প্রত্যাশা ডেস্ক: মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ এলাকার বাসিন্দা হাসান আল মামুন চার বছরের মেয়েকে নিয়ে ঢাকার শিশু হাসপাতালে এসেছেন। মেয়ে তার জ্বরে ভুগছে। হাসপাতালে তার স্ত্রীও সঙ্গে আছেন, তিনিও জ্বরে আক্রান্ত।
মামুন বললেন, বাচ্চার জ্বর হওয়ার পর প্রথমে তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। চিকিৎসক দেখে ওষুধ দিয়েছিলেন, বাসায় রেখে ওষুধ খাইয়েছেন। কিন্তু জ্বর আর সারেনি।
চিকিৎসকরা বলছেন, এবার জ্বরে আক্রান্ত
শিশুরা এমন কিছু লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে আসছে,
যা আগে কখনো তারা দেখেননি। বেশি পাওয়া গেছে
ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগী। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের হারও
অনেক বেশি। গত বছর এই সময়ের চেয়ে
এবার ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা গেছেন।
এখন আবার মেয়ের পায়ের সমস্যা, ব্যথায় দাঁড়াইতে পারে না ঠিকমত। এইখান থেকে তারা বলেছে বাচ্চাকে ভর্তি করার জন্য। কিন্তু আমার ওয়াইফও প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত, তাকেও হাসপাতালে ভর্তি হইতে বলছে। আমি বেশ ঝামেলায় পড়ে গেছি। দুইজনকে একটা হাসপাতালে ভর্তি করতে পারলে ভালো হত।
ঢাকার মতো সারা দেশেই জ্বর আর সর্দিকাশিজনিত রোগের প্রকোপ চলছে গত মাস দুয়েক ধরে। প্রতিদিন শিশুসহ নানা বয়সী রোগী হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছে জ্বর নিয়ে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) জুলাই মাসের তথ্য দিয়ে একটি সংবাদসংস্থা এক প্রতিবেদনে বলছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগী।
হাসপাতালগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের হারও এ বছর অনেক বেশি। গত বছর এই সময়ের চেয়ে এবার ডেঙ্গুতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন গত বছরের চেয়ে বেশি।
হাসপাতালে শিশুদের ভিড়: শিশুদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে জুন মাসে সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল ৪ হাজার ২৪ জন শিশু। জুলাই মাসে তা বেড়ে হয় ৬ হাজার ২৫৫ জন।
ওই মাসে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৯ হাজার ৩৬৭ জন শিশু চিকিৎসা নেয়। তাদের ৬ হাজার ২৫৫ জন, অর্থাৎ ৬৬.৬৭ শতাংশই সর্দি-জ্বরে ভুগেছে।
আগস্ট মাসের প্রথম ২০ দিনে এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২ হাজার ২২৯ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের ১ হাজার ৯২১ জন, অর্থাৎ ৮৬ দশমিক ১৮ শতাংশ এসেছে সর্দি-জ্বর নিয়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এবার জ্বর আক্রান্ত শিশুরা এমন কিছু লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে আসছে, যা আগে কখনো তারা দেখেননি।
আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে এ হাসপাতালে আসা মাসুদুর রহমান বলেন, সাত-আটদিন ধরে তার জ্বর।
যত ওষুধ খাওয়াই ভালো হয় না। এই কারণে ডাক্তারের কাছে নিয়া আইলাম। ডাক্তার ওষুধ দিছে, আর কিছু পরীক্ষা করতে দিছে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মাহমুদুল হক চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত এক মাস ধরে শিশুদের একটা বড় অংশ জ্বর নিয়ে আসছে। তারা যে ধরনের লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে আসছে তা সাধারণ জ্বরের মত নয়।
তীব্র জ্বর, বাচ্চারা দাঁড়াতে পারছে না, হাঁটতে পারছে না। মেরুদণ্ডে ব্যথা, তীব্র জ্বর, পেটে ব্যথা, বমি–এসব উপসর্গ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সঙ্গে মিলে যায় কিন্তু ডেঙ্গুর এনএস-ওয়ান, আইজিজি-আইজিএম টেস্ট করালে নেগেটিভ আসে। আবার সিবিসি করলে দেখা যাচ্ছে লিউকোপেনিয়া, নিউট্রোপেনিয়া, প্লেইটলেট কাউন্ট কম। বাচ্চাদের কোলে করে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
এই চিকিৎসক বলেন, আমার ধারণা, হয়ত ডেঙ্গুর কোনো নতুন টাইপ আছে, অথবা নতুন কোনো ভাইরাস আসছে। যদিও এটা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব না। সেটাকে আমরা ডেঙ্গু হিসেবে ট্রিট করছি। গত দেড় মাসে আমাদের আউটডোর এবং ইনডোরে অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী আসছে।
