ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

নভেম্বরের সেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে বাংলাদেশের নাহিদা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটারের দৌড়ে প্রথমবার যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার এবার আছেন নভেম্বরের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুজন পাকিস্তানের আনাম আমিন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলে ম্যাথিউস। পুরুষদের ক্যাটাগরিতে এবারের লড়াই পাকিস্তানের আবিদ আলী, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি। নাহিদা নভেম্বরে চার ওয়ানডে খেলে ২.২২ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন। এর মধ্যে ১১ উইকেট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে, যা ৩-০ তে জিতেছিল বাংলাদেশ। বুলাওয়েতে তৃতীয় ম্যাচে ২১ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট এই বাংলাদেশি অফস্পিনার। তারপর হারারেতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে বাকি দুটি উইকেট নেন নাহিদা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনাম ৩.০০ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন নভেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে সিরিজের শীর্ষ বোলার ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাকিস্তানি বোলার নেন চার উইকেট, যার মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ রানে পান তিনটি।
গত জুলাইয়ে সতীর্থ অধিনায়ক স্টেফানি টেলরের সঙ্গে সেরা তিনে ছিলেন অলরাউন্ডার হেইলে ম্যাথিউস। চার ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয়বার মনোনীত হলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ১৪১ রান করার সঙ্গে তিনি উইকেট নেন ৯টি। পাকিস্তানরে বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রথম ম্যাচে করেন ৫৭ রান ও উইকেট নেন ৩১ রানে তিনটি। দ্বিতীয় ম্যাচেও পান ২৬ রানে চার উইকেট। পুরুষ ক্যাটাগরিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ওয়ার্নার নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবেন। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানের পর ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৫৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় ৬৯.৬৬ গড় ও ১৫১.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ২০৯ রান করেন। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিতে রাখেন কার্যকরী ভূমিকা। আবিদ মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৩ ও ৯১ রান করেন তিনি চট্টগ্রাম টেস্টে। ৮ উইকেটে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তার। আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে দুই ইনিংসেই শতাধিক রানের জুটি গড়েন তিনি। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ড্র হওয়া টেস্টে ৮ উইকেট নেন নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার সাউদি। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নভেম্বরে পান সাত উইকেট। দল ফাইনালে উঠলেও হেরে যায়। এছাড়া রাঁচিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি উইকেট নেন তিনি। আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমির ৯০ শতাংশ ও ভক্তদের ১০ শতাংশ ভোটের সমন্বয়ে প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৩ ডিসেম্বর জানা যাবে নতুন বিজয়ীর নাম।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নভেম্বরের সেরা ক্রিকেটারের দৌড়ে বাংলাদেশের নাহিদা

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটারের দৌড়ে প্রথমবার যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার এবার আছেন নভেম্বরের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দুজন পাকিস্তানের আনাম আমিন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলে ম্যাথিউস। পুরুষদের ক্যাটাগরিতে এবারের লড়াই পাকিস্তানের আবিদ আলী, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি। নাহিদা নভেম্বরে চার ওয়ানডে খেলে ২.২২ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন। এর মধ্যে ১১ উইকেট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে, যা ৩-০ তে জিতেছিল বাংলাদেশ। বুলাওয়েতে তৃতীয় ম্যাচে ২১ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট এই বাংলাদেশি অফস্পিনার। তারপর হারারেতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে বাকি দুটি উইকেট নেন নাহিদা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনাম ৩.০০ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন নভেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে সিরিজের শীর্ষ বোলার ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাকিস্তানি বোলার নেন চার উইকেট, যার মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ রানে পান তিনটি।
গত জুলাইয়ে সতীর্থ অধিনায়ক স্টেফানি টেলরের সঙ্গে সেরা তিনে ছিলেন অলরাউন্ডার হেইলে ম্যাথিউস। চার ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয়বার মনোনীত হলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ১৪১ রান করার সঙ্গে তিনি উইকেট নেন ৯টি। পাকিস্তানরে বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রথম ম্যাচে করেন ৫৭ রান ও উইকেট নেন ৩১ রানে তিনটি। দ্বিতীয় ম্যাচেও পান ২৬ রানে চার উইকেট। পুরুষ ক্যাটাগরিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় ওয়ার্নার নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবেন। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৯ রানের পর ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৫৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতায় ৬৯.৬৬ গড় ও ১৫১.৪৪ স্ট্রাইক রেটে ২০৯ রান করেন। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিতে রাখেন কার্যকরী ভূমিকা। আবিদ মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩৩ ও ৯১ রান করেন তিনি চট্টগ্রাম টেস্টে। ৮ উইকেটে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তার। আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে দুই ইনিংসেই শতাধিক রানের জুটি গড়েন তিনি। কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ড্র হওয়া টেস্টে ৮ উইকেট নেন নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার সাউদি। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নভেম্বরে পান সাত উইকেট। দল ফাইনালে উঠলেও হেরে যায়। এছাড়া রাঁচিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি উইকেট নেন তিনি। আইসিসি ভোটিং অ্যাকাডেমির ৯০ শতাংশ ও ভক্তদের ১০ শতাংশ ভোটের সমন্বয়ে প্রতি মাসের দ্বিতীয় সোমবার বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৩ ডিসেম্বর জানা যাবে নতুন বিজয়ীর নাম।