ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধ্রুবতারা

  • আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

অপু সুলতান : লকডাউন। অটোরিকশা গ্যারেজে পড়ে আছে। বের করার উপায় নেই। আমার অবশ্য এ নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি একা মানুষ চলে যাবে কোনভাবে। মাসের প্রথম সপ্তাহে অটো চালিয়ে যা পেয়েছি তা বাবাকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকী পুরো মাসের টাকা আমার। কিন্তু লকডাউনের জন্য এ মাসে হয়তো আর অটো চালানো হবে না। বাবা প্রচন্ড চাপা স্বভাবের মানুষ। নিজের দুর্বলতা কারো কাছে প্রকাশ করতে চান না। এমন কী আমার কাছেও না। না খেয়ে থাকলেও না। মাঝে মাঝে মনে হয়- বাবা আমাকে আপনই ভাবেন না।
মা মারা যাওয়ার পর আমি ঢাকায় চলে আসি। পুকুরের রুই-কাতলা, নদীর মাছ, গোয়ালের গরু, গ্রামের জমি-জিরাত কিছুই আমাকে ধরে রাখতে পারেনি। কেন জানি মনে হলো যেখানে মা নেই- সে জায়গাটা আমার হতে পারে না। মায়ের স্মৃতিগুলো সারাক্ষণ পীড়া দেয় আমাকে। এই গ্রামের ধুলিকণায়ও মায়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি আর যাই কয়? অনেকটা পালিয়ে বাঁচার মতো- সব ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি।
ঢাকায় আসার পর থেকেই একটা অনুভূতি ভর করেছে মাথার ভিতর। সারাক্ষনই মনে হয়- মা গ্রামে আছেন। গরুগুলোকে পানি খাওয়াচ্ছেন। হাঁস-মুরগিগুলো খোয়ারে তুলছেন। মাছ ভাঁজি করে আমায় ডাকছেন, ‘ খোকা, তোর পছন্দের কড়কড়া মাছ ভাজি। আয়, খেয়ে যা। আবার কখনো মনে হয়- মা আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন। আমি কবে বাড়ি যাবো। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবেন, ‘কত দিন পরে এলি। কেমন শুকিয়ে গেছিস! রোদে পুড়ে কেমন কালো হয়ে গেছিস! অটো চালানোটা বাদ দে। আমার সাথে গ্রামেই থাক। এই দেখ আমি তোর জন্য পাকা বড়ই শুকিয়ে রেখেছি। পুটিমাছের ঝোল রেঁধেছি। টক দই পেতেছি।’ মনে মনে এরকম আরও কতো ভাবনা। মা বেঁচে আছেন অনুভূতিটাই অন্যরকম। নিজের ছায়ার সাথে নিজের সত্য-মিথ্যের লুকোচুরির খেলা।
এই মাসে হয়তো কোনো ট্যুরে যাওয়া হবে না। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় আমি ঘুরতে গিয়েছি। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। একজন অটোচালকের পুরো দেশ ভ্রমণ। কিভাবে সম্ভব? প্রথমেই বলেছি, মাসের প্রথম সপ্তাহের টাকা বাবাকে পাঠিয়ে দেই। শেষের সপ্তাহের তিন চার দিন ট্যুরে যাই। বাকী কয়দিন কাজ করি, টাকা জমাই। একটা গ্যারেজে ঘুমাই। পাশে একটা ঝুপড়ি হোটেল- সেখানে খাই। চা-পান-সিগারেট খাই না। খরচ শুধু থাকা খাওয়া। অটোটাও নিজের। গরু বিক্রির টাকা দিয়ে কিনেছি। প্রথমে চালাতে পারতাম না। পরে নিজেই শিখে নিয়েছি। যা পাই- তা নিজেরই থাকে।
