ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

নতুন প্রশাসনে মামদানির পাশে সাবেক এফটিসি প্রধান লিনা

  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা এফটিসি’র চেয়ার ছিলেন লিনা খান -ছবি রয়টার্স

প্রত্যাশা ডেস্ক: নব নির্বাচিত নিউ ইয়র্ক মেয়র জোহরান মামদানিকে ২০২৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার নতুন প্রশাসন গড়তে সহায়তা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরিচিত মুখ লিনা খান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা এফটিসি’র চেয়ার ছিলেন তিনি।

মামদানির ট্রানজিশন কমিটির কো-চেয়ারদের একজন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিনার নাম ঘোষিত হয়েছে। তার সঙ্গে এই দায়িত্বে আরো তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন গ্রেস বোনিলা, মারিয়া টরেস-স্প্রিংগার ও মেলানি হার্জোগ। এনগ্যাজেট লিখেছে, মামদানির নির্বাচনী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য প্রতিটি জিনিসের সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করা। নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে মূল উপায় হিসেবে দেখছেন তিনি।

মামদানির প্রস্তাবিত বিভিন্ন নীতির মধ্যে রয়েছে লুকানো ফি ও প্রতিযোগিতাবিমুখ ধারা বন্ধের পাশাপাশি ইউটিলিটি বা বিদ্যুৎ কোম্পানির বিলের রেট বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে তহবিল দেওয়া। লিনা এফটিসির চেয়ার থাকাকালে সংস্থার একচেটিয়াবিরোধী নীতি শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রতিযোগিতা রোধকারী ধারা ও লুকানো ফি বন্ধ করতেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফলে লিনা খান ও মামদানির একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া, নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামত বিভাগে মামদানির প্রচারণায় ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে তার প্রশংসাও প্রকাশ করেছেন লিনা।

এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের নতুন দায়িত্বের ঘোষণায় লিনা বলেছেন, আমরা গত রাতে দেখেছি, নিউ ইয়র্কবাসী কেবল নতুন মেয়রই নির্বাচিত করেননি, বরং সেইসব রাজনৈতিক ধারাও ভেঙেছেন, যেখানে অতিরিক্ত কর্পোরেট শক্তি ও অর্থ প্রায়ই আমাদের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই পরিবর্তনগুলো আমাদের দেখায় যে নিউ ইয়র্কবাসীরা এগিয়ে গেলে, কর্মী ও ছোট ব্যবসায়ীরাও ভালোভাবে বাঁচতে ও উন্নতি করতে পারে।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রশাসনে মামদানির পাশে সাবেক এফটিসি প্রধান লিনা

আপডেট সময় : ০৭:০৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: নব নির্বাচিত নিউ ইয়র্ক মেয়র জোহরান মামদানিকে ২০২৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তার নতুন প্রশাসন গড়তে সহায়তা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরিচিত মুখ লিনা খান। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ফেডারেল ট্রেড কমিশন বা এফটিসি’র চেয়ার ছিলেন তিনি।

মামদানির ট্রানজিশন কমিটির কো-চেয়ারদের একজন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিনার নাম ঘোষিত হয়েছে। তার সঙ্গে এই দায়িত্বে আরো তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন গ্রেস বোনিলা, মারিয়া টরেস-স্প্রিংগার ও মেলানি হার্জোগ। এনগ্যাজেট লিখেছে, মামদানির নির্বাচনী পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য প্রতিটি জিনিসের সাশ্রয়ী দাম নিশ্চিত করা। নিউ ইয়র্কবাসীর জন্য দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে মূল উপায় হিসেবে দেখছেন তিনি।

মামদানির প্রস্তাবিত বিভিন্ন নীতির মধ্যে রয়েছে লুকানো ফি ও প্রতিযোগিতাবিমুখ ধারা বন্ধের পাশাপাশি ইউটিলিটি বা বিদ্যুৎ কোম্পানির বিলের রেট বেড়ে যাওয়ার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে তহবিল দেওয়া। লিনা এফটিসির চেয়ার থাকাকালে সংস্থার একচেটিয়াবিরোধী নীতি শক্তিশালী করার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রতিযোগিতা রোধকারী ধারা ও লুকানো ফি বন্ধ করতেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফলে লিনা খান ও মামদানির একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ছাড়া, নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতামত বিভাগে মামদানির প্রচারণায় ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে তার প্রশংসাও প্রকাশ করেছেন লিনা।

এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের নতুন দায়িত্বের ঘোষণায় লিনা বলেছেন, আমরা গত রাতে দেখেছি, নিউ ইয়র্কবাসী কেবল নতুন মেয়রই নির্বাচিত করেননি, বরং সেইসব রাজনৈতিক ধারাও ভেঙেছেন, যেখানে অতিরিক্ত কর্পোরেট শক্তি ও অর্থ প্রায়ই আমাদের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই পরিবর্তনগুলো আমাদের দেখায় যে নিউ ইয়র্কবাসীরা এগিয়ে গেলে, কর্মী ও ছোট ব্যবসায়ীরাও ভালোভাবে বাঁচতে ও উন্নতি করতে পারে।

সানা/ওআ/আপ্র/০৯/১১/২০২৫