ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নতুন উচ্চতায় মূল্যসূচক

  • আপডেট সময় : ০২:২২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ও মূল্যসূচক। গতকাল বৃহষ্পতিবারসহ টানা ৮ দিন সূচক বেড়েছে বাজারে। আর প্রতিদিনই হয়েছে মূল্যসূচকের নতুন নতুন রেকর্ড। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৮ দশমিক পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ২৫৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে উঠেছে। এটি এই সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। সর্বশেষ ৮ লেনদেন দিবসে এই সূচক বেড়েছে ৪৩৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অতি চাঙ্গা বাজারে ভাল শেয়ারের পাশাপাশি দূর্বল মৌলের শেয়ারের দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বরং ভাল কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির হার বেশি। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিধিবহির্ভূত মার্জিন ঋণের ভূমিকা আছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয়। ধারণা করা হয়েছিল, এই নির্দেশনার ফলে বাজারের পাগলা ঘোড়ার গলায় লাগাম পড়বে। বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। লেনদেনের শুরুতে বাজারে মূল্য সংশোধনের আভাস দেখা গেলেও তা কিছু সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যায়। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে সব শেয়ার না হলেও বেশ কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। কিছু জুয়াড়ি কারসাজি করে এসব শেয়ারের দাম বাড়্িেয়ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জুয়াড়িদের পেছনে ছুটলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, ‘কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে ভালো শেয়ার কিনতে হবে। এখনও বাজারে অনেক ভালো শেয়ার রয়েছে যেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বাড়েনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের দেখে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।’
বাজার চিত্রে দেখা যায়, লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা ডিএসইএক্স কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। এই সময়ে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৮ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু এর পরই বাজার পুরো ইউটার্ন করে। এক পর্যায়ে ডিএসইএক্স ৭ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে উঠে যায়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭৬ পয়েন্ট বেশি। তবে পরবর্তীতে সূচক কিছুটা কমে আসে। সূচকের বড় উল্লম্ফন হলেও বাজারে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও মূল্য হ্রাসকৃত কোম্পানির সংখ্যা ছিল সমান সমান। কিন্তু কয়েকটি বড় মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে সূচক অনেক বেড়ে যায়। ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৭৭টির দাম আগের দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। দর হারায় সমসংখ্যক কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। আর ২২টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। অন্যদিকে এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৩২ টি কোম্পানির ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯২টি শেয়ার ও মিউচ্যয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬২ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ১২১ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশ নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র করছেন শেখ হাসিনা: ফখরুল

নতুন উচ্চতায় মূল্যসূচক

আপডেট সময় : ০২:২২:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ও মূল্যসূচক। গতকাল বৃহষ্পতিবারসহ টানা ৮ দিন সূচক বেড়েছে বাজারে। আর প্রতিদিনই হয়েছে মূল্যসূচকের নতুন নতুন রেকর্ড। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৬৮ দশমিক পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ২৫৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে উঠেছে। এটি এই সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। সর্বশেষ ৮ লেনদেন দিবসে এই সূচক বেড়েছে ৪৩৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অতি চাঙ্গা বাজারে ভাল শেয়ারের পাশাপাশি দূর্বল মৌলের শেয়ারের দামও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বরং ভাল কোম্পানির শেয়ারের চেয়ে মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির হার বেশি। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে বিধিবহির্ভূত মার্জিন ঋণের ভূমিকা আছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয়। ধারণা করা হয়েছিল, এই নির্দেশনার ফলে বাজারের পাগলা ঘোড়ার গলায় লাগাম পড়বে। বাস্তবে তেমন কিছু হয়নি। লেনদেনের শুরুতে বাজারে মূল্য সংশোধনের আভাস দেখা গেলেও তা কিছু সময়ের মধ্যে মিলিয়ে যায়। পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে সব শেয়ার না হলেও বেশ কিছু দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। কিছু জুয়াড়ি কারসাজি করে এসব শেয়ারের দাম বাড়্িেয়ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জুয়াড়িদের পেছনে ছুটলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, ‘কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল দেখে ভালো শেয়ার কিনতে হবে। এখনও বাজারে অনেক ভালো শেয়ার রয়েছে যেগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বাড়েনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের দেখে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।’
বাজার চিত্রে দেখা যায়, লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা ডিএসইএক্স কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। এই সময়ে সূচকটি আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৮ পয়েন্ট কমে যায়। কিন্তু এর পরই বাজার পুরো ইউটার্ন করে। এক পর্যায়ে ডিএসইএক্স ৭ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে উঠে যায়, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৭৬ পয়েন্ট বেশি। তবে পরবর্তীতে সূচক কিছুটা কমে আসে। সূচকের বড় উল্লম্ফন হলেও বাজারে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও মূল্য হ্রাসকৃত কোম্পানির সংখ্যা ছিল সমান সমান। কিন্তু কয়েকটি বড় মূলধনসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির কারণে সূচক অনেক বেড়ে যায়। ডিএসইতে ৩৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৭৭টির দাম আগের দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। দর হারায় সমসংখ্যক কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। আর ২২টির দাম ছিল অপরিবর্তিত। অন্যদিকে এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৩৩২ টি কোম্পানির ৩ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৯২টি শেয়ার ও মিউচ্যয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ৯৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬২ পয়েন্ট বেড়ে ২১ হাজার ১২১ পয়েন্টে উন্নীত হয়।