ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নাটকীয় জয়ের পরও হাসি নেই রিয়ালের

  • আপডেট সময় : ১১:০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে


ক্রীড়া ডেস্ক : লিগ শিরোপা ধরে রাখতে নিজেদের কাজটুকু সারলেও যথেষ্ট হতো না রিয়াল মাদ্রিদের। প্রার্থনা করতে হতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের পথ হারানোর। সেই চাওয়া পূরণ হলো না। তাইতো, ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ের পরও মৌসুমের শেষটা সুখকর হলো না জিনেদিন জিদানের দলের। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে শনিবার লা লিগার শেষ রাউন্ডে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। একই সময়ে গড়ানো আরেক ম্যাচে রিয়াল ভাইয়াদলিদকে একই ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আসরে প্রথম দেখায় গত নভেম্বরে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল রিয়াল। শুরুতে গোল খাওয়ার পর অনেকটা সময় পিছিয়ে থাকায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এবারও হোঁচট খাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ দিকে দুই গোল করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ঠিক একই সময়ে শিরোপা স্বপ্নে মাঠে নামা দুই দলের শুরুটা হয় বেশ বাজে। প্রায় একই সময়ে গোল খেয়ে বসে রিয়াল ও আতলেতিকো। রিয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে অষ্টাদশ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো। তার দুই মিনিট পর নিজেদের আঙিনায় গোল হজম করে রিয়াল। জেরাদ মোরেনার ডি-বক্সে উঁচু করে বাড়ানো বল পা বাড়িয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ইয়েরিমো পিনো। বল আগুয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার গায়ে লেগে জালে জড়ায়। খানিক পর ভিয়ারিয়ালের ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার দানিয়েল পারেহোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে রিয়াল। শরীর থেকে হাত ছিল দূরে, তবে সাড়া মেলেনি রেফারির।
৩৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান লুকা মদ্রিচ। কিন্তু ডি-বক্সে একজনকে কাটানোর পর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। বিরতির আগে গোলরক্ষক বরাবর হেড করে হতাশা বাড়ান কাসেমিরো। বিরতির পর বেশ আত্মবিশ্বাসী শুরু করে রিয়াল। চাপ ধরে রাখলেও নিশ্চিত সুযোগ মিলছিল না। বাঁ দিক দিয়ে সবসময়ের মতো ভীতি ছড়ান ভিনিসিউস জুনিয়র, কিন্তু একইভাবে শেষ মুহূর্তে তার বল হারিয়ে ফেলা বা দুর্বল শট নেওয়া ছিল হতাশাজনক। ৫৫তম মিনিটে হেডে জালে বল পাঠান বেনজেমা। তবে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এতে রিয়ালের হতাশা বাড়লেও প্রায় একই সময়ে সমতার স্বস্তি ফেরে আতলেতিকো শিবিরে। ৬৬তম মিনিটে সমতা টানার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বেনজেমা। চাপের মুখে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুল পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পান ফরাসি ফরোয়ার্ড। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা জালে শট না নিয়ে সময় নষ্ট করেন তিনি, পরে নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। আর বেনজেমার এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের সময় ভাইয়াদলিদের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আতলেতিকো। সেখানে লুইস সুয়ারেসের গোলে স্কোরলাইন ২-১ করার সঙ্গে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পথে বড় এক লাফ দেয় দলটি। শেষ দিকে ভীষণ চাপ বাড়ায় রিয়াল। তাতেই পাঁচ মিনিটে মেলে জোড়া গোল। বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্টের পর ৮৭তম মিনিটে সমতা টানেন বেনজেমা। বদলি নামা রদ্রিগোর পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে বল জালে পাঠান ত
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ দিক থেকে বেনজেমার ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জয়সূচক গোলটি করেন মদ্রিচ। ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন জয় নিশ্চিতভাবেই দারুণ এক প্রাপ্তি। পাশাপাশি লিগে টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে মৌসুমের ইতি টানার আনন্দ। তবে, দিন শেষে বেনজেমা-কাসেমিরোদের চোখে মুখে ছিল না সেই ছবি। লক্ষ্য ছোঁয়ার খুব কাছে গিয়েও যে ফিরতে হলো কিছু না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। গত জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমি-ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পরাজয়। এর ছয় দিন পর তৃতীয় সারির দল আলকোইয়ানোর বিপক্ষে হেরে কোপা দেল রের শেষ বত্রিশ থেকে বিদায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও সেমি-ফাইনালে বাজে পারফরম্যান্সে হেরে বসে চেলসির কাছে। সবশেষ লা লিগার মুকুট হারিয়ে শূন্য হাতে মৌসুম শেষ হলো জিনেদিন জিদানের দলের। ৩৮ ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে থেকে আসর শেষ করেছে তারা। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে ৭ বছর পর শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো। আর এইবারকে কোনোমতে ১-০ গোলে হারিয়ে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে বার্সেলোনা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নাটকীয় জয়ের পরও হাসি নেই রিয়ালের

