ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নতুনদের চোখে গণ বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : সবুজের চাদরে মোড়ানো ৩২ একরের বিশাল এক ক্যাম্পাস। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাস সেজেছে এক অপরূপ সাজে। বলছিলাম সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। বংশি নদীর কোলঘেঁষা সবুজ রঙে পূর্ণ অনিন্দ্যসুন্দর এই ক্যাম্পাস, লাল ইটের দালান, বাদামতলা, ট্রান্সপোর্ট চত্বর, পিঠা চত্বর, ক্যান্টিন, নানীর টং সর্বত্র নবীনদের জয়জয়কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র তাদের সরব উপস্থিতি বুঝতে পারা যায়। মূল ফটক পেরোতেই বাদামতলায় দেখা মিলল এক দল প্রাণবন্ত, চঞ্চল নতুন মুখের। কেউ একসঙ্গে সেলফি তুলছে, কেউ বা বসে আড্ডা দিচ্ছে। প্রত্যেকের চোখে মুখে নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে উদ্দীপনা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পথ পাড়ি দিয়ে স্বপ্নপূরণের জন্য এসেছে সবাই। এ যেন অন্যরকম এক প্রাপ্তি। সবার মধ্যে যেন এক ধরনের বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে।
অনুভূতি জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ইফতিসামূল হক নিহাল জানান, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় আমার দৃষ্টিতে দেশের সুন্দরতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে একটি। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব ভয়ভীতি প্রথম দিনেই সব দূর হয়ে গেছে শিক্ষক ও সিনিয়রদের উষ্ণ ভালোবাসায়। ডিপার্টমেন্টের সবার বন্ধুসুলভ আচরণ খুবই মুগ্ধ করেছে। সকলেই দিনে দিনে আত্মার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ বিমোহিত করে। এটিই এখন দ্বিতীয় বাড়ি। যে বাড়ি আমাকে আমার জীবনের আসল অর্থ উপলব্ধি করতে শেখাচ্ছে। আমি চাই এই দারুণ দিনগুলো যেন আজীবন আমার স্মৃতিতে থাকে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন নাতাশা মণি। তিনি জানান, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ এর সবুজের সমারোহ। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো সুন্দর প্রাণের ক্যাম্পাস। এখানে একেকটি ডিপার্টমেন্ট একেকটি পরিবারের মতো। ডিপার্টমেন্টের সব বড় ভাই এবং আপুরা খুবই ফ্রেন্ডলি। কীভাবে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে উঠা যায়, কীভাবে আপন করে নিতে হয় খুব চমৎকারভাবে শেখায় তারা। ক্যাম্পাসের পরতে পরতে রয়েছে শিক্ষা, যা অর্জন করে নিতে হবে নিজেকেই। এখান থেকেই আমি আমার স্বপ্নের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পারবো বলে মনে করি।’ নিহাল, নাতাশাদের মতো নবীনরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিচিত্র ধরনের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে এই ক্যাম্পাসে। আর এভাবেই অনেক নবীন শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

নতুনদের চোখে গণ বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : সবুজের চাদরে মোড়ানো ৩২ একরের বিশাল এক ক্যাম্পাস। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাস সেজেছে এক অপরূপ সাজে। বলছিলাম সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। বংশি নদীর কোলঘেঁষা সবুজ রঙে পূর্ণ অনিন্দ্যসুন্দর এই ক্যাম্পাস, লাল ইটের দালান, বাদামতলা, ট্রান্সপোর্ট চত্বর, পিঠা চত্বর, ক্যান্টিন, নানীর টং সর্বত্র নবীনদের জয়জয়কার। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র তাদের সরব উপস্থিতি বুঝতে পারা যায়। মূল ফটক পেরোতেই বাদামতলায় দেখা মিলল এক দল প্রাণবন্ত, চঞ্চল নতুন মুখের। কেউ একসঙ্গে সেলফি তুলছে, কেউ বা বসে আড্ডা দিচ্ছে। প্রত্যেকের চোখে মুখে নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে উদ্দীপনা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের পথ পাড়ি দিয়ে স্বপ্নপূরণের জন্য এসেছে সবাই। এ যেন অন্যরকম এক প্রাপ্তি। সবার মধ্যে যেন এক ধরনের বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে।
অনুভূতি জানতে চাইলে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ইফতিসামূল হক নিহাল জানান, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয় আমার দৃষ্টিতে দেশের সুন্দরতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে একটি। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সব ভয়ভীতি প্রথম দিনেই সব দূর হয়ে গেছে শিক্ষক ও সিনিয়রদের উষ্ণ ভালোবাসায়। ডিপার্টমেন্টের সবার বন্ধুসুলভ আচরণ খুবই মুগ্ধ করেছে। সকলেই দিনে দিনে আত্মার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশ বিমোহিত করে। এটিই এখন দ্বিতীয় বাড়ি। যে বাড়ি আমাকে আমার জীবনের আসল অর্থ উপলব্ধি করতে শেখাচ্ছে। আমি চাই এই দারুণ দিনগুলো যেন আজীবন আমার স্মৃতিতে থাকে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন নাতাশা মণি। তিনি জানান, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ এর সবুজের সমারোহ। চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো সুন্দর প্রাণের ক্যাম্পাস। এখানে একেকটি ডিপার্টমেন্ট একেকটি পরিবারের মতো। ডিপার্টমেন্টের সব বড় ভাই এবং আপুরা খুবই ফ্রেন্ডলি। কীভাবে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে উঠা যায়, কীভাবে আপন করে নিতে হয় খুব চমৎকারভাবে শেখায় তারা। ক্যাম্পাসের পরতে পরতে রয়েছে শিক্ষা, যা অর্জন করে নিতে হবে নিজেকেই। এখান থেকেই আমি আমার স্বপ্নের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাতে পারবো বলে মনে করি।’ নিহাল, নাতাশাদের মতো নবীনরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিচিত্র ধরনের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে এই ক্যাম্পাসে। আর এভাবেই অনেক নবীন শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়।