অন্য হাসপাতালেও রোগীর ভিড়: ঢাকার বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে গত জুন মাসে ৭৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮৭ জন এবং জুলাই মাসে ১২৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৭৭ জন চিকুনগুনিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর ১০ আগস্ট পর্যন্ত ৩১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৭৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ওই হাসপাতালের তথ্য বলছে, এ বছর ২৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয়েছে ১১৪০ জনের। একশজনের পরীক্ষা করালে ৪৯ জনেরই চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হচ্ছে।
স্কয়ার হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. দীপঙ্কর কুমার বসাক বলেন, ৪৯ শতাংশ শনাক্তের হার খুব বেশি। এ বছর অনেক রোগী আসছেন চিকুনগুনিয়া নিয়ে। তাদের অনেকে ভর্তি হচ্ছেন, বেশিরভাগই বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
যারা আসছেন, তাদের নব্বই শতাংশ একই ধরনের লক্ষণ-উপসর্গের কথা বলছেন। প্রথম দিন শরীর ব্যথা, এর ১২ ঘণ্টা পর থেকে প্রচণ্ড জ্বর হয়, তিন-চার দিন থাকে। শরীরে র্যাশ হয়, পাশাপাশি হাঁটু, পায়ের গোড়ালি এবং হাতের কবজিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, ফুলে যায়। বয়স্কদের সঙ্গে অনেক বাচ্চাও আসছে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার চেম্বার ধানমন্ডিতে। তিনি বলেন, তার কাছে এখন যত শিশু চিকিৎসা নিতে আসছে, তাদের বেশিরভাগ জ্বরে আক্রান্ত।
কারও ১০৩-১০৪, কারও ১০১, কারও ৯৯। কিন্তু সাথে যেটা থাকছে শরীরে, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা। এই ব্যথাটা অন্যান্যবারের চেয়ে একটু বেশি তীব্র। তাদের কারও কারও লক্ষণ ডেঙ্গু, কারও চিকুনগুনিয়ার সঙ্গে মেলে। আবার কোনো রোগীর পরীক্ষা করে কোনো কিছুই পাওয়া যায় না, নেগেটিভ আসছে।
তিনি বলেন, যদি চিকুনগুনিয়া বলে সন্দেহ হয়, তাহলে পরিবারের উচিত সেই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।
ডেঙ্গুর লক্ষণের সঙ্গে মিললে পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও সিম্পটম অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। একটু ধৈর্য্য ধরা, যত্ন করা, আর যদি বেশি খারাপ হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
ঢাকার বাড্ডায় বেসরকারি এএমজেড হাসপাতালেও চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী আসছেন বলে জানিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, লক্ষণ দেখে বুঝতে পারছেন চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত, কিন্তু জ্বর হওয়ার শুরুতেই পরীক্ষা করায় তা ধরা পড়ছে না।
রোগী এসে বলছে জয়েন্ট পেইন, দীর্ঘ সময় ধরে সাফার করছে। সমস্যা হচ্ছে জ্বর হওয়ার প্রথম ১, ২ বা ৩ দিনেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করে নেগেটিভ দেখায়। এজন্য জ্বর শুরুর ৭ দিন পরে এগুলো আরটিপিসিআর করলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বা জিকা সব শনাক্ত হয়ে যাবে।
তার পরামর্শ, অনেক সময় পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে, সেজন্য লক্ষণ-উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করতে হবে; কারণ চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা বেশ ব্যয়বহুল।
ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, এখন চারদিকে ভাইরাল জ্বর হচ্ছে। জ্বরের সঙ্গে জয়েন্ট পেইন, র্যাশ হলে অথবা জ্বর সেরে যাওয়ার পরও তীব্র ব্যথা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অন্য কোনো ভাইরাস? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এখন যে ধরনের জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, সেটা ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হতে পারে। অথবা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের জন্যও জ্বর হতে পারে।
