ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা সিআইডিকে তদন্ত করতে বলেছে ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনাল।
ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করলে তার জবানবন্দি নিয়ে বিকালে এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার (বেঞ্চ সহকারী) শামীম আল মামুন জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ১৫ মার্চ সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার অন্য আসামি হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং ফেইসবুক পেইজ ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন,ভিডিওর ধারা বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান।
সারোয়ার বলেন, “আমরা ভাইরাল প্রতিদেনের এডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্তুতকারী ও টেকনিশিয়ানের নাম তথ্য অধিকার আইনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও পাইনি। সে কারণে আরজিতে তাদের নাম আনতে পারিনি। পুলিশ তাদের নাম পাবে।”
তিনি বলেন, “আসামিরা ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে আপত্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারার অপরাধ।”
মামলায় ২৭ পৃষ্ঠার আরজিতে বলা হয়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। তা অনলাইনেও দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।”
কলেজছাত্রী মুনিয়া মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যামামলা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার করা সেই মামলায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের মালিকানা প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরও আসামি।
নঈম নিজামের ভার কমালো বসুন্ধরা গ্রুপ : মামলায় সারোয়ার বলেছেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সারোয়ার বলেন, ফেইসবুক পেইজ ভাইরাল প্রতিদিনে তাকে নিয়ে ‘উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে’ লেখা হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়াতে জোর

নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা সিআইডিকে তদন্ত করতে বলেছে ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনাল।
ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি করলে তার জবানবন্দি নিয়ে বিকালে এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার (বেঞ্চ সহকারী) শামীম আল মামুন জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ১৫ মার্চ সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার অন্য আসামি হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং ফেইসবুক পেইজ ভাইরাল প্রতিদিনের অ্যাডমিন,ভিডিওর ধারা বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্ততকারী ও টেকনিশিয়ান।
সারোয়ার বলেন, “আমরা ভাইরাল প্রতিদেনের এডমিন, বর্ণনাকারী, ভিডিও প্রস্তুতকারী ও টেকনিশিয়ানের নাম তথ্য অধিকার আইনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেও পাইনি। সে কারণে আরজিতে তাদের নাম আনতে পারিনি। পুলিশ তাদের নাম পাবে।”
তিনি বলেন, “আসামিরা ইচ্ছাকৃত ও জ্ঞাতসারে আপত্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তা ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে প্রচার করে, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৯/৩৫ ধারার অপরাধ।”
মামলায় ২৭ পৃষ্ঠার আরজিতে বলা হয়, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘নুসরাতকে দিয়ে বিচ্ছু সামশু সিন্ডিকেটের ফের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়। তা অনলাইনেও দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, “নুসরাতের আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে ব্যারিস্টার এম সারোয়ারের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী গুজব ও অপপ্রচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার একাধিক মামলা রয়েছে। মুনিয়া ইস্যু নিয়ে তারা এর আগেও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন।”
কলেজছাত্রী মুনিয়া মোসারাত জাহান মুনিয়া হত্যামামলা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার করা সেই মামলায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের মালিকানা প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরও আসামি।
নঈম নিজামের ভার কমালো বসুন্ধরা গ্রুপ : মামলায় সারোয়ার বলেছেন, তিনি নুসরাতের আইনজীবী নন। নুসরাতের মামলার নারাজি আবেদনের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইনসাইডার পত্রিকায় ‘কে এই সারোয়ার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি সারোয়ার বলেন, ফেইসবুক পেইজ ভাইরাল প্রতিদিনে তাকে নিয়ে ‘উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে’ লেখা হচ্ছে।