ঢাকা ১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
জুলাই পদযাত্রায় এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম

নতুন করে স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট তৈরি হলে লড়াই হবে

  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার সকালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহরের ফকিরগঞ্জ বাজারে পদযাত্রায় বক্তব্য দেন এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম -ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা নিজ দলের নেতা-কর্মীদের ফেলে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁর পরিবার ও দলের যাঁরা লুটপাট করে বড়লোক হয়েছেন, অনেক বেশি জুলুমবাজ হয়েছেন, তাঁরাও দেশ থেকে চলে গেছেন। দলের সব নেতা-কর্মীকে তাঁরা বিপদে ফেলে চলে গেছেন। তাঁরা কোনো দলের নেতা হতে পারেন না।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহরের ফকিরগঞ্জ বাজারে এনসিপির উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সংক্ষিপ্ত সভায় এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পঞ্চগড়ে আসেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এই যে গুটিকয়েক মানুষ স্বৈরাচার তৈরি করেছে, ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, এরাই সব সম্পত্তির মালিক হইছে। এই একটা মাত্র পরিবার, মুজিব পরিবার। এরাই সব সম্পত্তির মালিক হয়ে দেশের জমিদারি নিয়ে নিছিল। আমরা এই জমিদারি প্রথা ভাঙছি গণ–অভ্যুত্থানে। নতুন করে যদি কোনো জমিদারি প্রথা, নতুন করে কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট-চাঁদাবাজ তৈরি হয়, তার বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হবে, তার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। আমরা বাংলাদেশে যাতে নতুন করে কোনো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি না করি। কোনো অন্যায়-জুলুম দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, তারা অসাম্প্রদায়িক দল, কিন্তু তারা কখনোই সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে ‘ইনসাফ’ করেনি বলে মন্তব্য করেন গণ-অভ্যুত্থান থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিগত আমলে আমরা দেখেছি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা অনেক নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁদের জমি দখল করা হয়েছে। তাঁরা কোনো বিচার পায় নাই। আমরা চাই এই নতুন বাংলাদেশে ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে একসাথে এই বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা পাব।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রত্যাশা যে দেশটাকে আমরা নতুন করে গড়ব বৈষম্যহীন ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে। এটি চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসমুক্ত একটা দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে এই গণ–অভ্যুত্থানে যেসব তরুণ আমরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, তাঁরা মিলে এই নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। যে পার্টি আপনার কথা বলতে চায়, সাধারণ জনগণের কথা বলতে চায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, ইনসাফের রাজনীতি করতে চায়।’
সভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন। পরে তাঁরা ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: দলটির পদযাত্রার অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে উপস্থিত হোন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণ-অভ্যুত্থানের বাংলাদেশ। তাই আমরা যেকোনও মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবো। আমরা ক্ষমতার রাজনীতি করি না, জনগণের স্বার্থে রাজপথে আছি এবং থাকবো। এই পদযাত্রা বিচারের দাবিতে, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছি। বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণকেই আমাদের একমাত্র শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছি। ঠাকুরগাঁও কৃষকদের জেলা, দেশে কৃষক নিপীড়ন রয়েছে। আমরা সেই দেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনো গণনিপীড়ন থাকবে না।’

সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শ্রম-সব ক্ষেত্রেই এখানে উপেক্ষা চলছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না, শ্রমিকরা পায় না তাদের ন্যায্য মজুরি। বাজেট বরাদ্দেও ঠাকুরগাঁওকে উপেক্ষা করা হয়।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে তরুণসমাজ যে আশা জাগিয়েছিল, তা গত এক বছরে বাস্তব রূপ পায়নি। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের মতো মৌলিক দাবিগুলো এখনও অধরা। তাই আমরা ৬৪ জেলায় যাবো, জনগণের মত শুনে একটি গণতান্ত্রিক ইশতেহার তৈরি করবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় এনসিপির প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নিয়েছেন। জুলাই সনদ ও সংস্কার বাস্তবায়নের সংগ্রামে আমরা পিছপা হবো না।’

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মুনীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা প্রমুখ। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্যরা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জুলাই পদযাত্রায় এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম

নতুন করে স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট তৈরি হলে লড়াই হবে

