ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আপিল বিভাগের এই বিচারক সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিচারাঙ্গনের প্রধান পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন সংবাদমাধ্যমকে এখবর নিশ্চিত করেছেন। বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেবেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৬৫ বছর বয়সী হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকী এক সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
২০০৯ সালে হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে বিচারক রয়েছেন মো. ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নূরুজ্জামান ও ওবায়দুল হাসান। এদের মধ্যে ইমান আলী জ্যেষ্ঠতম। সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থাকছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ এখন থাকতে চান নিভৃতে, গণমাধ্যমকে এড়িয়ে : জটিল এক সময়ে বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের প্রধানের পদ পেয়েছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, চার বছর সেই দায়িত্ব পালনের পর গেলেন অবসরে। অবসর জীবনটি নিভৃতে কাটাতে চাইছেন বলে জানালেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এক সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও অবসর জীবনে গণমাধ্যমকে এড়িয়েই থাকতে চান তিনি।
বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনে নজিরবিহীন এক ঘটনার পর নানা নাটকীয়তার মধ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। বয়সের সেই সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার অবসর নিলেন তিনি।
শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্টে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে নিরাশ করেননি তিনি।
প্রথমেই বিচারপতিদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ কর্নার প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জ্ঞান থাকা দরকার। অনেক জাজমেন্টের মধ্যে হয়ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয় লিখতে হবে। সুতরাং এ লাইব্রেরি উনাদের জাজমেন্ট লেখার জন্যে সহায়ক হবে। কারণ, এখানে এমন সব বই রাখা হয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনো জাজমেন্ট যখন হবে তখন একজস্টিভলি লিখতে পারবেন।”
অবসর কীভাবে কাটাবেন- এই প্রশ্নে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সহাস্যে বলেন, “অবসরজীবন একদম সেক্লুডেড কাটাবো। একা একা।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে বেশ আমুদে কণ্ঠে তিনি বলেন, “শোনেন, আমার কাজ শেষ। আমি এখন অবসর জীবনযাপন করব। আমি কিন্তু আগে সাংবাদিকতাও করেছি। এখন আমি একদম ফুল ইয়েতে যাব। আপনারা কেউ যদি আমার সাক্ষাৎকার নিতে যান, আমি দেব না। এটা কিন্তু আগেই বলে দিয়েছি।”
প্রধান বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর ঝড় উঠেছিল বিচারাঙ্গন নিয়ে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে এজলাসে বসতে অনীহার কথা যে সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনও ছিলেন। ওই সময়ের নানা ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
আবার সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের সময়ই বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্টের যাত্রা শুরু হয়, সেটাও ইতিহাসের অংশ।
গণমাধ্যমের কারণে নিজের ঘুম হারাম হওয়ার কথাও রসিকতাচ্ছলে বলেন প্রধান বিচারপতি। “আপনারা আমার সময়ে এত বেশি লিখেছেন যে আমি অনেক রাতে ঘুমাইনি। একথা বলে গেলাম। কারণ, আমি মনে করেছি যে, আপনারা আমাকে আপন মনে করে হয়ত একটু বেশি লিখেছেন। তো এটাতে আমি মাইন্ড করিনি। “আমার সাংবাদিকতার কার্ড ছিল, আমি সাংবাদিকদের অবশ্যই মিস করব।”
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮১ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যে ২০০১ সালে হাই কোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর স্থায়ী হন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। তার ১০ বছর পর অবসরে গেলেন তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশের নতুন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পেয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আপিল বিভাগের এই বিচারক সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিচারাঙ্গনের প্রধান পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন সংবাদমাধ্যমকে এখবর নিশ্চিত করেছেন। বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেবেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ৬৫ বছর বয়সী হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হতে যাচ্ছেন। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকী এক সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তিনি ১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে হাই কোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি।
২০০৯ সালে হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হন। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে বিচারক রয়েছেন মো. ইমান আলী, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নূরুজ্জামান ও ওবায়দুল হাসান। এদের মধ্যে ইমান আলী জ্যেষ্ঠতম। সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দুই বছর প্রধান বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থাকছেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ এখন থাকতে চান নিভৃতে, গণমাধ্যমকে এড়িয়ে : জটিল এক সময়ে বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের প্রধানের পদ পেয়েছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, চার বছর সেই দায়িত্ব পালনের পর গেলেন অবসরে। অবসর জীবনটি নিভৃতে কাটাতে চাইছেন বলে জানালেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এক সময় সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও অবসর জীবনে গণমাধ্যমকে এড়িয়েই থাকতে চান তিনি।
বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনে নজিরবিহীন এক ঘটনার পর নানা নাটকীয়তার মধ্যে ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সংবিধানের ৯৬(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। বয়সের সেই সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার অবসর নিলেন তিনি।
শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্টে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সেই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে নিরাশ করেননি তিনি।
প্রথমেই বিচারপতিদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ কর্নার প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জ্ঞান থাকা দরকার। অনেক জাজমেন্টের মধ্যে হয়ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয় লিখতে হবে। সুতরাং এ লাইব্রেরি উনাদের জাজমেন্ট লেখার জন্যে সহায়ক হবে। কারণ, এখানে এমন সব বই রাখা হয়েছে যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনো জাজমেন্ট যখন হবে তখন একজস্টিভলি লিখতে পারবেন।”
অবসর কীভাবে কাটাবেন- এই প্রশ্নে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সহাস্যে বলেন, “অবসরজীবন একদম সেক্লুডেড কাটাবো। একা একা।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে বেশ আমুদে কণ্ঠে তিনি বলেন, “শোনেন, আমার কাজ শেষ। আমি এখন অবসর জীবনযাপন করব। আমি কিন্তু আগে সাংবাদিকতাও করেছি। এখন আমি একদম ফুল ইয়েতে যাব। আপনারা কেউ যদি আমার সাক্ষাৎকার নিতে যান, আমি দেব না। এটা কিন্তু আগেই বলে দিয়েছি।”
প্রধান বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর ঝড় উঠেছিল বিচারাঙ্গন নিয়ে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে এজলাসে বসতে অনীহার কথা যে সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনও ছিলেন। ওই সময়ের নানা ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।
আবার সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালনের সময়ই বাংলাদেশে ভার্চুয়াল কোর্টের যাত্রা শুরু হয়, সেটাও ইতিহাসের অংশ।
গণমাধ্যমের কারণে নিজের ঘুম হারাম হওয়ার কথাও রসিকতাচ্ছলে বলেন প্রধান বিচারপতি। “আপনারা আমার সময়ে এত বেশি লিখেছেন যে আমি অনেক রাতে ঘুমাইনি। একথা বলে গেলাম। কারণ, আমি মনে করেছি যে, আপনারা আমাকে আপন মনে করে হয়ত একটু বেশি লিখেছেন। তো এটাতে আমি মাইন্ড করিনি। “আমার সাংবাদিকতার কার্ড ছিল, আমি সাংবাদিকদের অবশ্যই মিস করব।”
সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮১ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ওই দায়িত্ব পালনের মধ্যে ২০০১ সালে হাই কোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর স্থায়ী হন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। তার ১০ বছর পর অবসরে গেলেন তিনি।