ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

নতুন আইওএস-এ ট্র্যাক করার অনুমতি মাত্র চার শতাংশ

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে


প্রযুক্তি ডেস্ক : এপ্রিলের শেষ নাগাদ আইওএস ১৪.৫ উন্মুক্ত করে অ্যাপল। এই সংস্করণটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের স্বার্থে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করার বিষয়টি আপনি চাইলেই বন্ধ করে দিতে পারবেন। নতুন ডেটা দেখাচ্ছে এই ফিচারটি কী পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে!

যখন কোনো ব্যবহারকারী নতুন আইওএস ডাউনলোড করার পরে প্রথমবারের মতো কোনও অ্যাপ খোলেন, ডাউনলোড বা আপডেট করেন, তখন তাদের সেই অ্যাপটিকে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করার জন্য আপনার অনুমতি নিতে হবে – এই হচ্ছে ফিচারটির মূল বৈশিষ্ট্য।

ভেরাইজন মিডিয়ার মালিকানাধীন ফ্লারি অ্যানালিটিক্স বলছে, ওই বিশেষ অপশন এলে, প্রায় সবাই বেছে নিচ্ছেন- “নো, থ্যাংক ইউ।”

মাত্র ৪ শতাংশ মার্কিন ব্যবহারকারী “হ্যাঁ” বলেছেন।

ফ্লারি একটি বিশ্লেষণ টুল যা প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুসারে প্রায় ১০ লাখ অ্যাপে ইনস্টল করা আছে। আইওএস ১৪.৫-এর পাবলিক লঞ্চের পর থেকে এটি প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ ডিভাইসের ডেটা ব্যবহার করে ‘অপ্ট-ইন রেট’ ট্র্যাক করছে।

মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য এই হার প্রায় সবসময়ই ৪ শতাংশ স্থির ছিল। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এই হার যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, গড় দৈনিক অপ্ট-ইন প্রায় ১২ শতাংশ।

আইওএস ব্যবহারকারীরা যারা চান না কখনই তাদের ট্র্যাক করা হোক, তারা আলাদা করে প্রতিটি অ্যাপে প্রত্যাখ্যান করার দরকার নেই। কেবল সেটিংস > প্রাইভেসি > ট্র্যাকিং-এ গিয়ে “অ্যালাও অ্যাপস টু রিকোয়েস্ট টু ট্র্যাক” অপশনটি অফ করে দিলেই হবে।

ফ্লারি’র ডেটা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেবল তিন শতাংশ আইওএস ব্যবহারকারী এই বৈশিষ্ট্যের সুবিধা নিয়েছেন। এই হার কম হওয়ার কারণ জটিল কিছু নয়। কোনও অ্যাপ আপনাকে ট্র্যাক করতে পারে কিনা জিজ্ঞাসা করার সময় ফোনের পর্দায় একটি পপ-আপ আসে। তখন সেখানে পছন্দ ঠিক করে দিলেই হয়। আর ট্র্যাকিং একেবারেই বন্ধ করার বেলায় ব্যবহারকারীকে নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে তাদের সেটিংস পরিবর্তন করতে হয়।

অস্বীকার করার উপায় নেই, ফেইসবুক নতুন এই ফিচার দু’চোক্ষে দেখতে পারছে না। তবে, ফেইসবুক এবং বিজ্ঞাপনের ওপর এই আঘাত আসলে আপনার গোপনতার প্রতি জয় বলেই মন্তব্য উঠে এসেছে ম্যাশএবলের প্রতিবেদনে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

নতুন আইওএস-এ ট্র্যাক করার অনুমতি মাত্র চার শতাংশ

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১


প্রযুক্তি ডেস্ক : এপ্রিলের শেষ নাগাদ আইওএস ১৪.৫ উন্মুক্ত করে অ্যাপল। এই সংস্করণটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের স্বার্থে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করার বিষয়টি আপনি চাইলেই বন্ধ করে দিতে পারবেন। নতুন ডেটা দেখাচ্ছে এই ফিচারটি কী পরিমাণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে!

যখন কোনো ব্যবহারকারী নতুন আইওএস ডাউনলোড করার পরে প্রথমবারের মতো কোনও অ্যাপ খোলেন, ডাউনলোড বা আপডেট করেন, তখন তাদের সেই অ্যাপটিকে আপনার কার্যকলাপ ট্র্যাক করার জন্য আপনার অনুমতি নিতে হবে – এই হচ্ছে ফিচারটির মূল বৈশিষ্ট্য।

ভেরাইজন মিডিয়ার মালিকানাধীন ফ্লারি অ্যানালিটিক্স বলছে, ওই বিশেষ অপশন এলে, প্রায় সবাই বেছে নিচ্ছেন- “নো, থ্যাংক ইউ।”

মাত্র ৪ শতাংশ মার্কিন ব্যবহারকারী “হ্যাঁ” বলেছেন।

ফ্লারি একটি বিশ্লেষণ টুল যা প্রতিষ্ঠানটির দাবি অনুসারে প্রায় ১০ লাখ অ্যাপে ইনস্টল করা আছে। আইওএস ১৪.৫-এর পাবলিক লঞ্চের পর থেকে এটি প্রতিদিন প্রায় ২৫ লাখ ডিভাইসের ডেটা ব্যবহার করে ‘অপ্ট-ইন রেট’ ট্র্যাক করছে।

মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য এই হার প্রায় সবসময়ই ৪ শতাংশ স্থির ছিল। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় এই হার যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, গড় দৈনিক অপ্ট-ইন প্রায় ১২ শতাংশ।

আইওএস ব্যবহারকারীরা যারা চান না কখনই তাদের ট্র্যাক করা হোক, তারা আলাদা করে প্রতিটি অ্যাপে প্রত্যাখ্যান করার দরকার নেই। কেবল সেটিংস > প্রাইভেসি > ট্র্যাকিং-এ গিয়ে “অ্যালাও অ্যাপস টু রিকোয়েস্ট টু ট্র্যাক” অপশনটি অফ করে দিলেই হবে।

ফ্লারি’র ডেটা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেবল তিন শতাংশ আইওএস ব্যবহারকারী এই বৈশিষ্ট্যের সুবিধা নিয়েছেন। এই হার কম হওয়ার কারণ জটিল কিছু নয়। কোনও অ্যাপ আপনাকে ট্র্যাক করতে পারে কিনা জিজ্ঞাসা করার সময় ফোনের পর্দায় একটি পপ-আপ আসে। তখন সেখানে পছন্দ ঠিক করে দিলেই হয়। আর ট্র্যাকিং একেবারেই বন্ধ করার বেলায় ব্যবহারকারীকে নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে তাদের সেটিংস পরিবর্তন করতে হয়।

অস্বীকার করার উপায় নেই, ফেইসবুক নতুন এই ফিচার দু’চোক্ষে দেখতে পারছে না। তবে, ফেইসবুক এবং বিজ্ঞাপনের ওপর এই আঘাত আসলে আপনার গোপনতার প্রতি জয় বলেই মন্তব্য উঠে এসেছে ম্যাশএবলের প্রতিবেদনে।