ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

নকল মাস্ক সরবরাহ মামলায় সেই শারমিনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন

  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ হোসেন খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্কা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে গত বছরের ২৩ জুলাই রাতে শাহবাগ থানায় শারমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ। মামলা থেকে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তৃতীয় ব্যাচেই দেখা দেয় বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে, এই চালানে সেখানে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হয়। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ভুল, লট নম্বর ছিল না। অভিযোগে বলা হয়, আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান। এতে তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেভাবে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নকল মাস্ক সরবরাহ মামলায় সেই শারমিনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন

আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা থেকে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ হোসেন খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্কা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নির্দেশে গত বছরের ২৩ জুলাই রাতে শাহবাগ থানায় শারমিনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন প্রক্টর মোজাফফর আহমেদ। মামলা থেকে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হয় গত ৪ জুলাই। সেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে যারা মাস্ক সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের দেয়া এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তৃতীয় ব্যাচেই দেখা দেয় বিপত্তি। অভিযোগ ওঠে, এই চালানে সেখানে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করা হয়। নকল মাস্কগুলোতে লেখা ভুল, লট নম্বর ছিল না। অভিযোগে বলা হয়, আসল এন-৯৫ মাস্কের সঙ্গে নকল মাস্কও সরবরাহ করে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে প্রায় ৮০-৯৫ লাখ টাকার মাস্ক নিয়েছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহান। এতে তারা বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তাতে বলা হয়, নকল মাস্ক সরবরাহ করার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। তাদের কাছে যেভাবে প্যাকেটজাত অবস্থায় মাস্কগুলো এসেছে সেভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তারা সেসব মাস্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।