আপডেট সময় : ১১:০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১


ক্রীড়া ডেস্ক : লিগ শিরোপা ধরে রাখতে নিজেদের কাজটুকু সারলেও যথেষ্ট হতো না রিয়াল মাদ্রিদের। প্রার্থনা করতে হতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের পথ হারানোর। সেই চাওয়া পূরণ হলো না। তাইতো, ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ের পরও মৌসুমের শেষটা সুখকর হলো না জিনেদিন জিদানের দলের। আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে শনিবার লা লিগার শেষ রাউন্ডে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। একই সময়ে গড়ানো আরেক ম্যাচে রিয়াল ভাইয়াদলিদকে একই ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। আসরে প্রথম দেখায় গত নভেম্বরে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১-১ ড্র করেছিল রিয়াল। শুরুতে গোল খাওয়ার পর অনেকটা সময় পিছিয়ে থাকায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের এবারও হোঁচট খাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ দিকে দুই গোল করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ঠিক একই সময়ে শিরোপা স্বপ্নে মাঠে নামা দুই দলের শুরুটা হয় বেশ বাজে। প্রায় একই সময়ে গোল খেয়ে বসে রিয়াল ও আতলেতিকো। রিয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে অষ্টাদশ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো। তার দুই মিনিট পর নিজেদের আঙিনায় গোল হজম করে রিয়াল। জেরাদ মোরেনার ডি-বক্সে উঁচু করে বাড়ানো বল পা বাড়িয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন ইয়েরিমো পিনো। বল আগুয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার গায়ে লেগে জালে জড়ায়। খানিক পর ভিয়ারিয়ালের ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার দানিয়েল পারেহোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করে রিয়াল। শরীর থেকে হাত ছিল দূরে, তবে সাড়া মেলেনি রেফারির।
৩৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান লুকা মদ্রিচ। কিন্তু ডি-বক্সে একজনকে কাটানোর পর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। বিরতির আগে গোলরক্ষক বরাবর হেড করে হতাশা বাড়ান কাসেমিরো। বিরতির পর বেশ আত্মবিশ্বাসী শুরু করে রিয়াল। চাপ ধরে রাখলেও নিশ্চিত সুযোগ মিলছিল না। বাঁ দিক দিয়ে সবসময়ের মতো ভীতি ছড়ান ভিনিসিউস জুনিয়র, কিন্তু একইভাবে শেষ মুহূর্তে তার বল হারিয়ে ফেলা বা দুর্বল শট নেওয়া ছিল হতাশাজনক। ৫৫তম মিনিটে হেডে জালে বল পাঠান বেনজেমা। তবে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এতে রিয়ালের হতাশা বাড়লেও প্রায় একই সময়ে সমতার স্বস্তি ফেরে আতলেতিকো শিবিরে। ৬৬তম মিনিটে সমতা টানার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বেনজেমা। চাপের মুখে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুল পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পান ফরাসি ফরোয়ার্ড। সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা জালে শট না নিয়ে সময় নষ্ট করেন তিনি, পরে নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। আর বেনজেমার এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের সময় ভাইয়াদলিদের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে আতলেতিকো। সেখানে লুইস সুয়ারেসের গোলে স্কোরলাইন ২-১ করার সঙ্গে শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পথে বড় এক লাফ দেয় দলটি। শেষ দিকে ভীষণ চাপ বাড়ায় রিয়াল। তাতেই পাঁচ মিনিটে মেলে জোড়া গোল। বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্টের পর ৮৭তম মিনিটে সমতা টানেন বেনজেমা। বদলি নামা রদ্রিগোর পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরালো শটে বল জালে পাঠান ত
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বাঁ দিক থেকে বেনজেমার ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জয়সূচক গোলটি করেন মদ্রিচ। ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন জয় নিশ্চিতভাবেই দারুণ এক প্রাপ্তি। পাশাপাশি লিগে টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে মৌসুমের ইতি টানার আনন্দ। তবে, দিন শেষে বেনজেমা-কাসেমিরোদের চোখে মুখে ছিল না সেই ছবি। লক্ষ্য ছোঁয়ার খুব কাছে গিয়েও যে ফিরতে হলো কিছু না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। গত জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমি-ফাইনালে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে পরাজয়। এর ছয় দিন পর তৃতীয় সারির দল আলকোইয়ানোর বিপক্ষে হেরে কোপা দেল রের শেষ বত্রিশ থেকে বিদায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অনেকটা পথ এগিয়ে গেলেও সেমি-ফাইনালে বাজে পারফরম্যান্সে হেরে বসে চেলসির কাছে। সবশেষ লা লিগার মুকুট হারিয়ে শূন্য হাতে মৌসুম শেষ হলো জিনেদিন জিদানের দলের। ৩৮ ম্যাচে ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে থেকে আসর শেষ করেছে তারা। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে ৭ বছর পর শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো। আর এইবারকে কোনোমতে ১-০ গোলে হারিয়ে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে বার্সেলোনা।