নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো না। এগিয়ে যেতে হলে মা-বোনদের সঙ্গে নিয়েই যেতে হবে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে নিবরাস মাদরাসার আয়োজনে হিফযুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হযরত খাদিজা (রা.), হযরত আয়েশা (রা.) ও অন্যান্য নারী সাহাবিদের নিয়েই রাসুলুল্লাহ (স.) সমাজ পরিবর্তন করেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও মা-বোনদের দেখা গেছে। আমরা যদি আমাদের মা, বোন ও কন্যাদের অধিকহারে হাফেজা, আলিমা, মুহাদ্দিসা, চিকিৎসক, প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী বানাতে পারি তাহলে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বত্র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখি। ভেদাভেদ আর নয়। আমাদের একে অন্যের হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীতে ইসলামি আদর্শের ভিত্তিতে আমরা যে কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন সেটা পূরণেও নিবরাস মাদরাসা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
মানুষকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে ড. খালিদ বলেন, আমি যদি অন্য একজনকে সম্মান না করি তাহলে তার কাছ থেকে সম্মান আশা করা যায়না। আমি যদি ঢিল ছুঁড়ি তাহলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি গীবত, পরনিন্দা ও পরচর্চা ত্যাগ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। এছাড়া, উপদেষ্টা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে কালেমা তাইয়্যেবার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
নিবরাস মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের আহমাদ যাবেরী আল-মাদানী। এতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মো. নূরুল হক, হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল কুররা হাফেজ ক্বারী আব্দুল হক ও নিবরাস ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
পরে উপদেষ্টা নিবরাস মাদরাসার হাফেযুল কুরআন শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন। উল্লেখ্য, এবছর মাদরাসাটির ১৬৭ জন শিক্ষার্থীকে হিফজুল কুরআন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় যার মধ্যে ১৩২ জন বালক ও ৩৫ জন বালিকা।
এসি/আপ্র/১৯/১১/২০২৫




















