ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে চাঁদা নিতে গিয়ে গণপিটুনিতে ইউপি সদস্য নিহত

  • আপডেট সময় : ০১:৩০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. সোহেল আহাম্মেদ (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া স্ট্যান্ড বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল আহাম্মেদ উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে সোহেল অজ্ঞাত তিনজন সহযোগীকে নিয়ে বালিয়াপাড়া এলাকার মৃত হাফেজ সাহেবের ছেলে শরিফের বাড়িতে চাঁদা আদায়ের জন্য যায়। এ সময় শরিফের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সোহেলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শরিফের পরিবার স্থানীয়দের সহায়তায় সোহেলকে আটক করে এবং গ্রামবাসীকে খবর দেয়।

খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সোহেলকে হাত-পা বেঁধে মারধর শুরু করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা তিন সহযোগী পালিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসিরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিগত দিনে ইউপি সদস্য সোহেল স্থানীয় এলাকাবাসীর ওপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকদিন আগেও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। তবে কি কারণে তাকে মারা হলো বিষয়টা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, সোহেল আড়াইহাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, মাদক, অপহরণ, চুরি ও হত্যা চেষ্টাসহ অন্তত ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৩ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দি ব্রিজ টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১১ তাকে সহযোগী ফজলুল হক ফজুসহ গ্রেফতার করেছিল।

এসি/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মাদকের ডিলার মা-মেয়েসহ ৪ নারী গ্রেফতার, ২১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে চাঁদা নিতে গিয়ে গণপিটুনিতে ইউপি সদস্য নিহত

আপডেট সময় : ০১:৩০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে মো. সোহেল আহাম্মেদ (৩৮) নামে এক ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া স্ট্যান্ড বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহেল আহাম্মেদ উপজেলার বালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে সোহেল অজ্ঞাত তিনজন সহযোগীকে নিয়ে বালিয়াপাড়া এলাকার মৃত হাফেজ সাহেবের ছেলে শরিফের বাড়িতে চাঁদা আদায়ের জন্য যায়। এ সময় শরিফের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সোহেলের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শরিফের পরিবার স্থানীয়দের সহায়তায় সোহেলকে আটক করে এবং গ্রামবাসীকে খবর দেয়।

খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সোহেলকে হাত-পা বেঁধে মারধর শুরু করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা তিন সহযোগী পালিয়ে যায়।

সংবাদ পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসিরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিগত দিনে ইউপি সদস্য সোহেল স্থানীয় এলাকাবাসীর ওপর অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকদিন আগেও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। তবে কি কারণে তাকে মারা হলো বিষয়টা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল দিচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, সোহেল আড়াইহাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, মাদক, অপহরণ, চুরি ও হত্যা চেষ্টাসহ অন্তত ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৩ জুন কুমিল্লার দাউদকান্দি ব্রিজ টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-১১ তাকে সহযোগী ফজলুল হক ফজুসহ গ্রেফতার করেছিল।

এসি/আপ্র/২৯/০৯/২০২৫