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনা নিজ দলের নেতা-কর্মীদের ফেলে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। তাঁর পরিবার ও দলের যাঁরা লুটপাট করে বড়লোক হয়েছেন, অনেক বেশি জুলুমবাজ হয়েছেন, তাঁরাও দেশ থেকে চলে গেছেন। দলের সব নেতা-কর্মীকে তাঁরা বিপদে ফেলে চলে গেছেন। তাঁরা কোনো দলের নেতা হতে পারেন না।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা শহরের ফকিরগঞ্জ বাজারে এনসিপির উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সংক্ষিপ্ত সভায় এ কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পঞ্চগড়ে আসেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে এই যে গুটিকয়েক মানুষ স্বৈরাচার তৈরি করেছে, ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে, এরাই সব সম্পত্তির মালিক হইছে। এই একটা মাত্র পরিবার, মুজিব পরিবার। এরাই সব সম্পত্তির মালিক হয়ে দেশের জমিদারি নিয়ে নিছিল। আমরা এই জমিদারি প্রথা ভাঙছি গণ–অভ্যুত্থানে। নতুন করে যদি কোনো জমিদারি প্রথা, নতুন করে কোনো স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্ট-চাঁদাবাজ তৈরি হয়, তার বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই করতে হবে, তার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। আমরা বাংলাদেশে যাতে নতুন করে কোনো ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি না করি। কোনো অন্যায়-জুলুম দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, তারা অসাম্প্রদায়িক দল, কিন্তু তারা কখনোই সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে ‘ইনসাফ’ করেনি বলে মন্তব্য করেন গণ-অভ্যুত্থান থেকে জাতীয় রাজনীতিতে উঠে আসা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিগত আমলে আমরা দেখেছি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা অনেক নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁদের জমি দখল করা হয়েছে। তাঁরা কোনো বিচার পায় নাই। আমরা চাই এই নতুন বাংলাদেশে ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে একসাথে এই বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সকল সুযোগ-সুবিধা পাব।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রত্যাশা যে দেশটাকে আমরা নতুন করে গড়ব বৈষম্যহীন ইনসাফের ভিত্তিতে, সম্প্রীতির ভিত্তিতে। এটি চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসমুক্ত একটা দেশ হবে। সেই লক্ষ্যে এই গণ–অভ্যুত্থানে যেসব তরুণ আমরা নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, তাঁরা মিলে এই নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি। যে পার্টি আপনার কথা বলতে চায়, সাধারণ জনগণের কথা বলতে চায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, জুলুমের বিরুদ্ধে, ইনসাফের রাজনীতি করতে চায়।’
সভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেন। পরে তাঁরা ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্দেশে রওনা দেন।

বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: দলটির পদযাত্রার অংশ হিসেবে শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে উপস্থিত হোন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা গণ-অভ্যুত্থানের বাংলাদেশ। তাই আমরা যেকোনও মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবো। আমরা ক্ষমতার রাজনীতি করি না, জনগণের স্বার্থে রাজপথে আছি এবং থাকবো। এই পদযাত্রা বিচারের দাবিতে, শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছি। বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণকেই আমাদের একমাত্র শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছি। ঠাকুরগাঁও কৃষকদের জেলা, দেশে কৃষক নিপীড়ন রয়েছে। আমরা সেই দেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে কোনো গণনিপীড়ন থাকবে না।’

সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শ্রম-সব ক্ষেত্রেই এখানে উপেক্ষা চলছে। কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না, শ্রমিকরা পায় না তাদের ন্যায্য মজুরি। বাজেট বরাদ্দেও ঠাকুরগাঁওকে উপেক্ষা করা হয়।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে তরুণসমাজ যে আশা জাগিয়েছিল, তা গত এক বছরে বাস্তব রূপ পায়নি। বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের মতো মৌলিক দাবিগুলো এখনও অধরা। তাই আমরা ৬৪ জেলায় যাবো, জনগণের মত শুনে একটি গণতান্ত্রিক ইশতেহার তৈরি করবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রায় এনসিপির প্রায় সব কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নিয়েছেন। জুলাই সনদ ও সংস্কার বাস্তবায়নের সংগ্রামে আমরা পিছপা হবো না।’

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন এনসিপি নেতা রফিকুল ইসলাম কনক, আব্দুল মুনীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ গালিব, শ্রমিক উইং নেতা আকিব উদ্দিন ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা প্রমুখ। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্যরা।