ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটে ইজারাদাররা লুটপাট চালাচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সবকটি নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাট এবং খেয়া পারাপারের চার শতাধিক ঘাট পয়েন্টে বিআইডাব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদাররা চুক্তির শর্ত লংঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০/৩০/৫০/১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর নিয়োজিত ইজারাদার। অথচ এই ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এহেন লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডাব্লিউটিএ ইজারাকৃত সারাদেশের চার শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নৌপথে যাত্রী হয়রানি ও টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দেওয়ার পরও এমন নৈরাজ্য বন্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদাররা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উশৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে যাত্রীদের অনেককেই তাদের চাহিদামতো অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে হচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, তাদের অনেকের দামি মালামালও নদীর পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।এমনকি মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। এতে অসহায় যাত্রী সাধারণকে সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নদীবন্দর ও লঞ্চঘাটে ইজারাদাররা লুটপাট চালাচ্ছে

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সদরঘাট নদীবন্দরসহ দেশের সবকটি নৌ-বন্দর ও লঞ্চঘাট এবং খেয়া পারাপারের চার শতাধিক ঘাট পয়েন্টে বিআইডাব্লিউটিএ ও জেলা পরিষদের ইজারাদাররা চুক্তির শর্ত লংঘন করে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সদরঘাটে নদীতে নামতে-উঠতে যাত্রীপ্রতি টোল নেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী খেয়া পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের কথা বলা আছে। এখানে কেউ পরিবারের জন্য বাজার সদাই নিয়ে পারাপার হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০/৩০/৫০/১০০ টাকা হারে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএর নিয়োজিত ইজারাদার। অথচ এই ঘাটে ইজারাদারের নৌকায় পারাপারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায়ের চুক্তি রয়েছে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, দেশের নৌ-পথের যাত্রী পারাপারে এহেন লুটপাট বাণিজ্য শুধু সদরঘাট নয়, বিআইডাব্লিউটিএ ইজারাকৃত সারাদেশের চার শতাধিক নদীবন্দর ও খেয়াঘাটের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ঘাট ও খেয়া পারাপার পয়েন্টে এ ধরনের হরিলুটের মহোৎসব চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নৌপথে যাত্রী হয়রানি ও টোল নৈরাজ্য বন্ধে বার বার নির্দেশনা দেওয়ার পরও এমন নৈরাজ্য বন্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএর কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী সাধারণ অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদ করলে তাদের নাজেহাল করা হচ্ছে। এসব ঘাটে টোল আদায়ের জন্য ইজারাদাররা এলাকার মাস্তান প্রকৃতির উশৃঙ্খল যুবকদের দায়িত্ব দেওয়ার ফলে যাত্রীদের অনেককেই তাদের চাহিদামতো অতিরিক্ত টোল ও অবৈধ চাঁদা দিয়ে নদী ও ঘাট পারাপার হতে হচ্ছে। যাত্রীদের দাবি, তাদের অনেকের দামি মালামালও নদীর পানিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।এমনকি মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। এতে অসহায় যাত্রী সাধারণকে সরকারের ওপর নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।