বগুড়া প্রতিনিধি : নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে সকাল সকাল মোটরসাইকেলে নওগাঁর পোরশা উপজেলার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন শোয়েব মাহমুদ (৪২)। মোটরসাইকেলের পেছনে সঙ্গে নিয়েছিলেন বন্ধু সাখাওয়াত হোসেন ওরফে পলাশকে। তবে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেওয়া হয়নি শোয়েবের। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই পণ্যবাহী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারাতে হয়েছে দুই বন্ধুকে। গতকাল রোববার সকাল সাতটার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শোয়েব মাহমুদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার আলোকবাদিয়া গ্রামে। আর সাখাওয়াত হোসেন বগুড়া সদর উপজেলার খান্দার স্টেডিয়াম গেট এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, শোয়েব মাহমুদ নওগাঁর পোরশা উপজেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) কার্যালয়ে কার্য-সহকারী পদে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সাখাওয়াত বগুড়া শহরের রানার প্লাজায় বৈদ্যুতিক কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সাখাওয়াত ও শোয়েব দুজন বন্ধু। সম্প্রতি শোয়েবকে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বদলির আদেশ হয়। এ জন্য তিনি সাখাওয়াতকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলের করে বগুড়া থেকে নওগাঁয় এলজিইডি কার্যালয়ে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা দুপচাঁচিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শোয়েব নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সাখাওয়াতকে উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, শোয়েব মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং সাখাওয়াত পেছনে বসে ছিলেন। পণ্যবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি জব্দ করা সম্ভব হয়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।