ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নাটকীয় লড়াইয়ে রোনালদোর জোড়া গোলে রক্ষা ইউনাইটেডের

  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : এইতো দিন ১২ আগে ঘরের মাঠে দুই গোল হজমের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আতালান্তার বিপক্ষে এবার জয় না মিললেও হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াল দলটি এবং নায়ক সেই একই; ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর তিনি টানলেন সমতা। পরে আবারও পিছিয়ে পড়া দলকে শেষে গিয়ে উপহার দিলেন আরেক গোল, এনে দিলেন মূল্যবান একটি পয়েন্ট।
জঊখঅঞঊউ ঝঞঙজওঊঝ
ফাতির গোলে বার্সেলোনার স্বস্তির জয়
লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিকে নকআউট পর্বে বায়ার্ন
ইতালিয়ান ক্লাবটির মাঠে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। আতালান্তার গোল দুটি করেন ইয়োসিপ ইলিচিচ ও দুভান জাপাতা।
গত ২০ অক্টোবর দলটির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদোর ৮১তম মিনিটের গোলে ৩-২ ব্যবধানে রোমাঞ্চকর জয় পায় ইউনাইটেড। ফিরতি দেখায় প্রতিশোধের সকল সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না আতালান্তা।
বল দখলের মতো আক্রমণেও প্রায় সমানে-সমান লড়াই হলো। দুই ক্ষেত্রেই ইউনাইটেড অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও স্কোরলাইনে অধিকাংশ সময় আধিপত্য তো স্বাগতিকদেরই ছিল। গোলের উদ্দেশ্যে তাদের ১০ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে আর ইউনাইটেডের ১৩ শটের চারটি।
ম্যাচ শুরু হতেই ইউনাইটেডের আক্রমণ। ১৯ সেকেন্ডের মাথায় রোনালদোর দূর থেকে নেওয়া শটটি যদিও যায় গোলরক্ষক বরাবর। চতুর্থ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা; তবে ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্টে লেগে ফেরে।
প্রথম দেখায় ৩০ মিনিটের মধ্যে দুবার ইউনাইটেডের জালে বল পাঠানো আতালান্তা এবার দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। গোলটিতে অবশ্য পুরো দায় গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার। স্বাগতিক মিডফিল্ডার ইলিচিচের নিচু শট আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকলেও ঝাঁপিয়ে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান তিনি।
চার মিনিট পরই পাল্টা আঘাত হানতে পারত ইউনাইটেড। তবে অ্যারন ওয়ান-বিসাকার ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল ছুটে গিয়ে একটুর জন্য পায়ে নিতে পারেননি রোনালদো। এগিয়ে এসে বল নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক।
এগিয়ে গিয়ে আতালান্তাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের জন্য পরিচিত দলটি মাঝেমধ্যেই ভীতি ছড়াতে থাকে ইউনাইটেড রক্ষণে।
জমে ওঠা লড়াইয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সমযের প্রথম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে সমতায় ফেলে ইউনাইটেড। ম্যাকটমিনের পাস ধরে ডান দিকে রোনালদোকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রুনো ফের্নান্দেস। রোনালদো তার ডানে গ্রিনউডকে পাস দেন, তিনি আবার খুঁজে নেন ফের্নান্দেসকে। এরপর জাতীয় দল সতীর্থের ব্যাকহিলে বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
ইউনাইটেডে ফিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে চার ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জালের দেখা পেলেন রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। তবে ডি-বক্সে রোনালদোর পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে মেরে বসেন ফের্নান্দেস।
৫৬তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আতালান্তা। পালোমিনো রক্ষণের ওপর দিয়ে ডি-বক্সে থ্রু বল বাড়ান। বাঁ দিক দিয়ে ছুটে যান জাপাতা। ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বলে পা লাগাতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার।
শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজলেও অনেকটা সময় নিয়ে ভিএআরে যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত পাল্টায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে আতালান্তার খেলোয়াড়-সমর্থকরা।
আবার পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠে ইউনাইটেড। তাদের আক্রমণ, পজেশন হারালে দ্রুত বল দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা, সবকিছুতে মরিয়া ভাব ফুটে উঠছিল।
আতালান্তাও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিল। সেই লক্ষ্যে ভালো দুটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। দুবারই জাপাতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়; প্রথমবার তার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পাঁচ মিনিট পর নিচু শট ঠেকিয়ে দেন দে হেয়া।
এরপরই যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রোনালদোর ওই গোল। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে গ্রিনউডের কাটব্যাক বাইরে পেয়ে জোরালো কোনাকুনি ভলিতে দলকে উল্লাসে ভাসান পর্তুগিজ তারকা।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে রেকর্ড স্কোরারের গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৩৯টি।
এখানে পয়েন্ট হারালেও গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইউনাইটেড। চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের।
দিনের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ২-০ গোলে হারানো ভিয়ারিয়ালেরও পয়েন্ট সমান ৭। তিন নম্বরে আতালান্তার পয়েন্ট ৫।
৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ইয়াং বয়েজ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাটকীয় লড়াইয়ে রোনালদোর জোড়া গোলে রক্ষা ইউনাইটেডের

আপডেট সময় : ১১:২৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : এইতো দিন ১২ আগে ঘরের মাঠে দুই গোল হজমের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আতালান্তার বিপক্ষে এবার জয় না মিললেও হারের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়াল দলটি এবং নায়ক সেই একই; ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর তিনি টানলেন সমতা। পরে আবারও পিছিয়ে পড়া দলকে শেষে গিয়ে উপহার দিলেন আরেক গোল, এনে দিলেন মূল্যবান একটি পয়েন্ট।
জঊখঅঞঊউ ঝঞঙজওঊঝ
ফাতির গোলে বার্সেলোনার স্বস্তির জয়
লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিকে নকআউট পর্বে বায়ার্ন
ইতালিয়ান ক্লাবটির মাঠে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। আতালান্তার গোল দুটি করেন ইয়োসিপ ইলিচিচ ও দুভান জাপাতা।
গত ২০ অক্টোবর দলটির বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর রোনালদোর ৮১তম মিনিটের গোলে ৩-২ ব্যবধানে রোমাঞ্চকর জয় পায় ইউনাইটেড। ফিরতি দেখায় প্রতিশোধের সকল সম্ভাবনা জাগিয়েও পারল না আতালান্তা।
বল দখলের মতো আক্রমণেও প্রায় সমানে-সমান লড়াই হলো। দুই ক্ষেত্রেই ইউনাইটেড অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও স্কোরলাইনে অধিকাংশ সময় আধিপত্য তো স্বাগতিকদেরই ছিল। গোলের উদ্দেশ্যে তাদের ১০ শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে আর ইউনাইটেডের ১৩ শটের চারটি।
ম্যাচ শুরু হতেই ইউনাইটেডের আক্রমণ। ১৯ সেকেন্ডের মাথায় রোনালদোর দূর থেকে নেওয়া শটটি যদিও যায় গোলরক্ষক বরাবর। চতুর্থ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা; তবে ইউনাইটেড মিডফিল্ডার স্কট ম্যাকটমিনের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্টে লেগে ফেরে।
প্রথম দেখায় ৩০ মিনিটের মধ্যে দুবার ইউনাইটেডের জালে বল পাঠানো আতালান্তা এবার দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায়। গোলটিতে অবশ্য পুরো দায় গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়ার। স্বাগতিক মিডফিল্ডার ইলিচিচের নিচু শট আয়ত্ত্বের মধ্যে থাকলেও ঝাঁপিয়ে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান তিনি।
চার মিনিট পরই পাল্টা আঘাত হানতে পারত ইউনাইটেড। তবে অ্যারন ওয়ান-বিসাকার ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল ছুটে গিয়ে একটুর জন্য পায়ে নিতে পারেননি রোনালদো। এগিয়ে এসে বল নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক।
এগিয়ে গিয়ে আতালান্তাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। আক্রমণাত্মক ফুটবলের জন্য পরিচিত দলটি মাঝেমধ্যেই ভীতি ছড়াতে থাকে ইউনাইটেড রক্ষণে।
জমে ওঠা লড়াইয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সমযের প্রথম মিনিটে দারুণ পাসিং ফুটবলে সমতায় ফেলে ইউনাইটেড। ম্যাকটমিনের পাস ধরে ডান দিকে রোনালদোকে বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ব্রুনো ফের্নান্দেস। রোনালদো তার ডানে গ্রিনউডকে পাস দেন, তিনি আবার খুঁজে নেন ফের্নান্দেসকে। এরপর জাতীয় দল সতীর্থের ব্যাকহিলে বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
ইউনাইটেডে ফিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে চার ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই জালের দেখা পেলেন রোনালদো।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত তারা। তবে ডি-বক্সে রোনালদোর পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে মেরে বসেন ফের্নান্দেস।
৫৬তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় আতালান্তা। পালোমিনো রক্ষণের ওপর দিয়ে ডি-বক্সে থ্রু বল বাড়ান। বাঁ দিক দিয়ে ছুটে যান জাপাতা। ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও বলে পা লাগাতে পারেননি। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার।
শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজলেও অনেকটা সময় নিয়ে ভিএআরে যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত পাল্টায়। উল্লাসে ফেটে পড়ে আতালান্তার খেলোয়াড়-সমর্থকরা।
আবার পিছিয়ে পড়ে যেন তেতে ওঠে ইউনাইটেড। তাদের আক্রমণ, পজেশন হারালে দ্রুত বল দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা, সবকিছুতে মরিয়া ভাব ফুটে উঠছিল।
আতালান্তাও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিল। সেই লক্ষ্যে ভালো দুটি সুযোগও পেয়েছিল তারা। দুবারই জাপাতার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়; প্রথমবার তার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পাঁচ মিনিট পর নিচু শট ঠেকিয়ে দেন দে হেয়া।
এরপরই যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রোনালদোর ওই গোল। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে গ্রিনউডের কাটব্যাক বাইরে পেয়ে জোরালো কোনাকুনি ভলিতে দলকে উল্লাসে ভাসান পর্তুগিজ তারকা।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে রেকর্ড স্কোরারের গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৩৯টি।
এখানে পয়েন্ট হারালেও গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইউনাইটেড। চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের।
দিনের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ২-০ গোলে হারানো ভিয়ারিয়ালেরও পয়েন্ট সমান ৭। তিন নম্বরে আতালান্তার পয়েন্ট ৫।
৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ইয়াং বয়েজ।