ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি

  • আপডেট সময় : ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আগামী রোববার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালানো হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কোনও মার্কেটে নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক সেটি বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজনে অধিদফতর এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান।
গতকাল বুধবার ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। সফিকুজ্জামান বলেন, গত দিনে বাজার অভিযানের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে মৌলভীবাজার মালিক সমিতি দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সরকারি কর্মকর্তারা কিন্তু সরকারি কাজে সেখানে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া জামিন অযোগ্য অপরাধ। ভোক্তা অধিকার আইনের বাইরেও আরও আইন আছে। আমি আহ্বান করবো আপনাদের প্রতি, আপানদের ব্যবসায়ীদের জানাবেন, আমরা রোববার থেকে কিছু টার্গেটেড অভিযান করবো। এই অভিযানে যেন আমরা সহায়তা পাই। এরপর যদি এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় তাহলে কিন্তু আমাদের আইনে অনেক কিছু প্রোটেকশন দেওয়া আছে। তিনি আরও বলেন, আমি কখনো হার্ড লাইনে যেতে চাই না। আপনাদের বিষয় আপনারাই দেখেন। ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, দেশ নকল ও ভেজালে ভরে গেছে। এমন কোনও কসমেটিকস নেই যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোতে এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কাপড়ে ভেজাল বেশি হয় না। কিন্তু কসমেটিকসের অবস্থা ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিকস মূলত প্যাকেজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনও মোড়ক থাকে না। তিনি বলেন, কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকদের কোনও তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনও সিল থাকে না। প্রতিটা পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

নকল প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আগামী রোববার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালানো হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কোনও মার্কেটে নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক সেটি বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজনে অধিদফতর এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান।
গতকাল বুধবার ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। সফিকুজ্জামান বলেন, গত দিনে বাজার অভিযানের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে মৌলভীবাজার মালিক সমিতি দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সরকারি কর্মকর্তারা কিন্তু সরকারি কাজে সেখানে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়া জামিন অযোগ্য অপরাধ। ভোক্তা অধিকার আইনের বাইরেও আরও আইন আছে। আমি আহ্বান করবো আপনাদের প্রতি, আপানদের ব্যবসায়ীদের জানাবেন, আমরা রোববার থেকে কিছু টার্গেটেড অভিযান করবো। এই অভিযানে যেন আমরা সহায়তা পাই। এরপর যদি এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় তাহলে কিন্তু আমাদের আইনে অনেক কিছু প্রোটেকশন দেওয়া আছে। তিনি আরও বলেন, আমি কখনো হার্ড লাইনে যেতে চাই না। আপনাদের বিষয় আপনারাই দেখেন। ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, দেশ নকল ও ভেজালে ভরে গেছে। এমন কোনও কসমেটিকস নেই যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোতে এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যান্সার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কাপড়ে ভেজাল বেশি হয় না। কিন্তু কসমেটিকসের অবস্থা ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিকস মূলত প্যাকেজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোতে বিএসটিআইয়ের কোনও মোড়ক থাকে না। তিনি বলেন, কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকদের কোনও তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনও সিল থাকে না। প্রতিটা পণ্য দেশে আসলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবেই নির্ধারণ হবে।