নিজস্ব প্রতিবেদক: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, নদী বিপর্যয়ের তিনটি বড় কারণ রয়েছে। একটি হলো ভারত, বাকি দুটি আমাদের নিজেদের। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে নদী ধ্বংস এবং ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর দখলদারি। অথচ এসব বিষয়ে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই। দেশের ভেতরে নদী দখল ও দূষণে জাতীয় ঐক্য থাকলেও উদ্ধারে ঐক্য নেই। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নোঙর ট্রাস্টের আয়োজনে ‘আন্তসীমা নদী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে যৌথ নদী কমিশন কেন কাজ করে না? বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কিংবা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আলোচনায় সব সময় আমাদের দিক থেকে ঘাটতি দেখা যায়। সরকারগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরশীল। নদী নিয়ে যে ডেলটা প্ল্যান হচ্ছে, সেটিও নেদারল্যান্ডসের একটি গোষ্ঠী করে দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করেছেন। বর্তমানে ভারতে বাঁধ ভাঙার দাবিও উঠছে। সুতরাং, ভারতের নাগরিক সমাজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ তৈরি করা জরুরি।
আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সবার প্রত্যাশা ছিল— কিছু পরিবর্তন আসবে। প্রথমেই তারা দেশের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নদী সংস্কার কমিটি করতে পারতো। আরেকটি সহজ কাজ ছিল জাতিসংঘের ১৯৯৬ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করা।
আলোচনা সভার সভাপতি নোঙর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সুমন শামস বাংলাদেশের নদী সুরক্ষায় ২৩ মে দিনটিকে ‘জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণা করা এবং নদী সম্পদ মন্ত্রণালয় গঠন করার দাবি জানান।
নদীসম্পদ মন্ত্রণালয় গঠন করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সুমন শামস বলেন, নদীগুলোকে কার্যকরভাবে সুরক্ষা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে নদীর কাজ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে বিভক্ত।
সানা/কেএমএএ/আপ্র/২৬/০৯/২০২৫