ঢাকা ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

‘নগদে’ প্রশাসকের কার্যক্রমে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা হাই কোর্টের

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনকারীর পক্ষে স্থিতাবস্থা জারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শুনানিতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নওশাদ জমি ও অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম খান (দাউদ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম শুনানি করেন। অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম খান (দাউদ) বলেন, এই আদেশের ফলে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক এবং তার সহযোগী অথবা ব্যবস্থাপনা বোর্ড নগদ এর ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম ছাড়া নতুন কোনো কার্যক্রম বা পদক্ষেপ নিতে পারবে না। আগামী ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির পর হাই কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেবে বলে তিনি জানান। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় ২১ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী এক বছরের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পদমর্যাদার এ প্রশাসককে সহায়তার জন্য নগদ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয় কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়।

এদিন নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম রিট আবেদন করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ রুল জারি করে। রুলে ‘নগদ’ এ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এই এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের পাঁচ বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার দুই দিনের মাথায় নগদে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘নগদে’ প্রশাসকের কার্যক্রমে দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা হাই কোর্টের

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এ বিষয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনকারীর পক্ষে স্থিতাবস্থা জারির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শুনানিতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ নওশাদ জমি ও অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম খান (দাউদ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম শুনানি করেন। অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম খান (দাউদ) বলেন, এই আদেশের ফলে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া প্রশাসক এবং তার সহযোগী অথবা ব্যবস্থাপনা বোর্ড নগদ এর ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম ছাড়া নতুন কোনো কার্যক্রম বা পদক্ষেপ নিতে পারবে না। আগামী ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির পর হাই কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেবে বলে তিনি জানান। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় ২১ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী এক বছরের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম অফিসে কর্মরত পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পদমর্যাদার এ প্রশাসককে সহায়তার জন্য নগদ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে আরও ছয় কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়।

এদিন নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম রিট আবেদন করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ রুল জারি করে। রুলে ‘নগদ’ এ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এই এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের পাঁচ বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার দুই দিনের মাথায় নগদে প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।