে ১০ লাখ ৪০ হাজার উপকারভোগী। তারা ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দুই বছর প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল পাবেন। ২০২৫-২৬ সাল থেকে ১৫ লাখ উপকারভোগীকে এই কর্মসূচির আওতায় সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, তথ্য আপা, স্থানীয় কম্পিউটারের দোকান অথবা ১০৯ ও ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে কল করে আবেদন করতে পারবেন উপকারভোগীরা। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট কার্যক্রমের মাধ্যমে অফলাইনে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।