প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঘুরতে বের হই। শুরুতেই সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ি গ্রামে। যেখানে আমার প্রতি মাসেই যাওয়া হয়। তারপর অন্য কোথাও। হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। যেখানে মানুষ বারবার যায়। সেখানে ঘুরতে যায় না- সেখানে একটা মায়া থাকে। ঠিক ধরেছেন, একবার এসেছিলাম ঘুরতে। তারপর থেকে আসি দেখতে। পাহাড়ি মেয়ে। পাহাড়ের মতোই উদার তার হৃদয়। হরিণীর মতো মায়াভরা ডাগর ডাগর চোখ। যেদিন থেকে আমি ওই চোখের মায়া দেখেছি সেদিন থেকে জীবনের সব মায়া ত্যাগ করে তাকে ভালোবাসতে শিখেছি। এতো কোমলতা, এতো লাবন্যতা, এতো সরলতা, এতো মায়াভরা দৃষ্টি, এতো আদুরে মুখ এর আগে আমি কখনো দেখিনি। বারবার ছুটে এসেছি এই বুনো পাহাড়ির ধারে।
ভেবেছিলাম বাকীটা জীবন তাকে নিয়ে কাটিয়ে দিব। কিন্তু তা আর পারলাম কয়? পারিনি। সে গত সপ্তাহে আকাশের তারা হয়ে গেছে অথবা কর্পূরের মতো বাতাসে মিলিয়ে গেছে। সে এখন ইহজাগতিক মায়া ত্যাগ করে অপার্থিব মায়া হয়ে গেছে। এতো সতেজ গাছপালা আর বন জঙ্গল সেখানে হয়তো প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের বোমা বিস্ফোরিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সে বাতাস থেকে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানেজ করে অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল সে। তাদের গ্রামটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় চারপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাসের এই মারাত্মক বিপদজনক ধরণটি।
এতক্ষন যার গল্প করছি তার নাম হয়তো আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে। এই পৃথিবীকে যে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে তার নামটা না হয় গোপনই থাক। তবে তার একটি নাম ধরা যাক। সে যেহেতু আকাশের বাসিন্দা হয়ে গেছে তার নামটা আকাশ থেকেই নেই। তার নাম দিলাম ধ্রুবতারা। ধ্রুবতারা উত্তর আকাশে থাকে। তার বাড়িও উত্তরে। সব তারা রাতে সরতে সরতে পশ্চিম আকাশে এসে একটা সময় অস্ত যায়। কিন্তু ধ্রুবতারা কখনো অস্ত যায় না। সে আমার হৃদয় আকাশে অম্লান-অক্ষয় হয়ে থাকবে। অকূল সমুদ্র যাত্রাপথে ধ্রুবতারা রাতের অন্ধকারে নাবিককে যেমন পথ দেখায়। সেও আমায় ভুল যাত্রা পথ শোধরে সঠিক পথ দেখাবে।
প্রতিটা মানুষের স্বপ্নের একটা গাছ থাকে। সেখান থেকে ডালপালা ভেঙ্গে গেলে আবার গজায়। কিন্তু মূল গাছটি উপড়ে উঠে গেলে, আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আমার মনে হয় আমার স্বপ্নের গাছটি মরে গেছে। আজকাল কোন কিছুতেই মন বসছে না। সব কিছুতে কেমন যেন একটা অনাসক্তি ভাব চলে এসেছে। একজন ক্রেতা এসেছে। অটোরিকশাটি বেঁচে দিব। বাবার সাথে কথা বলে গ্রামের দুটো জমি বন্ধক দিয়েছি। অটোরিকশা ও জমি বন্দকের টাকা দিয়ে একটি সিএনজি কিনবো। সিএনজির সামনে বড় করে লেখা থাকবে ‘ধ্রুবতারা’। এর নিচে একটু ছোট করে লেখা থাকবে ‘করোনা রোগী পরিবহনে সাথে আছি সপ্তাহে ২৪ ঘন্টা।’ চালক- আমি নিজেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ধ্রুবতারা

