ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

নাইডু ও রাজনাথ বললেন ভারতের উন্নতি হজম হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের

  • আপডেট সময় : ০৯:২০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু -ফাইল ছবি

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি হজম করতে পারছে না।

এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লেও কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করবে না ভারত। এমনকি জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত বাইরের চাপ উপেক্ষা করেই এগোবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার চেন্নাইয়ে এম এস স্বামীনাথন শতবর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে নাইডু বলেন, আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষা করব এবং কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে দৃঢ় থাকব। হুমকির মুখে নত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। হুমকি ভারতে কাজ করবে না। তিনি জানান, ভারত এখন ‘নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে’ আছে এবং ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ দর্শনের ভিত্তিতে সহযোগিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

মূলত ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন এবং ভারতকে মৃত অর্থনীতির দেশ বলে মন্তব্য করেছেন।
নাইডু বলেন, ভারত দ্রুত এগোচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি’ পাচ্ছে- যা কিছু দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভাষায়, তারা আমাদের উন্নতি হজম করতে পারছে না। তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে। ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছাচ্ছে উল্লেখ করে নাইডু আশা প্রকাশ করেন, কৃষক, গবেষক ও তরুণদের অবদানে দেশ আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, মিত্র দেশ ভারতের ওপর বেছে বেছে শুল্ক আরোপ কতটা ন্যায্য, যখন যুক্তরাষ্ট্র এখনো (রাশিয়া থেকে) ইউরেনিয়াম ও সার আমদানি করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনে। তার দাবি, আমরা বন্ধু ছিলাম। আমরা সবসময় আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা প্রাচীনতম গণতন্ত্র আর আমরা বৃহত্তম গণতন্ত্র। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোনো উসকানি বা কারণ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

‘সবার বস’ ভারতের উন্নতি মেনে নিতে পারছেন না: যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি হজম করতে পারছে না। তিনি সরাসরি নাম না নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি মনে করছেন- সবার বস তো আমিই, তাহলে ভারত এত দ্রুত এগোচ্ছে কীভাবে?
রাজনাথ সিং বলেন, কিছু লোক ভারতের অগ্রগতি মেনে নিতে পারছে না। তারা এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। এখন চেষ্টা চলছে ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে, যাতে অন্য দেশগুলো সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু ভারত যে গতিতে এগোচ্ছে, আমি নিশ্চিত করে বলছি- কোনো বৈশ্বিক শক্তি আমাদের থামাতে পারবে না।

তিনি এদিন ভোপালের রাইসেন জেলার উমারিয়া গ্রামে ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডের (বিইএমএল) ‘ব্রহ্মা’ রেল হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। পহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, আমরা বিশ্বের মঙ্গল চাই, কিন্তু কেউ যদি উসকানি দেয়, তাহলে আমরা তাকে ছেড়ে কথা বলব না। অপারেশন সিঁদুরে দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারত আজ এই অবস্থানে এসেছে কারণ আমরা প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি। তার দাবি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে ও এরই মধ্যে রেকর্ড ছুঁয়েছে।
রাজনাথ সিং গর্বের সঙ্গে বলেন, আগে প্রায় সব যুদ্ধবিমান, অস্ত্রশস্ত্র বিদেশে তৈরি হত ও প্রয়োজনে আমরা সেগুলো কিনতাম। আজ আমরা শুধু নিজের দেশে এসব তৈরি করছি না, বরং অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করছি। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে ভারত ছিল বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ আমরা প্রথম চারটির মধ্যে আছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বিশ্বের দ্রুততমগুলোর একটি। অনেকে বলেন, যদি কোনো দেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত ও গতিশীল হয়, সেটি আমাদের ভারত। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় প্রতিরক্ষা রপ্তানি ছিল মাত্র ৬০০ কোটি রুপি। আজ সেই অঙ্ক ২৪ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। বিশ্বের নানা দেশ আমাদের পণ্য কিনছে। সূত্র: এনডিটিভি

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নাইডু ও রাজনাথ বললেন ভারতের উন্নতি হজম হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ০৯:২০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ভারতের উন্নতি হজম করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি হজম করতে পারছে না।

এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লেও কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করবে না ভারত। এমনকি জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত বাইরের চাপ উপেক্ষা করেই এগোবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শনিবার চেন্নাইয়ে এম এস স্বামীনাথন শতবর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে নাইডু বলেন, আমরা জ্বালানি নিরাপত্তা রক্ষা করব এবং কৌশলগত ও জাতীয় স্বার্থে দৃঢ় থাকব। হুমকির মুখে নত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। হুমকি ভারতে কাজ করবে না। তিনি জানান, ভারত এখন ‘নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে’ আছে এবং ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ দর্শনের ভিত্তিতে সহযোগিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

মূলত ভারতের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছেন এবং ভারতকে মৃত অর্থনীতির দেশ বলে মন্তব্য করেছেন।
নাইডু বলেন, ভারত দ্রুত এগোচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি’ পাচ্ছে- যা কিছু দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভাষায়, তারা আমাদের উন্নতি হজম করতে পারছে না। তাদের হজমে সমস্যা হচ্ছে। ভারত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে পৌঁছাচ্ছে উল্লেখ করে নাইডু আশা প্রকাশ করেন, কৃষক, গবেষক ও তরুণদের অবদানে দেশ আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, মিত্র দেশ ভারতের ওপর বেছে বেছে শুল্ক আরোপ কতটা ন্যায্য, যখন যুক্তরাষ্ট্র এখনো (রাশিয়া থেকে) ইউরেনিয়াম ও সার আমদানি করে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনে। তার দাবি, আমরা বন্ধু ছিলাম। আমরা সবসময় আমেরিকাকে শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা প্রাচীনতম গণতন্ত্র আর আমরা বৃহত্তম গণতন্ত্র। আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কোনো উসকানি বা কারণ ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

‘সবার বস’ ভারতের উন্নতি মেনে নিতে পারছেন না: যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক নীতির তীব্র সমালোচনা করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তিধর দেশ ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি হজম করতে পারছে না। তিনি সরাসরি নাম না নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি মনে করছেন- সবার বস তো আমিই, তাহলে ভারত এত দ্রুত এগোচ্ছে কীভাবে?
রাজনাথ সিং বলেন, কিছু লোক ভারতের অগ্রগতি মেনে নিতে পারছে না। তারা এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। এখন চেষ্টা চলছে ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে, যাতে অন্য দেশগুলো সেগুলো কেনা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু ভারত যে গতিতে এগোচ্ছে, আমি নিশ্চিত করে বলছি- কোনো বৈশ্বিক শক্তি আমাদের থামাতে পারবে না।

তিনি এদিন ভোপালের রাইসেন জেলার উমারিয়া গ্রামে ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেডের (বিইএমএল) ‘ব্রহ্মা’ রেল হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। পহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, আমরা বিশ্বের মঙ্গল চাই, কিন্তু কেউ যদি উসকানি দেয়, তাহলে আমরা তাকে ছেড়ে কথা বলব না। অপারেশন সিঁদুরে দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারত আজ এই অবস্থানে এসেছে কারণ আমরা প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভর হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি। তার দাবি, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি অভূতপূর্ব হারে বাড়ছে ও এরই মধ্যে রেকর্ড ছুঁয়েছে।
রাজনাথ সিং গর্বের সঙ্গে বলেন, আগে প্রায় সব যুদ্ধবিমান, অস্ত্রশস্ত্র বিদেশে তৈরি হত ও প্রয়োজনে আমরা সেগুলো কিনতাম। আজ আমরা শুধু নিজের দেশে এসব তৈরি করছি না, বরং অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করছি। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৪ সালে ভারত ছিল বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আজ আমরা প্রথম চারটির মধ্যে আছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যা বিশ্বের দ্রুততমগুলোর একটি। অনেকে বলেন, যদি কোনো দেশের অর্থনীতি প্রাণবন্ত ও গতিশীল হয়, সেটি আমাদের ভারত। তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় প্রতিরক্ষা রপ্তানি ছিল মাত্র ৬০০ কোটি রুপি। আজ সেই অঙ্ক ২৪ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। বিশ্বের নানা দেশ আমাদের পণ্য কিনছে। সূত্র: এনডিটিভি