ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

নতুন সংবিধানের বিকল্প নেই: আখতার হোসেন

  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

শনিবার এনসিপির কার্যালয়ে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান লেখার দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, যেভাবে জুলাই সনদের অঙ্গীকার খসড়ার মধ্যে বলা হয়েছে, তাতে করে এ বিষয়গুলোকে পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা খেয়াল করা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবনার ব্যাপারে একমত হয়েছি, সেগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হবে না। যেসব বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি এবং কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়গুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আখতার হোসেন বলেন, “একটা সংবিধানের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতো আমূল পরিবর্তন হবে। সেই পরিবর্তনগুলোকে টেকসই করতে হলে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। নতুন সংবিধান- যে সংবিধানকে তার ভিত্তিমূল নিয়ে হাই কোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে আর কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা সম্ভবপর হবে না। কিন্তু এখানে যেভাবে অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে, যে সংশোধনী ও প্রস্তাবনাগুলো সংবিধানের উপরে প্রাধান্য পাবে; কিন্তু বাস্তবতা শুধু মূল সংবিধানকে প্রশ্ন করা যায় না।
তিনি বলেন, মূল সংবিধান ব্যতিরেকে যত সংশোধনী নিয়ে আসা হোক, যত প্রস্তাবনা নিয়ে আসা হোক, সেগুলোকে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যায়, সুপ্রিম কোর্টে সেটার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্ট সে ব্যাখ্যাগুলো দিতে পারে। এ সম্ভাবনার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে।

একমত হওয়া বিষয়গুলো যে দলিলের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে, তার নাম ‘জুলাই সনদ’ হওয়ার কথা ছিল মন্তব্য করে এনসিপি নেতা আখতার বলেন, “কিন্তু আমরা হঠাৎই খেয়াল করছি, আমাদের সামনে কমিশন যখন খসড়া উপস্থাপন করেছেন, তখন জুলাই সনদকে জুলাই জাতীয় সনদ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষেরা নতুন রাষ্ট্র কাঠামোর কথা ভেবেছে, সেই ডকুমেন্টের শুরুর নাম জুলাই সনদ হিসেবেই নামকরণ করা প্রয়োজন। জুলাই জাতীয় সনদ এ কথার মধ্য দিয়ে মানুষের জুলাই আন্দোলনের অবদানকে দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন ও একমত হওয়া বিষয়গুলোকে গাইডেন্স প্রিস্নিপাল হিসেবে গ্রহণ করে নতুন সংবিধানে সেগুলো যুক্ত করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ কমিশনে যে নীতিগত বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি, সে বিষয়গুলো টেক্সট কীভাবে হবে তা ঐক্যমত কমিশনে আলোচনা হয় নাই৷ গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে জনপ্রতিনিধিরা আসবেন তারা সে টেক্সটগুলো রেডি করবেন।

জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধানের ৬০ থেকে ৭০টি অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আসবে মন্তব্য করে আখতার বলেন, এত বৃহৎ পরিবর্তন, সেটা সংবিধান পুনর্লিখন করারই সমান। যখন সংবিধানকে নতুন করে লিখতেই আমাদের হচ্ছে, সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধানের প্রণয়ন করার অনেকে কেন বাধা দেখেন সে বিষয়টি আমাদের কাছে ধোঁয়াশার জায়গা তৈরি করেছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন সংবিধানের বিকল্প নেই: আখতার হোসেন

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান লেখার দাবি তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।

দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, যেভাবে জুলাই সনদের অঙ্গীকার খসড়ার মধ্যে বলা হয়েছে, তাতে করে এ বিষয়গুলোকে পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা খেয়াল করা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা যে সংস্কার প্রস্তাবনার ব্যাপারে একমত হয়েছি, সেগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হবে না। যেসব বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি এবং কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়গুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করার কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার বাংলামোটরে এনসিপির কার্যালয়ে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আখতার হোসেন বলেন, “একটা সংবিধানের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতো আমূল পরিবর্তন হবে। সেই পরিবর্তনগুলোকে টেকসই করতে হলে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। নতুন সংবিধান- যে সংবিধানকে তার ভিত্তিমূল নিয়ে হাই কোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে আর কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা সম্ভবপর হবে না। কিন্তু এখানে যেভাবে অঙ্গীকারের কথা বলা হয়েছে, যে সংশোধনী ও প্রস্তাবনাগুলো সংবিধানের উপরে প্রাধান্য পাবে; কিন্তু বাস্তবতা শুধু মূল সংবিধানকে প্রশ্ন করা যায় না।
তিনি বলেন, মূল সংবিধান ব্যতিরেকে যত সংশোধনী নিয়ে আসা হোক, যত প্রস্তাবনা নিয়ে আসা হোক, সেগুলোকে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা যায়, সুপ্রিম কোর্টে সেটার ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া যায়। সুপ্রিম কোর্ট সে ব্যাখ্যাগুলো দিতে পারে। এ সম্ভাবনার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে।

একমত হওয়া বিষয়গুলো যে দলিলের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে, তার নাম ‘জুলাই সনদ’ হওয়ার কথা ছিল মন্তব্য করে এনসিপি নেতা আখতার বলেন, “কিন্তু আমরা হঠাৎই খেয়াল করছি, আমাদের সামনে কমিশন যখন খসড়া উপস্থাপন করেছেন, তখন জুলাই সনদকে জুলাই জাতীয় সনদ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষেরা নতুন রাষ্ট্র কাঠামোর কথা ভেবেছে, সেই ডকুমেন্টের শুরুর নাম জুলাই সনদ হিসেবেই নামকরণ করা প্রয়োজন। জুলাই জাতীয় সনদ এ কথার মধ্য দিয়ে মানুষের জুলাই আন্দোলনের অবদানকে দুর্বলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন ও একমত হওয়া বিষয়গুলোকে গাইডেন্স প্রিস্নিপাল হিসেবে গ্রহণ করে নতুন সংবিধানে সেগুলো যুক্ত করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ কমিশনে যে নীতিগত বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি, সে বিষয়গুলো টেক্সট কীভাবে হবে তা ঐক্যমত কমিশনে আলোচনা হয় নাই৷ গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে জনপ্রতিনিধিরা আসবেন তারা সে টেক্সটগুলো রেডি করবেন।

জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধানের ৬০ থেকে ৭০টি অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আসবে মন্তব্য করে আখতার বলেন, এত বৃহৎ পরিবর্তন, সেটা সংবিধান পুনর্লিখন করারই সমান। যখন সংবিধানকে নতুন করে লিখতেই আমাদের হচ্ছে, সেখানে গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধানের প্রণয়ন করার অনেকে কেন বাধা দেখেন সে বিষয়টি আমাদের কাছে ধোঁয়াশার জায়গা তৈরি করেছে।