ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

নথি ফাঁসের শঙ্কায় ভারতে সরকারি দপ্তরে এআই নিষিদ্ধ

  • আপডেট সময় : ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় সরকারি দপ্তরে এআই নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সম্প্রতি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রতীপ কুমার সিংয়ের স্বাক্ষর করা একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এসেছে; যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি কম্পিউটার বা অফিসের যন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব অ্যাপ ব্যবহার করলে সরকারি গোপন নথি ফাঁসের সম্ভাবনা বাড়বে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি অফিসের কম্পিউটার বা অন্য কোনো সরকারি ডিভাইসে এআইচালিত অ্যাপ ব্যবহৃত হলে সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যেতে পারে। এআই অ্যাপগুলো সাধারণত ইউজারের দেওয়া ইনপুট সংরক্ষণ করে এবং সেটি ভবিষ্যতে বিশ্লেষণ ও মডেল ট্রেনিংয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারে। ফলে সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি বা গোপনীয় ডেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু ভারত নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এআই ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইতালির মতো দেশগুলো সরকারি দপ্তরে ‘ডিপসিক’-এর মতো এআই টুল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

অন্যদিকে ওই নির্দেশিকার দিনেই ‘ওপেনএআই’-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ কী হবে এবং কীভাবে এটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে একদিকে যখন ভারত সরকার এআই নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে, তখনই সরকারি দপ্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে কড়াকড়ি নির্দেশিকা জারি করায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরি করা দরকার; যাতে প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস না করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নথি ফাঁসের শঙ্কায় ভারতে সরকারি দপ্তরে এআই নিষিদ্ধ

আপডেট সময় : ০৪:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: তথ্য ফাঁসের আশঙ্কায় সরকারি দপ্তরে এআই নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সম্প্রতি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রতীপ কুমার সিংয়ের স্বাক্ষর করা একটি নির্দেশিকা প্রকাশ্যে এসেছে; যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি কম্পিউটার বা অফিসের যন্ত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব অ্যাপ ব্যবহার করলে সরকারি গোপন নথি ফাঁসের সম্ভাবনা বাড়বে।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি অফিসের কম্পিউটার বা অন্য কোনো সরকারি ডিভাইসে এআইচালিত অ্যাপ ব্যবহৃত হলে সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যেতে পারে। এআই অ্যাপগুলো সাধারণত ইউজারের দেওয়া ইনপুট সংরক্ষণ করে এবং সেটি ভবিষ্যতে বিশ্লেষণ ও মডেল ট্রেনিংয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারে। ফলে সরকারি দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি বা গোপনীয় ডেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুধু ভারত নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বিশেষ করে সরকারি পর্যায়ে তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এআই ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইতালির মতো দেশগুলো সরকারি দপ্তরে ‘ডিপসিক’-এর মতো এআই টুল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

অন্যদিকে ওই নির্দেশিকার দিনেই ‘ওপেনএআই’-এর সিইও স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ কী হবে এবং কীভাবে এটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে, সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে একদিকে যখন ভারত সরকার এআই নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে, তখনই সরকারি দপ্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে কড়াকড়ি নির্দেশিকা জারি করায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতিমালা তৈরি করা দরকার; যাতে প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস না করা হয়।