নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব কটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এদিন ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বেড়ে আরও নতুন উচ্চতায় উঠেছে। তবে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। এদিন ডিএসইতে প্রথম মিনিটেই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স প্রায় ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম দুই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। তবে বাছাই করা ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় সব কটি সূচকের উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এটি ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হওয়ার পর সর্বোচ্চ অবস্থান। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, কমেছে ২১৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৬৩ কোটি ৬ লাখ টাকা কম। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর শেযার লেনদেন হয় ১১৪ কোটি ১২ লাখ টাকার। তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার লেনদেন হয় ১০৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ দশ তালিকার অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ডেল্টা লাইফ, পাওয়ার গ্রিড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস এবং বসুন্ধরা পেপার। ওদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।