ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নটিংহ্যামকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ম্যানসিটি

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রোববার ঐতিহাসিক ওয়েম্বলিতে স্টেডিয়ামে রিকো লুইস ও জোশকো গভার্দিওলের গোলে ট্রফিবিহীন মৌসুম এড়ানোর আশা টিকিয়ে রাখলো সিটি। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই লুইস গোল করেন। মাতেও কোভাচিচের দারুণ পাসে সময় ও জায়গা পেয়ে বলটি নিচের কোনায় পাঠিয়ে ফরেস্ট সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন তিনি।

প্রথমার্ধে ম্যাচে কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না ফরেস্টের। বলের দখলে মাত্র ২৫ শতাংশ সময় কাটাতে পেরেছিল তারা। লক্ষ্যে কোনো শট নিতে পারেনি। বিরতির পর অ্যান্টনি এলাঙ্গাকে নামানোর পর ফরেস্ট কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। ৪৬ মিনিটে প্রথম টাচেই তিনি ক্যালাম হাডসন-ওডোর ক্রসটি লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফরেস্টের মিসের সুযোগ নেয় ম্যানসিটি। ৫১ মিনিটে ওমর মারমুশের কর্নার থেকে গভার্দিওল সবচেয়ে উঁচুতে উঠে হেড দিয়ে গোল করেন, যা ছিল চলতি মৌসুমের তার ষষ্ঠ গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ১৯৯১ সালের পর প্রথম এফএ কাপ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছিল ফরেস্ট। মর্গান গিবস-হোয়াইট একবার দুর্দান্ত ভলিতে শট নিয়ে বার কাঁপিয়ে দেন, তখন সিটির গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগার অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা আর কিছুই করার ছিল না।

গোলবারে না লাগলে এটি দারুণ এক গোল হতে পারতো। ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে আবারও গিবস-হোয়াইট পোস্টে শট মারেন। সিটির গোলরক্ষক ওর্তেগাকে কাটিয়ে উঠলেও জটিল কোণ থেকে গোল করতে পারেননি। এরপর ফরেস্টের বদলি খেলোয়াড় তাইও আওনিয়িও পোস্টে বল মারেন। এরপর গিবস-হোয়াইটের ফলোআপ হেডও ওর্তেগা দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন। তখন থেকেই ফরেস্ট সমর্থকদের মনে হচ্ছিল, এটি তাদের দিন নয়। শেষ পর্যন্ত ম্যানসিটি সহজেই ম্যাচ শেষ করে। রেকর্ড টানা সপ্তম এফএ কাপ সেমিফাইনালে জয়ের মাধ্যমে আগামী ১৭ মে ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে সিটি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নটিংহ্যামকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে ম্যানসিটি

আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: নটিংহ্যাম ফরেস্টকে ২-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। রোববার ঐতিহাসিক ওয়েম্বলিতে স্টেডিয়ামে রিকো লুইস ও জোশকো গভার্দিওলের গোলে ট্রফিবিহীন মৌসুম এড়ানোর আশা টিকিয়ে রাখলো সিটি। ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই লুইস গোল করেন। মাতেও কোভাচিচের দারুণ পাসে সময় ও জায়গা পেয়ে বলটি নিচের কোনায় পাঠিয়ে ফরেস্ট সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন তিনি।

প্রথমার্ধে ম্যাচে কোনো নিয়ন্ত্রণই ছিল না ফরেস্টের। বলের দখলে মাত্র ২৫ শতাংশ সময় কাটাতে পেরেছিল তারা। লক্ষ্যে কোনো শট নিতে পারেনি। বিরতির পর অ্যান্টনি এলাঙ্গাকে নামানোর পর ফরেস্ট কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। ৪৬ মিনিটে প্রথম টাচেই তিনি ক্যালাম হাডসন-ওডোর ক্রসটি লক্ষ্যভ্রষ্ট করেন। এরপর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ফরেস্টের মিসের সুযোগ নেয় ম্যানসিটি। ৫১ মিনিটে ওমর মারমুশের কর্নার থেকে গভার্দিওল সবচেয়ে উঁচুতে উঠে হেড দিয়ে গোল করেন, যা ছিল চলতি মৌসুমের তার ষষ্ঠ গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ১৯৯১ সালের পর প্রথম এফএ কাপ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছিল ফরেস্ট। মর্গান গিবস-হোয়াইট একবার দুর্দান্ত ভলিতে শট নিয়ে বার কাঁপিয়ে দেন, তখন সিটির গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগার অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা আর কিছুই করার ছিল না।

গোলবারে না লাগলে এটি দারুণ এক গোল হতে পারতো। ম্যাচের ২০ মিনিট বাকি থাকতে আবারও গিবস-হোয়াইট পোস্টে শট মারেন। সিটির গোলরক্ষক ওর্তেগাকে কাটিয়ে উঠলেও জটিল কোণ থেকে গোল করতে পারেননি। এরপর ফরেস্টের বদলি খেলোয়াড় তাইও আওনিয়িও পোস্টে বল মারেন। এরপর গিবস-হোয়াইটের ফলোআপ হেডও ওর্তেগা দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন। তখন থেকেই ফরেস্ট সমর্থকদের মনে হচ্ছিল, এটি তাদের দিন নয়। শেষ পর্যন্ত ম্যানসিটি সহজেই ম্যাচ শেষ করে। রেকর্ড টানা সপ্তম এফএ কাপ সেমিফাইনালে জয়ের মাধ্যমে আগামী ১৭ মে ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হবে সিটি।