ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোর পৌরসভার পানি খেয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক

  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে ১৪৯ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৫ জন ভর্তি রয়েছেন।

সরেজমিনে নাটোর হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে উপচে পড়া ভিড়। মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আক্রান্ত রোগী ও স্বজনরা জানান, নাটোর পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করার পর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। ডায়রিয়ায় মূলত উত্তর পটুয়াপাড়া, ঝাউতলা ও কাঠালবাড়ি এলাকার লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আকাশ নামে একজন জানান, বুধবার পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করার পর থেকেই তার স্ত্রীর পেটে ব্যথা শুরু করে। রাতে পরিস্থিতির অবনতি হলে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি করেন।

বুধবার নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহিন, পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন, নাটোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মুক্তাদির আরেফিন ডায়রিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন।

সিভিল সার্জন ডাক্তার মুক্তাদির আরেফিন বলেন, আমরা ধারণা করছি পানি পান করার ফলেই বেশিরভাগ নারী, শিশু ও পুরুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন এবং ওই অন্যান্য ওষুধ রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত ২১৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন নাটোর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পানি ফুটিয়ে না খাওয়ার জন্য মূলত এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

অপরদিকে নাটোর পৌর প্রশাসক আসমা খাতুন জানান, ঘটনা জানার পর থেকেই আমাদের স্টাফ পৌরসভায় রয়েছে, তারা অতিরিক্ত স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করছে। পানি বিশুদ্ধকরণের পর ওই এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৪/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাটোর পৌরসভার পানি খেয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক

আপডেট সময় : ০২:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর পৌরসভার সরবরাহকৃত পানি পান করে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশু ওয়ার্ডে ১৪৯ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৫ জন ভর্তি রয়েছেন।

সরেজমিনে নাটোর হাসপাতালে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে উপচে পড়া ভিড়। মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আক্রান্ত রোগী ও স্বজনরা জানান, নাটোর পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করার পর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। ডায়রিয়ায় মূলত উত্তর পটুয়াপাড়া, ঝাউতলা ও কাঠালবাড়ি এলাকার লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আকাশ নামে একজন জানান, বুধবার পৌরসভার সরবরাহ করা পানি পান করার পর থেকেই তার স্ত্রীর পেটে ব্যথা শুরু করে। রাতে পরিস্থিতির অবনতি হলে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি করেন।

বুধবার নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহিন, পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন, নাটোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মুক্তাদির আরেফিন ডায়রিয়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন।

সিভিল সার্জন ডাক্তার মুক্তাদির আরেফিন বলেন, আমরা ধারণা করছি পানি পান করার ফলেই বেশিরভাগ নারী, শিশু ও পুরুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আমাদের পর্যাপ্ত স্যালাইন এবং ওই অন্যান্য ওষুধ রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত ২১৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন নাটোর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পানি ফুটিয়ে না খাওয়ার জন্য মূলত এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

অপরদিকে নাটোর পৌর প্রশাসক আসমা খাতুন জানান, ঘটনা জানার পর থেকেই আমাদের স্টাফ পৌরসভায় রয়েছে, তারা অতিরিক্ত স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করছে। পানি বিশুদ্ধকরণের পর ওই এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসি/আপ্র/০৪/০৯/২০২৫