ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হলেও মহামারির কারণে এবার সেই উৎসব হচ্ছে না। করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বই। আর বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন আনন্দে অভিভাবকরাও দারুণ খুশি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছর উৎসব করে বই বিতরণ করা হয়নি। এবারও একই কারণে উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেবে।
জানা গেছে, এবারের শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে। তবে এ বছরের প্রথমদিনে সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভাগ করে বিভিন্ন দিনে বই দেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের মাতোয়ারা হতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্যবার শিক্ষার্থীরা যেভাবে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতেন এবার তেমনটি ছিল না। মুখে মাস্ক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই নেন তারা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিয়ে অভিভাবকের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আনিস আলমগীরকে গ্রেফতার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়

নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত খুদে শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০২:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাদেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হলেও মহামারির কারণে এবার সেই উৎসব হচ্ছে না। করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বই। আর বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এমন আনন্দে অভিভাবকরাও দারুণ খুশি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছর উৎসব করে বই বিতরণ করা হয়নি। এবারও একই কারণে উৎসব ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেবে।
জানা গেছে, এবারের শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে। তবে এ বছরের প্রথমদিনে সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভাগ করে বিভিন্ন দিনে বই দেওয়ার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও নতুন বইয়ের ঘ্রাণে শিক্ষার্থীদের মাতোয়ারা হতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্যবার শিক্ষার্থীরা যেভাবে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতেন এবার তেমনটি ছিল না। মুখে মাস্ক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই নেন তারা। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিয়ে অভিভাবকের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন তারা।