ঢাকা ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজভুক্ত (ওআইসি) দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা অর্জনে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন ব্যক্তি এবং পরিবারের সদস্যদের উপলব্ধি, স্বামী-স্ত্রীর ইতিবাচক ভূমিকা; গৃহস্থালির কাজ ভাগাভাগি, সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং পুরুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে জড়িত। এজন্য নারীদের প্রশিক্ষণ, উপযুক্ত শিক্ষা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে। নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। পরিবার থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জনের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল বুধবার মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের (ওআইসি) উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন আয়োজিত ‘পরিবারের মধ্যে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নে পরিবার-ভিত্তিক নীতির ভূমিকা’ অনলাইন সিম্পোজিয়ামে এ কথা বলেন।
মিসরের ন্যাশনাল উইমেন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মিজ ড. মায়া মুরসীর সভাপতিত্বে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি) ডিজি ড. আমিনা আল হাজরিসহ মালদ্বীপ, গাম্বিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিসর, ওমান, প্যালেস্টাইন, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ ওআইসিভুক্ত বিভিন্ন দেশের নারী উন্নয়ন ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক মন্ত্রী বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ভার্চুয়ালি এ সিম্পোজিয়ামে যোগদান করেন। এসময় মহিলা অ শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, শিশু নীতি, শিক্ষা নীতি, স্বাস্থ্য নীতি, এডোলেসন্ট হেলথ স্ট্রাটেজি, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যা পরিবার থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করছে।
‘এসকল নীতি, কৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও আইন প্রণয়ন করেছেন এবং তা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে আজ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী- যা বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
এ সিম্পোজিয়ামে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজভুক্ত (ওআইসি) দেশের নারী ও জেন্ডার সমতা বিষয়কমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিরা নারীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে নিজ নিজ দেশের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এসময় তারা নারীর ক্ষমতায়নে ওআইসিভুক্ত দেশের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

আপডেট সময় : ০২:১৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজভুক্ত (ওআইসি) দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা অর্জনে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন ব্যক্তি এবং পরিবারের সদস্যদের উপলব্ধি, স্বামী-স্ত্রীর ইতিবাচক ভূমিকা; গৃহস্থালির কাজ ভাগাভাগি, সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ এবং পুরুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে জড়িত। এজন্য নারীদের প্রশিক্ষণ, উপযুক্ত শিক্ষা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে। নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। পরিবার থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জনের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা গতকাল বুধবার মিসরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত এবং অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের (ওআইসি) উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন আয়োজিত ‘পরিবারের মধ্যে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নে পরিবার-ভিত্তিক নীতির ভূমিকা’ অনলাইন সিম্পোজিয়ামে এ কথা বলেন।
মিসরের ন্যাশনাল উইমেন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মিজ ড. মায়া মুরসীর সভাপতিত্বে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি) ডিজি ড. আমিনা আল হাজরিসহ মালদ্বীপ, গাম্বিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিসর, ওমান, প্যালেস্টাইন, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ ওআইসিভুক্ত বিভিন্ন দেশের নারী উন্নয়ন ও জেন্ডার সমতা বিষয়ক মন্ত্রী বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ভার্চুয়ালি এ সিম্পোজিয়ামে যোগদান করেন। এসময় মহিলা অ শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, শিশু নীতি, শিক্ষা নীতি, স্বাস্থ্য নীতি, এডোলেসন্ট হেলথ স্ট্রাটেজি, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যা পরিবার থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করছে।
‘এসকল নীতি, কৌশল, কর্মপরিকল্পনা ও আইন প্রণয়ন করেছেন এবং তা বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে আজ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা ও সংসদ উপনেতা নারী- যা বিশ্বে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’
এ সিম্পোজিয়ামে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজভুক্ত (ওআইসি) দেশের নারী ও জেন্ডার সমতা বিষয়কমন্ত্রী এবং প্রতিনিধিরা নারীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে নিজ নিজ দেশের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এসময় তারা নারীর ক্ষমতায়নে ওআইসিভুক্ত দেশের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।