ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও ক্যাম্পাসের কাজে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে কেরাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো।
শুক্রবার উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হককে চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের ‘পুলিশ প্রটোকল নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে বলার’ একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দেয়। এর প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনার চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে আবৃত্তি সংসদের সভাপতি জহির উদ্দিন বলেন, “উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি চলছে। সেখান থেকে মুক্তি চাই, দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখতে চাই আমরা। শাহীন চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে হলেও কাজটা সম্পন্ন করা হোক।” শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে শাহীন চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তার, সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করাসহ ১০ দফা দাবি জানান। বুধবারের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ না নিলে ব্যাপক আন্দোলনের হুঁশিয়ারও দেন তারা। তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রধানমন্ত্রীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা, নিরাপত্তা জোরদার করা ও অবিলম্বে পুলিশ ফাঁড়ি করা, হলগুলো আগে সম্পন্ন করা, লেইক নির্মাণের টেন্ডারে অনিয়ম হয়ে থাকলে তার সুষ্ঠু তদন্ত করা, জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা, প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সকল তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানগুলো দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে করার ব্যবস্থা করা।
২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর আবাসনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। বেদখল হল উদ্ধারে জটিলতা থাকায় এবং বর্তমান ক্যাম্পাসে জায়গা না থাকায় তা সম্প্রসারণের ঘোষণা আসে ওই সময়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আবাসিক হলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মাসব্যাপী আন্দোলনের মুখে কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়ায় নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের সিদ্ধান্তও জানিয়েছিল সরকার। পরে অ্যাকাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসন ব্যবস্থা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, চিকিৎসা কেন্দ্র, সুইমিংপুল, লেইক নির্মাণসহ উন্নতমানের ক্যাম্পাস তৈরির মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তেঘরিয়ার পশ্চিমদি মৌজায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়। এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে। তবে নতুন করে আবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
নতুন ক্যাম্পাস : ১০ দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