ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী মোয়াজেরের ‘মৃত্যু’ ঘিরে রহস্য

  • আপডেট সময় : ০২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা পলাশোনা এলাকায় তুরাগ নদ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোয়াজের বিন আলমের (২৩) লাশ উদ্ধার হয়েছে গত সোমবার। কেন এবং কীভাবে অর্থনীতি পড়ুয়া এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মোয়াজের কয়েক দিন ধরে খুব অস্থির ছিলেন। মা দিলারা মজুমদারের কাছে সে কথা বলেও ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার মোয়াজেরের মামা নাসির মজুমদার একটি সংবাদমাধ্যমেক এ কথা জানান।
নাসির মজুমদার বলেন, ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মোয়াজের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পরে তাঁর মাকে জানান, তিনি পঞ্চগড়ে যাচ্ছেন। নাসির মজুমদার বোনকে উদ্ধৃত করে আরও বলেন, ‘মোয়াজেরের সঙ্গে তার বান্ধবীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এটা নিয়ে সে খুব চাপে ছিল, কষ্টও পাচ্ছিল। ছেলেকে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তার মা। কয়েক দিন ধরেই মোয়াজের খুব অস্থির ছিল।’
এদিকে মোয়াজের বিন আলমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় তাঁর বাবা রেজাউল আলম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। পরিবার হত্যা মামলা করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
নাসির মজুমদার বলেন, মোয়াজের বিন আলমের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। তা ছাড়া গাজীপুর বা পঞ্চগড়ে তাঁদের কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। মোয়াজের এক বন্ধুর সঙ্গে যাচ্ছেন বলে বাসায় জানিয়েছিলেন। তাঁরা অবশ্য মোয়াজেরের ওই দুই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, মোয়াজেরের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়নি।
মামলাটির তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। ঢাকা জেলা নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মোয়াজেরের সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা নেই।
গাজীপুরের ইসলামপুরে নদের ধারে মোয়াজেরের মুঠোফোন, পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। পুলিশ সেগুলো জব্দ করেছে। উদ্ধারের সময় মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল। পুলিশ মুঠোফোনের কললিস্ট চেয়েছে। খোঁজখবরও চলছে বলে জানিয়েছে। অবশ্য পুলিশ বলছে, পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়েছিল-মোয়াজের ফোনে মাকে বলেছিলেন, তিনি পঞ্চগড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এর পর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মোয়াজেরের বাবা ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাবের) কাছেও গিয়েছিলেন বলে পরিবার বলছে। এরপর সোমবার সকালে তুরাগ নদ থেকে মোয়াজেরের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী মোয়াজেরের ‘মৃত্যু’ ঘিরে রহস্য

আপডেট সময় : ০২:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা পলাশোনা এলাকায় তুরাগ নদ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোয়াজের বিন আলমের (২৩) লাশ উদ্ধার হয়েছে গত সোমবার। কেন এবং কীভাবে অর্থনীতি পড়ুয়া এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মোয়াজের কয়েক দিন ধরে খুব অস্থির ছিলেন। মা দিলারা মজুমদারের কাছে সে কথা বলেও ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার মোয়াজেরের মামা নাসির মজুমদার একটি সংবাদমাধ্যমেক এ কথা জানান।
নাসির মজুমদার বলেন, ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে মোয়াজের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পরে তাঁর মাকে জানান, তিনি পঞ্চগড়ে যাচ্ছেন। নাসির মজুমদার বোনকে উদ্ধৃত করে আরও বলেন, ‘মোয়াজেরের সঙ্গে তার বান্ধবীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এটা নিয়ে সে খুব চাপে ছিল, কষ্টও পাচ্ছিল। ছেলেকে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তার মা। কয়েক দিন ধরেই মোয়াজের খুব অস্থির ছিল।’
এদিকে মোয়াজের বিন আলমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় তাঁর বাবা রেজাউল আলম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। পরিবার হত্যা মামলা করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
নাসির মজুমদার বলেন, মোয়াজের বিন আলমের শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন আছে। তা ছাড়া গাজীপুর বা পঞ্চগড়ে তাঁদের কোনো আত্মীয়স্বজন নেই। মোয়াজের এক বন্ধুর সঙ্গে যাচ্ছেন বলে বাসায় জানিয়েছিলেন। তাঁরা অবশ্য মোয়াজেরের ওই দুই বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, মোয়াজেরের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়নি।
মামলাটির তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। ঢাকা জেলা নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার খন্দকার ফরিদুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মোয়াজেরের সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে উল্লেখযোগ্য কোনো আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা নেই।
গাজীপুরের ইসলামপুরে নদের ধারে মোয়াজেরের মুঠোফোন, পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। পুলিশ সেগুলো জব্দ করেছে। উদ্ধারের সময় মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল। পুলিশ মুঠোফোনের কললিস্ট চেয়েছে। খোঁজখবরও চলছে বলে জানিয়েছে। অবশ্য পুলিশ বলছে, পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বলা হয়েছিল-মোয়াজের ফোনে মাকে বলেছিলেন, তিনি পঞ্চগড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এর পর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মোয়াজেরের বাবা ভাটারা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাবের) কাছেও গিয়েছিলেন বলে পরিবার বলছে। এরপর সোমবার সকালে তুরাগ নদ থেকে মোয়াজেরের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।