আপডেট সময় : ১০:৪৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২১

অপু সুলতান : লকডাউন। অটোরিকশা গ্যারেজে পড়ে আছে। বের করার উপায় নেই। আমার অবশ্য এ নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। আমি একা মানুষ চলে যাবে কোনভাবে। মাসের প্রথম সপ্তাহে অটো চালিয়ে যা পেয়েছি তা বাবাকে পাঠিয়ে দিয়েছি। বাকী পুরো মাসের টাকা আমার। কিন্তু লকডাউনের জন্য এ মাসে হয়তো আর অটো চালানো হবে না। বাবা প্রচন্ড চাপা স্বভাবের মানুষ। নিজের দুর্বলতা কারো কাছে প্রকাশ করতে চান না। এমন কী আমার কাছেও না। না খেয়ে থাকলেও না। মাঝে মাঝে মনে হয়- বাবা আমাকে আপনই ভাবেন না।
মা মারা যাওয়ার পর আমি ঢাকায় চলে আসি। পুকুরের রুই-কাতলা, নদীর মাছ, গোয়ালের গরু, গ্রামের জমি-জিরাত কিছুই আমাকে ধরে রাখতে পারেনি। কেন জানি মনে হলো যেখানে মা নেই- সে জায়গাটা আমার হতে পারে না। মায়ের স্মৃতিগুলো সারাক্ষণ পীড়া দেয় আমাকে। এই গ্রামের ধুলিকণায়ও মায়ের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি আর যাই কয়? অনেকটা পালিয়ে বাঁচার মতো- সব ছেড়ে ঢাকায় চলে আসি।
ঢাকায় আসার পর থেকেই একটা অনুভূতি ভর করেছে মাথার ভিতর। সারাক্ষনই মনে হয়- মা গ্রামে আছেন। গরুগুলোকে পানি খাওয়াচ্ছেন। হাঁস-মুরগিগুলো খোয়ারে তুলছেন। মাছ ভাঁজি করে আমায় ডাকছেন, ‘ খোকা, তোর পছন্দের কড়কড়া মাছ ভাজি। আয়, খেয়ে যা। আবার কখনো মনে হয়- মা আমার জন্য অপেক্ষা করে বসে আছেন। আমি কবে বাড়ি যাবো। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবেন, ‘কত দিন পরে এলি। কেমন শুকিয়ে গেছিস! রোদে পুড়ে কেমন কালো হয়ে গেছিস! অটো চালানোটা বাদ দে। আমার সাথে গ্রামেই থাক। এই দেখ আমি তোর জন্য পাকা বড়ই শুকিয়ে রেখেছি। পুটিমাছের ঝোল রেঁধেছি। টক দই পেতেছি।’ মনে মনে এরকম আরও কতো ভাবনা। মা বেঁচে আছেন অনুভূতিটাই অন্যরকম। নিজের ছায়ার সাথে নিজের সত্য-মিথ্যের লুকোচুরির খেলা।
এই মাসে হয়তো কোনো ট্যুরে যাওয়া হবে না। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় আমি ঘুরতে গিয়েছি। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। একজন অটোচালকের পুরো দেশ ভ্রমণ। কিভাবে সম্ভব? প্রথমেই বলেছি, মাসের প্রথম সপ্তাহের টাকা বাবাকে পাঠিয়ে দেই। শেষের সপ্তাহের তিন চার দিন ট্যুরে যাই। বাকী কয়দিন কাজ করি, টাকা জমাই। একটা গ্যারেজে ঘুমাই। পাশে একটা ঝুপড়ি হোটেল- সেখানে খাই। চা-পান-সিগারেট খাই না। খরচ শুধু থাকা খাওয়া। অটোটাও নিজের। গরু বিক্রির টাকা দিয়ে কিনেছি। প্রথমে চালাতে পারতাম না। পরে নিজেই শিখে নিয়েছি। যা পাই- তা নিজেরই থাকে।
