ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

নতুন প্রজন্মের স্পিনার পেয়েছে শ্রীলঙ্কা

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে


ক্রীড়া ডেস্ক : সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ২০৯ রানের জয়ে অনভিজ্ঞ স্পিনারদের অবদানে খুশি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারতেœ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট শিকার ও দলের জয়ের পথ সহজ করেছেন নতুন স্পিনাররা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হয় প্রবীণ জয়াবিক্রমার। এক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামেন রমেশ মেন্ডিস। দুজনে মিলে দ্বিতীয় টেস্টে নেন ১৭ উইকেট। শেষ ম্যাচে ১১ উইকেট নেন জয়াবিক্রমা। এতে বিশ্বের ১৬তম বোলার হিসেবে অভিষেকেই ১০ উইকেটের বেশি শিকারের রেকর্ডও হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার মধ্যে অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারও জয়াবিক্রমার। ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ম্যাচ জয়ের পর করুণারতেœ বলেন, ‘আমি তাদের পারফরম্যান্সে সত্যিই খুশি। এমন একসময়, যখন আমাদের কোনো অভিজ্ঞ স্পিনার ছিল না, তারা এসে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মতো বোলিং করেছে এবং তাদের পারফরম্যান্স ছিল পরিপূর্ণ।’
সারা জীবন মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে খেলা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এই জয়াবিক্রমার স্পিনেই ধরাশায়ী হয়েছে। তরুণ স্পিনারের প্রশংসা করে করুণারতেœ আরো বলেন, ‘রমেশ তার লাইন-লেন্থ এবং যেভাবে চাপ তৈরি করেছে, সেদিকে আরো উন্নতি করতে পারে। তবে জয়াবিক্রমা তার শতভাগ দিয়েছে। সে এমন একজন বোলারের মতো খেলেছে যা দেখে মনে হয়নি, তার মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এটি আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের নতুন প্রজন্মের জন্য দারুণ ব্যাপার!’ রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে জয়াবিক্রমার মিল আছে জানিয়ে করুণারতেœ বলেন, ‘জয়াবিক্রমা সঠিক জায়গায় একটানা বল করতে পারে। এটি আমরা রঙ্গনা হেরাথকে করতে দেখেছি। সে ব্যাটসম্যানকে শট খেলতে প্রলুব্ধ করত। আপনি যখন এই পর্যায়ে খেলেন, আপনার লাইন এবং লেন্থে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এটাই ছিল তার গোপন রহস্য। আমার মনে হয় রমেশও তাকে অন্য প্রান্ত থেকে প্রচুর সহায়তা করেছে। এই বোলিং জুটি ছিল দুর্দান্ত এবং তাদের ভালোো বোঝাপড়া ছিল। কারণ দুজনেই একই ক্লাবের হয়ে খে
সিরিজের তিন ইনিংসে ৪২৮ রান করেছেন করুণারতেœ। প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও ও পরের ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। নিজের সাফল্যের রহস্যও জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘কিছু ছোটখাটো পরিবর্তনও আনতে হয়েছিল। আমি আমার কৌশল পরিবর্তন করিনি, তবে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আমি মনে করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে আমি কিছুটা আগ্রাসী ছিলাম। কিছু সিরিজে ‘আপনি আক্রমণাত্মক হতে পারেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আমি কিছু ভুল সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রজন্মের স্পিনার পেয়েছে শ্রীলঙ্কা

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১


ক্রীড়া ডেস্ক : সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ২০৯ রানের জয়ে অনভিজ্ঞ স্পিনারদের অবদানে খুশি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুণারতেœ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট শিকার ও দলের জয়ের পথ সহজ করেছেন নতুন স্পিনাররা। সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক হয় প্রবীণ জয়াবিক্রমার। এক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামেন রমেশ মেন্ডিস। দুজনে মিলে দ্বিতীয় টেস্টে নেন ১৭ উইকেট। শেষ ম্যাচে ১১ উইকেট নেন জয়াবিক্রমা। এতে বিশ্বের ১৬তম বোলার হিসেবে অভিষেকেই ১০ উইকেটের বেশি শিকারের রেকর্ডও হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার মধ্যে অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগারও জয়াবিক্রমার। ১৭৮ রানে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ম্যাচ জয়ের পর করুণারতেœ বলেন, ‘আমি তাদের পারফরম্যান্সে সত্যিই খুশি। এমন একসময়, যখন আমাদের কোনো অভিজ্ঞ স্পিনার ছিল না, তারা এসে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মতো বোলিং করেছে এবং তাদের পারফরম্যান্স ছিল পরিপূর্ণ।’
সারা জীবন মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে খেলা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এই জয়াবিক্রমার স্পিনেই ধরাশায়ী হয়েছে। তরুণ স্পিনারের প্রশংসা করে করুণারতেœ আরো বলেন, ‘রমেশ তার লাইন-লেন্থ এবং যেভাবে চাপ তৈরি করেছে, সেদিকে আরো উন্নতি করতে পারে। তবে জয়াবিক্রমা তার শতভাগ দিয়েছে। সে এমন একজন বোলারের মতো খেলেছে যা দেখে মনে হয়নি, তার মাত্র ১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এটি আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের নতুন প্রজন্মের জন্য দারুণ ব্যাপার!’ রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে জয়াবিক্রমার মিল আছে জানিয়ে করুণারতেœ বলেন, ‘জয়াবিক্রমা সঠিক জায়গায় একটানা বল করতে পারে। এটি আমরা রঙ্গনা হেরাথকে করতে দেখেছি। সে ব্যাটসম্যানকে শট খেলতে প্রলুব্ধ করত। আপনি যখন এই পর্যায়ে খেলেন, আপনার লাইন এবং লেন্থে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। এটাই ছিল তার গোপন রহস্য। আমার মনে হয় রমেশও তাকে অন্য প্রান্ত থেকে প্রচুর সহায়তা করেছে। এই বোলিং জুটি ছিল দুর্দান্ত এবং তাদের ভালোো বোঝাপড়া ছিল। কারণ দুজনেই একই ক্লাবের হয়ে খে
সিরিজের তিন ইনিংসে ৪২৮ রান করেছেন করুণারতেœ। প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরিও ও পরের ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। নিজের সাফল্যের রহস্যও জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক, ‘কিছু ছোটখাটো পরিবর্তনও আনতে হয়েছিল। আমি আমার কৌশল পরিবর্তন করিনি, তবে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আমি মনে করি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওপেনার হিসেবে আমি কিছুটা আগ্রাসী ছিলাম। কিছু সিরিজে ‘আপনি আক্রমণাত্মক হতে পারেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের আমি কিছু ভুল সিদ্বান্ত নিয়েছিলাম।’