প্রত্যাশা প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পন্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির মামলা দায়ের করেছেন এক গ্রাহক। সিরাজগঞ্জে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে করা সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে স্থানীয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে। তবে পিবিআই বলছে এখনও তাদের কাছে কোন নথি গিয়ে পৌছায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির মামলা পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন খবর দেখেছি। তবে আমাদের কাছে এখনও মামলার নথিপত্র এসে পৌঁছায়নি। নথিপত্র এলে তদন্ত শুরু করা হবে। আমাদের কাছে এখনও মামলার নথিপত্র এসে পৌঁছায়নি। নথিপত্র এলে তদন্ত শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২৫ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী গ্রামের আলম মন্ডলের ছেলে রাজ নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পন্য অর্ডার করার ৭ থেকে ৪৫দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তিন মাস অতিক্রম হলেও পন্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইভ্যালী থেকে মে ২০২১ সালে একটি টেলিভিশন, পেন ড্রাইভ, আয়রন মেশিন সহ ৫ টি পণ্য অর্ডার করেন রাজ। ইভ্যালীর নীতিমালা অনুযায়ী পণ্য অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া কথা সে অনুযায়ী পণ্য ডেলিভারি দেওয়া হয় নাই। ইত্তেফাক অনলাইনকে ভুক্তভোগী রাজ জানান, ইভ্যালির সাইক্লোন অফার থেকে চলতি বছরের মে মাসের ৪, ৫, ৮ এবং ১৬ তারিখে পৃথক ভাবে টেলিভিশন, পেন ড্রাইভ, ইলেকট্রিক আয়রন মেশিন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় ৫টি পণ্য অর্ডার করা হয়। ইভ্যালির নিয়মানুযায়ী পন্য অর্ডারের সঙ্গে সঙ্গে ৫টি পণ্যের ৫০ হাজার ৭৩৭ টাকা ইভ্যালির নির্ধারিত নম্বরে নগদের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। পরক্ষণই টাকা পরিশোধ ও অর্ডার নিশ্চিত করে মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় ইভ্যালী কর্তৃপক্ষ। অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির আশ্বাস দেওয়ায় অর্ডারের ২৫ দিন পর ফোন করলে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার আগেই পন্য পাওয়া যাবে বলে জানায় ইভ্যালী কর্তৃপক্ষ।
এরপর ৪৫ দিন অতিক্রম করার পর আবারো ফোন করলে, পণ্য পাবেন বলে জানানো হয় ইভ্যালির পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে কয়েক দিন পর পুনরায় ফোন করলে নানা অজুহাত দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৫ থেকে ২০ বার ফোন করা হলে একই কথা বলা হয়। পরে তিন মাস অতিক্রম করলেও পণ্য হাতে না পাওয়ায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি। বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম সোহাগ ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, মাননীয় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহন ও কাগজপত্র বিবেচনা করে মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিরাজগঞ্জ এর উপর দায়িত্ব দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থানা আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোছা. জেসমিন আরা। আশা করছি আমার ন্যায় বিচার পাব।
নথিপত্র এলেই ইভ্যালির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু : পিবিআই
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