ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারায় সংস্কৃতির বিকাশের ওপর গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রযুক্তির কারণে পরিবর্তনশীল নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা অনুযায়ী বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে সরকার উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা যেমন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।” বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধন করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব পরিম-লে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে।
সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে, যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।” শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির উন্নয়নে গত সাড়ে ১৪ বছরে আরো ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেউ যদি কোনো দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাহলে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করবে, এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।” সরকার প্রধান বলেন, “আমরা সবসময় আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
“বিশ্ব প্রযুক্তি দ্বারা আঁকড়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার। তিনি নবনির্মিত ১২তলা কপিরাইট ভবনও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারায় সংস্কৃতির বিকাশের ওপর গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রযুক্তির কারণে পরিবর্তনশীল নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা অনুযায়ী বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে সরকার উদ্যোগী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা যেমন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব, যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।” বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধন করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব পরিম-লে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে।
সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে, যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।” শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশি সংস্কৃতির উন্নয়নে গত সাড়ে ১৪ বছরে আরো ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কেউ যদি কোনো দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাহলে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করবে, এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, নিশ্চিত পরাজয় জেনেও তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।” সরকার প্রধান বলেন, “আমরা সবসময় আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
“বিশ্ব প্রযুক্তি দ্বারা আঁকড়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো- গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার। তিনি নবনির্মিত ১২তলা কপিরাইট ভবনও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।