তিনি বলেন, গত বছর চিকুনগুনিয়া কিছু কিছু পাওয়া যাচ্ছিল। এবার আরো বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন কোনো ভাইরাসের কারণে জ্বর হচ্ছে কি না, রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ছাড়া তা বলা যাবে না। হাসপাতালে যেসব তথ্য আছে, সেটা যদি আইইডিসিআর অ্যানালাইসিস করে, তাহলে বলা যাবে।
দেশজুড়ে চলা জ্বরের প্রকোপের পেছনে নতুন কোনো ভাইরাস দায়ী কি না, এমন প্রশ্নে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, আমাদের এখানে যেসব পরীক্ষা করেছি তাতে চিকুনগুনিয়া বেশি। এ বছর ৪৫ শতাংশের মতই চিকুনগুনিয়া। তার মানে এখন চিকুনগুনিয়া সার্কুলেশন হচ্ছে। অন্য কোনো ভাইরাস নেই, ডেঙ্গুর কোনো সেরোটাইপও নেই।
জুলাই মাসে সবার উপরে ইনফ্লুয়েঞ্জা: ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সেন্টারের অধীনে আইইডিসিআর এবং আইসিডিডিআর,বি যৌথভাবে ‘ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেইলেন্স ইন বাংলাদেশ (এনআইএসবি)’ এবং ‘হসপিটাল বেজড ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেইলেন্স ইন বাংলাদেশ (এইচবিআইএস)’ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে ২০০৭ সাল থেকে। এ কার্যক্রমের আওতায় সারাদেশের ১৯টি হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
ওই সার্ভেইলেন্স দেখা গেছে, গত জুলাই মাসে সারাদেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা শনাক্তের হার ছিল এই ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, জুলাই মাসে ২ হাজার ৪৫৫ জন সম্ভাব্য ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৫৩ জন, অর্থাৎ ৫৯.২ শতাংশ রোগীর ইনফ্লুয়েঞ্জা শনাক্ত হয়।
বাংলাদেশে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুম ধরা হয়। আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, এর আগে ২০২৩ সালের আগস্টে ৩৯.৭ শতাংশ এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ৩৪.৬ শতাংশ ছিল সর্বোচ্চ শনাক্তের হার।
আইইডিসিআর বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি: বাংলাদেশে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছরের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮১৬ জন। আর এ বছর মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ১১৫ জন।
গত বছরের এই সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছর এই রোগে মারা গেছেন ১০৫ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন–শুধু এমন রোগীর তথ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাখে। নমুনা পরীক্ষার পর মোট কতজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেই তথ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই। ফলে প্রতি বছর ঠিক কত মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন তা জানা যায় না।
সুস্থ্ থাকতে পরামর্শ: এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জা মৌসুমে সুস্থ্ থাকতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। এগুলো হল-
সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করা।
কাশি শিষ্টাচার মেনে চলা। হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে নাক-মুখ ঢেকে রাখা। ব্যবহৃত টিস্যু সাথে সাথে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলে দেওয়া এবং সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে ফেলা।
যদি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট থাকে তবে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। যথাসম্ভব জনসমাগম এড়িয়ে চলা। প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করা।
ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে ৫ বছরের কম বয়সী শিশু, ৬৫ বছরের বেশী বয়সী, যারা দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, গর্ভবতী নারী, তাদের প্রতি বছর ফ্লু মৌসুম শুরুর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জার (ফু) ভাইরাসের টিকা নেওয়া।
এসি/সানা/২৩/৮/২০২৫