ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নাঈমের ১৭৬, দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ প্রাইম ব্যাংকের

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করলেন সাব্বির হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সাব্বির ফিরে গেলেও দলকে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে নিলেন নাঈম। পৌনে দুইশ ছুঁয়ে বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ের পর সাজ্জাদুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঝড়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪২২ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাঠে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারত। বাংলাদেশের মাঠে এতদিন এটিই ছিল একমাত্র চারশছোঁয়া দলীয় সংগ্রহ।

বাংলাদেশের কোনো দলের ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডটি ছিল আবাহনী লিমিটেডের। ২০১৮ সালের মার্চে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করেছিল দেশের ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। পরে দুই দফা চারশর কাছাকাছি যায় প্রাইম ব্যাংক। ২০২২ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে এনামুল হকের ১৮৪ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। গত বছর ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩৮০ রান করেছিল তারা।

বারবার খুব কাছে গিয়ে চারশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপ এবার তারা দূর করল নাঈম শেখের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে মাত্র ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ১৮ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান সাব্বির ও নাঈম। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১১০ বলে আসে ১৪০ রান। ৪৪ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাব্বির। ৯ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৬৩ বলে ৭৩ রান করেন তিনি।

এরপর রানের গতি কমতে দেননি নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে ৬৮ বলে যোগ করেন ৮৬ রান। জাকির বড় কিছু করতে পারেননি। চার নম্বরে নেমে হতাশ করেন শাহাদাত হোসেনও। অন্যপ্রান্তে তখনও অবিচল নাঈম। ৩৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও এগিয়ে যার তিনি। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করতে তার লাগে ৮২ বল।

এরপর আরও উত্তাল তার ব্যাট। মাত্র ২৪ বলে একশ থেকে দেড়শ রানে পৌঁছে যান ২৫ বছর বয়সী ওপেনার। নাঈমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৩৭ ওভারে তিনশ করে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। এক ওভার পরই সালাউদ্দিন শাকিলের বলে কাভারে ধরা পরে ফেরেন নাঈম। ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে তার সঙ্গী প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নেমে সহজাত শটে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন শামীম হোসেন। কিন্তু তিনি ৮ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। রানের গতিতেও তখন একটু ভাটা পড়েছিল। চারশ নিয়ে শঙ্কাও জেগেছিল কিছুটা। শেষ দিকে দায়িত্ব নেন মামুন ও সাজ্জাদুল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৫২ বলে ৮৪ রানের জুটি।

দলকে চারশর খুব কাছে রেখে আউট হন ৩টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান করা মামুন। অপরাজিত ইনিংসে ৩৭ বলে ৫০ রান করেন সাজ্জাদুল। ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। ব্রাদার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আল আমিন হোসেন ১০ ওভারে খরচ করেন ৭৭ রান। দলটির সাত বোলারের সবাই ওভারপ্রতি সাতের বেশি রান খরচ করেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফুঁসছে দেশ

নাঈমের ১৭৬, দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ সংগ্রহ প্রাইম ব্যাংকের

আপডেট সময় : ০৭:৪৩:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিধ্বংসী উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা করলেন সাব্বির হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সাব্বির ফিরে গেলেও দলকে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে নিলেন নাঈম। পৌনে দুইশ ছুঁয়ে বাঁহাতি ওপেনারের বিদায়ের পর সাজ্জাদুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের ঝড়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৪২২ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাঠে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরির সৌজন্যে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারত। বাংলাদেশের মাঠে এতদিন এটিই ছিল একমাত্র চারশছোঁয়া দলীয় সংগ্রহ।

বাংলাদেশের কোনো দলের ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডটি ছিল আবাহনী লিমিটেডের। ২০১৮ সালের মার্চে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করেছিল দেশের ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল দলটি। পরে দুই দফা চারশর কাছাকাছি যায় প্রাইম ব্যাংক। ২০২২ সালে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে এনামুল হকের ১৮৪ রানের সৌজন্যে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। গত বছর ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৩৮০ রান করেছিল তারা।

বারবার খুব কাছে গিয়ে চারশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপ এবার তারা দূর করল নাঈম শেখের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে মাত্র ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। ১৮ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান সাব্বির ও নাঈম। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ১১০ বলে আসে ১৪০ রান। ৪৪ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাব্বির। ৯ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৬৩ বলে ৭৩ রান করেন তিনি।

এরপর রানের গতি কমতে দেননি নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে ৬৮ বলে যোগ করেন ৮৬ রান। জাকির বড় কিছু করতে পারেননি। চার নম্বরে নেমে হতাশ করেন শাহাদাত হোসেনও। অন্যপ্রান্তে তখনও অবিচল নাঈম। ৩৮ বলে ফিফটি ছুঁয়ে আরও এগিয়ে যার তিনি। ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করতে তার লাগে ৮২ বল।

এরপর আরও উত্তাল তার ব্যাট। মাত্র ২৪ বলে একশ থেকে দেড়শ রানে পৌঁছে যান ২৫ বছর বয়সী ওপেনার। নাঈমের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৩৭ ওভারে তিনশ করে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। এক ওভার পরই সালাউদ্দিন শাকিলের বলে কাভারে ধরা পরে ফেরেন নাঈম। ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে তার সঙ্গী প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ সর্বোচ্চ ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নেমে সহজাত শটে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন শামীম হোসেন। কিন্তু তিনি ৮ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। রানের গতিতেও তখন একটু ভাটা পড়েছিল। চারশ নিয়ে শঙ্কাও জেগেছিল কিছুটা। শেষ দিকে দায়িত্ব নেন মামুন ও সাজ্জাদুল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৫২ বলে ৮৪ রানের জুটি।

দলকে চারশর খুব কাছে রেখে আউট হন ৩টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান করা মামুন। অপরাজিত ইনিংসে ৩৭ বলে ৫০ রান করেন সাজ্জাদুল। ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। ব্রাদার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আল আমিন হোসেন ১০ ওভারে খরচ করেন ৭৭ রান। দলটির সাত বোলারের সবাই ওভারপ্রতি সাতের বেশি রান খরচ করেন।