ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নতুন জাতের আলু উদ্ভাবন

  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নে অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও যাতে খাদ্যশস্য উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারই ফল মিলল এবার। এক বিশেষ ধরনের আলুর প্রজাতি তৈরি করে ফেললেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপার পটেটো’ ।
আমেরিকার মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সুপার পটেটো তৈরি করেছেন। অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও এই আলু উৎপাদন করা যাবে। জলবায়ুর পরিবর্তন এই ধরনের আলুর গুণমানে প্রভাব ফেলতে পারবে না।
খাদ্যশস্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্রেগোরি পোর্টার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ও কঠিন জলবায়ু ভবিষ্যতে খাদ্যশস্যের গুণমানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। এর ফলে বিভিন্ন রকম অসুখও দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক পোর্টার বলেন, অতিরিক্তি বৃষ্টিপাত, বন্যা পরিস্থিতি আলু উৎপাদনের পক্ষে প্রতিকূল। এর ফলে কোনওভাবে আলু ফলানো গেলেও তা হবে সাধারণ আলুর তুলনায় নি¤œমানের। আমাদের যদি আগের মতোই আলু উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তন সহ্য করতে পারে এমন প্রজাতির আলুর প্রজাতি তৈরি করতে হবে। সেজন্যই ‘সুপার পটেটো’ তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা অন্য একটি আলুর প্রজাতি তৈরি করেছিলেন। খাদ্যশস্য গবেষকরা এখন মনে করছেন, সেই আলুও বিশ্ব উষ্ণায়নে টিকে থাকার পক্ষে কম শক্তিশালী। ইতিমধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে সুপার পটেটো উৎপাদনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও ফ্লোরিডায় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ফলানো হয়েছে এই বিশেষ জাতের আলু। গবেষকরা জানিয়েছেন, আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের বাজারে এই আলু মিলবে দুই থেকে পাঁচ বছর পরে।
নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাড়তে থাকা গ্রিন হাউজ গ্যাসের ফলে ২০৩০ সালের পরে আরও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে এই গ্রহের জলবায়ুতে। কোথাও যেমন তাপমাত্রা বাড়বে অত্যধিক হারে, কোনও অঞ্চল আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হবে। এই পরিস্থিতি খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও বণ্টনে প্রভাব ফেলবে। সেই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কথা মাথায় রেখেই ‘সুপার পটেটো’ তৈরি করেছেন মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুন জাতের আলু উদ্ভাবন

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নে অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও যাতে খাদ্যশস্য উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারই ফল মিলল এবার। এক বিশেষ ধরনের আলুর প্রজাতি তৈরি করে ফেললেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুপার পটেটো’ ।
আমেরিকার মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সুপার পটেটো তৈরি করেছেন। অতিরিক্ত তাপমাত্রাতেও এই আলু উৎপাদন করা যাবে। জলবায়ুর পরিবর্তন এই ধরনের আলুর গুণমানে প্রভাব ফেলতে পারবে না।
খাদ্যশস্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্রেগোরি পোর্টার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ও কঠিন জলবায়ু ভবিষ্যতে খাদ্যশস্যের গুণমানের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। এর ফলে বিভিন্ন রকম অসুখও দেখা দিতে পারে।
অধ্যাপক পোর্টার বলেন, অতিরিক্তি বৃষ্টিপাত, বন্যা পরিস্থিতি আলু উৎপাদনের পক্ষে প্রতিকূল। এর ফলে কোনওভাবে আলু ফলানো গেলেও তা হবে সাধারণ আলুর তুলনায় নি¤œমানের। আমাদের যদি আগের মতোই আলু উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয়, তবে জলবায়ু পরিবর্তন সহ্য করতে পারে এমন প্রজাতির আলুর প্রজাতি তৈরি করতে হবে। সেজন্যই ‘সুপার পটেটো’ তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা অন্য একটি আলুর প্রজাতি তৈরি করেছিলেন। খাদ্যশস্য গবেষকরা এখন মনে করছেন, সেই আলুও বিশ্ব উষ্ণায়নে টিকে থাকার পক্ষে কম শক্তিশালী। ইতিমধ্যে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে সুপার পটেটো উৎপাদনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও ফ্লোরিডায় অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ফলানো হয়েছে এই বিশেষ জাতের আলু। গবেষকরা জানিয়েছেন, আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের বাজারে এই আলু মিলবে দুই থেকে পাঁচ বছর পরে।
নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাড়তে থাকা গ্রিন হাউজ গ্যাসের ফলে ২০৩০ সালের পরে আরও বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে এই গ্রহের জলবায়ুতে। কোথাও যেমন তাপমাত্রা বাড়বে অত্যধিক হারে, কোনও অঞ্চল আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে প্লাবিত হবে। এই পরিস্থিতি খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও বণ্টনে প্রভাব ফেলবে। সেই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কথা মাথায় রেখেই ‘সুপার পটেটো’ তৈরি করেছেন মাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।