ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

নাইজারে মসজিদে হামলায় নিহত অন্তত ৪৪

  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৩ জন। গতকাল শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। স্থানীয় এই গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী। নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা একটি মসজিদ ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ‘‘বিরল নিষ্ঠুর গণহত্যা’’ চালিয়েছে জিহাদীরা। পরে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় জিহাদিরা স্থানীয় একটি বাজারে ও কিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা সৈন্যরা হামলায় ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১২ সালে মালির ইসলামপন্থী তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর জেরে স্থানীয় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী মালিতে ব্যাপক সহিংসতা শুরু করে। পরে বুরকিনা ফাসো, নাইজারসহ সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিদের এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তার জন্য পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ওই অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে। বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান মিত্র নাইজার। নাইজারের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন গ্রাম, সামরিক ও পুলিশি তল্লাশি চৌকি এবং সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে প্রায়ই হামলা চালায়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাইজারে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নাইজারে মসজিদে হামলায় নিহত অন্তত ৪৪

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের একটি মসজিদে স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪৪ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৩ জন। গতকাল শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসো এবং মালি লাগোয়া নাইজারের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের কোকোরো শহরের ফোমিতা গ্রামের মসজিদে শুক্রবার নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ইআইজিএস এই হামলা চালিয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। স্থানীয় এই গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী। নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ইআইজিএস গোষ্ঠীকে হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। তবে এই হামলার বিষয়ে গোষ্ঠীটির মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা একটি মসজিদ ঘিরে রাখে। সেখানে পবিত্র রমজান মাসে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর ‘‘বিরল নিষ্ঠুর গণহত্যা’’ চালিয়েছে জিহাদীরা। পরে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় জিহাদিরা স্থানীয় একটি বাজারে ও কিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা সৈন্যরা হামলায় ৪৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ও ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে।

এই হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১২ সালে মালির ইসলামপন্থী তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এর জেরে স্থানীয় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী মালিতে ব্যাপক সহিংসতা শুরু করে। পরে বুরকিনা ফাসো, নাইজারসহ সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিদের এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তার জন্য পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ওই অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করে। বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইরত স্থানীয় সৈন্যদের সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর প্রধান মিত্র নাইজার। নাইজারের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন গ্রাম, সামরিক ও পুলিশি তল্লাশি চৌকি এবং সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে প্রায়ই হামলা চালায়। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হামলায় নাইজারে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স।