ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান

  • আপডেট সময় : ১২:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাড়ে ছয় কোটি বছর আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে বিশাল দেহের বিভিন্ন প্রজাতির এক একটি ডাইনোসর। ডাইনোসর নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই জনমনে। বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে দিনের পর দিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি পালক। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এ পর্যন্ত যত ডাইনোসরের সন্ধান মিলেছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেন একদল বিজ্ঞানী। এটি একটি নতুন প্রজাতির ডাইনোসরও। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অস্ট্রেলোটাইটান কোঅপারেন্সিস’ বা ‘দ্য সাউদার্ন টাইটান’। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
শুধু অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেই নয়, বিশ্বের ১৫টি বৃহৎ ডাইনোসরের মধ্যে এই প্রজাতিটিকে অন্যতম বলছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবিষ্কৃত ডাইনোসরের টাইটানোসর প্রজাতিটি উচ্চতায় ২১ ফুট আর দৈর্ঘ্যে ছিল ৯৮ ফুটের বেশি। যা একটি বাস্কেট বল কোর্টের সমান। প্রতিবেদনে বলা এসেছে, কঙ্কালটি প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের একটি খামারে প্রায় এক দশক আগে ডাইনোসরের হাড় পাওয়ার পর গবেষকরা অনুসন্ধান শুরু করেন। এই প্রজাতির ডাইনোসর নিয়ে দশক ধরে কাজ করে আসছিলেন একদল গবেষক। এক প্রজাতি ডাইনোসরের সঙ্গে অন্য প্রজাতির হাড়ের গবেষণা চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সওরোপ প্রজাতির ডাইনোসরে আকার ছিলে সবচেয়ে বড়। সাধারণত তাদের গলা বেশ লম্বা এবং মাথা ছোট। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত ডাইনোসরের জীবাশ্মকে নতুন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এই কঙ্কালটি আবিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এই ডাইনোসরটি পৃথিবীতে ৯ কোটি ২০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে বিচরণ করতে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। গবেষক ড. হকনাল জানান, ‘কাছাকাছি তিন গোত্র উইনটোনোটাইটান, ডায়াম্যানটাইনোসরাস অ্যান্ড সাভানাসরাসের সমগোত্রীয় এটি। মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ডাইনোসরগুলো সবাই যেনও বড় একটি সুখী পরিবারের অংশ ছিল।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান

আপডেট সময় : ১২:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : সাড়ে ছয় কোটি বছর আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে বিশাল দেহের বিভিন্ন প্রজাতির এক একটি ডাইনোসর। ডাইনোসর নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই জনমনে। বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে দিনের পর দিন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার সাফল্যের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি পালক। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে এ পর্যন্ত যত ডাইনোসরের সন্ধান মিলেছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি আবিষ্কারের ঘোষণা দিলেন একদল বিজ্ঞানী। এটি একটি নতুন প্রজাতির ডাইনোসরও। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অস্ট্রেলোটাইটান কোঅপারেন্সিস’ বা ‘দ্য সাউদার্ন টাইটান’। মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।
শুধু অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেই নয়, বিশ্বের ১৫টি বৃহৎ ডাইনোসরের মধ্যে এই প্রজাতিটিকে অন্যতম বলছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবিষ্কৃত ডাইনোসরের টাইটানোসর প্রজাতিটি উচ্চতায় ২১ ফুট আর দৈর্ঘ্যে ছিল ৯৮ ফুটের বেশি। যা একটি বাস্কেট বল কোর্টের সমান। প্রতিবেদনে বলা এসেছে, কঙ্কালটি প্রথমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের একটি খামারে প্রায় এক দশক আগে ডাইনোসরের হাড় পাওয়ার পর গবেষকরা অনুসন্ধান শুরু করেন। এই প্রজাতির ডাইনোসর নিয়ে দশক ধরে কাজ করে আসছিলেন একদল গবেষক। এক প্রজাতি ডাইনোসরের সঙ্গে অন্য প্রজাতির হাড়ের গবেষণা চালিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সওরোপ প্রজাতির ডাইনোসরে আকার ছিলে সবচেয়ে বড়। সাধারণত তাদের গলা বেশ লম্বা এবং মাথা ছোট। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত ডাইনোসরের জীবাশ্মকে নতুন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এই কঙ্কালটি আবিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এই ডাইনোসরটি পৃথিবীতে ৯ কোটি ২০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে বিচরণ করতে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। গবেষক ড. হকনাল জানান, ‘কাছাকাছি তিন গোত্র উইনটোনোটাইটান, ডায়াম্যানটাইনোসরাস অ্যান্ড সাভানাসরাসের সমগোত্রীয় এটি। মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ডাইনোসরগুলো সবাই যেনও বড় একটি সুখী পরিবারের অংশ ছিল।’