প্রত্যাশা ডেস্ক : মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের (ওয়ানএমডিবি) অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব সাজা বহাল রেখেছেন দেশটির শীর্ষ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ওয়ানএমডিবি-র তহবিল কেলেঙ্কারির প্রথম মামলায় নাজিব রাজাককে ১২ বছরের কারাদ- দেন আদালত। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন নাজিব রাজাক। দীর্ঘ শুনানির পর মঙ্গলবার আগের রায় বহাল রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান শীর্ষ আদালত।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত আপিলের এই রায়ের অর্থ হলো, নাজিব রাজাককে অবিলম্বে সাজা ভোগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি হবেন কারাভোগ করা দেশটির প্রথম কোনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবারের রায়ে পাঁচ সদস্যের ফেডারেল কোর্ট প্যানেল জানিয়েছেন, তারা সর্বসম্মতভাবে এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, হাই কোর্টের রায় সঠিক ছিল। বরং নাজিব রাজাক যে আপিল করেছেন সেটির কোনও মেরিট ছিল না। ফলে শীর্ষ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং হাই কোর্ট ঘোষিত সাজাকে সমর্থন করছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ায় নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ (ওয়ানএমডিবি) তহবিল গঠন করা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৫ সালে ব্যাংক ও শেয়ারহোল্ডারদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে এই তহবিলের কর্মকা- নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অভিযোগ উঠে, এই তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ অবৈধভাবে আত্মসাৎ করে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অর্থ বিলাসবহুল বাড়ি, বিমান, দামি চিত্রকর্ম কেনাসহ নানা বিলাসী কর্মকা-ে ব্যয় করা হয়েছে।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নাজিব রাজাক ও তার জোটের ঐতিহাসিক পরাজয়ের নেপথ্যে বড় ভূমিকা রাখে ওয়ানএমবিডি আর্থিক কেলেঙ্কারি। ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে নাজিবের বিরুদ্ধে প্রতারণার তিনটি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি অভিযোগ আনা হয়। সব মিলে তার বিরুদ্ধে মোট ৪২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ওয়ানএমবিডি তহবিল সংক্রান্ত।
নাজিব রাজাকের সাজা বহাল রাখলো শীর্ষ আদালত
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