ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন অতিবাহিত

  • আপডেট সময় : ০২:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোর মিছিল, রক্তদান, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়েছে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন।
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন ছিল গতকাল। ১৯৭৫ সালের এ মাসের পনের তারিখে বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিনটির প্রথম প্রহরেই রোববার রাত ১২ টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল বের করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একই কর্মসূচি পালন করে মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগও। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির সামনে সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে জড়ো হন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। আলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে রাজধানীর ধানমন্ডী ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন এলাকার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি সঞ্চালনা করেন।
শোকের মাসের প্রথম দিন সোমবার যুবলীগের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কোরআন খতম শুরু হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আগস্ট মাসব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির প্রারম্ভিক আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল সেই সময়ে বিরোধী দলের নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শোকাবহ আগস্ট পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসবাপী কর্মসূচি পালন করবে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক দিবস পালনের নির্দেশ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি বিতরণ করা হবে।বই বিতরণের চাহিদাপত্র আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চাওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করতে হবে।
এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সব শিশু-কিশোরদের সঠিক ধারণা দেওয়া ও তার মহান আত্মত্যাগকে তুলে ধরতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর রচিত বইসমূহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে ক্রয় ও পাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে এসব বই দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আরও বলা হয়েছে, এ বোর্ডের আওতাধীন আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বইগুলো বিতরণ করা হবে। এ প্রেক্ষিতে আর্থিক অসচ্ছ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সম্ভাব্য চাহিদাপত্র ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন অতিবাহিত

আপডেট সময় : ০২:০৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোর মিছিল, রক্তদান, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়েছে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন।
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন ছিল গতকাল। ১৯৭৫ সালের এ মাসের পনের তারিখে বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিনটির প্রথম প্রহরেই রোববার রাত ১২ টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল বের করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একই কর্মসূচি পালন করে মহিলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগও। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির সামনে সংগঠন তিনটির নেতা-কর্মীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে জড়ো হন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। আলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে রাজধানীর ধানমন্ডী ৩২ এর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন এলাকার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি সঞ্চালনা করেন।
শোকের মাসের প্রথম দিন সোমবার যুবলীগের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কোরআন খতম শুরু হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। আগস্ট মাসব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির প্রারম্ভিক আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল সেই সময়ে বিরোধী দলের নেতা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শোকাবহ আগস্ট পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন মাসবাপী কর্মসূচি পালন করবে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক দিবস পালনের নির্দেশ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি বিতরণ করা হবে।বই বিতরণের চাহিদাপত্র আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে চাওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করতে হবে।
এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সব শিশু-কিশোরদের সঠিক ধারণা দেওয়া ও তার মহান আত্মত্যাগকে তুলে ধরতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর রচিত বইসমূহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে ক্রয় ও পাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে এসব বই দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আরও বলা হয়েছে, এ বোর্ডের আওতাধীন আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বইগুলো বিতরণ করা হবে। এ প্রেক্ষিতে আর্থিক অসচ্ছ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সম্ভাব্য চাহিদাপত্র ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।