ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দিলো বিআইডব্লিউটিএ

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

গুঁড়িয়ে দেওয়া নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে দুই দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানের প্রথম দিনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাগানবাড়ি (বাংলো) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত বাগানবাড়ির তিনটি দোতলা ভবন ও একটি ডকইয়ার্ডের প্রায় ২০০ ফুট সীমানা প্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম ছিল বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের দুই দিনের বিশেষ কর্মসূচির অংশ, যা ২০ ও ২১ আগস্ট যৌথভাবে পরিচালিত হবে। পোস্তগোলা সেতু থেকে ধোপাতিয়া বা কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীর তীর লক্ষ্য করে এ অভিযানের মাধ্যমে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট জমি অপসারণ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু নদীও একযোগে অবৈধ দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, ভরাট জমি পুনরুদ্ধার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সব কিছুই একই প্রক্রিয়ার অংশ।
বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সীমানা নির্ধারণ করে ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে সরকার। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা প্রতিকূলতার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যত শক্তিশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই হোক, নদীর জমি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতে পারবে না।’
অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অংশ নেন।

 

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নসরুল হামিদের অবৈধ বাংলো গুঁড়িয়ে দিলো বিআইডব্লিউটিএ

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখলমুক্ত করতে দুই দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানের প্রথম দিনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবৈধভাবে নির্মাণ করা একটি বাগানবাড়ি (বাংলো) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে কোন্ডা ইউনিয়নের কাউটাইল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় দেড় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর দখল করে নির্মিত বাগানবাড়ির তিনটি দোতলা ভবন ও একটি ডকইয়ার্ডের প্রায় ২০০ ফুট সীমানা প্রাচীরও ভেঙে ফেলা হয়। এ উচ্ছেদ কার্যক্রম ছিল বিআইডব্লিউটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের দুই দিনের বিশেষ কর্মসূচির অংশ, যা ২০ ও ২১ আগস্ট যৌথভাবে পরিচালিত হবে। পোস্তগোলা সেতু থেকে ধোপাতিয়া বা কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত নদীর তীর লক্ষ্য করে এ অভিযানের মাধ্যমে দখলদারদের অবৈধ স্থাপনা ও ভরাট জমি অপসারণ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানান, শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু নদীও একযোগে অবৈধ দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, ভরাট জমি পুনরুদ্ধার এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সব কিছুই একই প্রক্রিয়ার অংশ।
বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকার চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সীমানা নির্ধারণ করে ৮০ কিলোমিটার এলাকায় পিলার স্থাপন করেছে সরকার। ২০০৯ সালে এসব নদীতীরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নানা প্রতিকূলতার কারণে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুড়িগঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ রক্ষায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। দখলদার যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যত শক্তিশালী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানই হোক, নদীর জমি কেউ ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করতে পারবে না।’
অভিযানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অংশ নেন।