প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঘুরতে বের হই। শুরুতেই সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ি গ্রামে। যেখানে আমার প্রতি মাসেই যাওয়া হয়। তারপর অন্য কোথাও। হয়তো কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। যেখানে মানুষ বারবার যায়। সেখানে ঘুরতে যায় না- সেখানে একটা মায়া থাকে। ঠিক ধরেছেন, একবার এসেছিলাম ঘুরতে। তারপর থেকে আসি দেখতে। পাহাড়ি মেয়ে। পাহাড়ের মতোই উদার তার হৃদয়। হরিণীর মতো মায়াভরা ডাগর ডাগর চোখ। যেদিন থেকে আমি ওই চোখের মায়া দেখেছি সেদিন থেকে জীবনের সব মায়া ত্যাগ করে তাকে ভালোবাসতে শিখেছি। এতো কোমলতা, এতো লাবন্যতা, এতো সরলতা, এতো মায়াভরা দৃষ্টি, এতো আদুরে মুখ এর আগে আমি কখনো দেখিনি। বারবার ছুটে এসেছি এই বুনো পাহাড়ির ধারে।
ভেবেছিলাম বাকীটা জীবন তাকে নিয়ে কাটিয়ে দিব। কিন্তু তা আর পারলাম কয়? পারিনি। সে গত সপ্তাহে আকাশের তারা হয়ে গেছে অথবা কর্পূরের মতো বাতাসে মিলিয়ে গেছে। সে এখন ইহজাগতিক মায়া ত্যাগ করে অপার্থিব মায়া হয়ে গেছে। এতো সতেজ গাছপালা আর বন জঙ্গল সেখানে হয়তো প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের বোমা বিস্ফোরিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সে বাতাস থেকে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডার ম্যানেজ করে অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল সে। তাদের গ্রামটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম হওয়ায় চারপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাসের এই মারাত্মক বিপদজনক ধরণটি।
এতক্ষন যার গল্প করছি তার নাম হয়তো আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে। এই পৃথিবীকে যে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে তার নামটা না হয় গোপনই থাক। তবে তার একটি নাম ধরা যাক। সে যেহেতু আকাশের বাসিন্দা হয়ে গেছে তার নামটা আকাশ থেকেই নেই। তার নাম দিলাম ধ্রুবতারা। ধ্রুবতারা উত্তর আকাশে থাকে। তার বাড়িও উত্তরে। সব তারা রাতে সরতে সরতে পশ্চিম আকাশে এসে একটা সময় অস্ত যায়। কিন্তু ধ্রুবতারা কখনো অস্ত যায় না। সে আমার হৃদয় আকাশে অম্লান-অক্ষয় হয়ে থাকবে। অকূল সমুদ্র যাত্রাপথে ধ্রুবতারা রাতের অন্ধকারে নাবিককে যেমন পথ দেখায়। সেও আমায় ভুল যাত্রা পথ শোধরে সঠিক পথ দেখাবে।
প্রতিটা মানুষের স্বপ্নের একটা গাছ থাকে। সেখান থেকে ডালপালা ভেঙ্গে গেলে আবার গজায়। কিন্তু মূল গাছটি উপড়ে উঠে গেলে, আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না। আমার মনে হয় আমার স্বপ্নের গাছটি মরে গেছে। আজকাল কোন কিছুতেই মন বসছে না। সব কিছুতে কেমন যেন একটা অনাসক্তি ভাব চলে এসেছে। একজন ক্রেতা এসেছে। অটোরিকশাটি বেঁচে দিব। বাবার সাথে কথা বলে গ্রামের দুটো জমি বন্ধক দিয়েছি। অটোরিকশা ও জমি বন্দকের টাকা দিয়ে একটি সিএনজি কিনবো। সিএনজির সামনে বড় করে লেখা থাকবে ‘ধ্রুবতারা’। এর নিচে একটু ছোট করে লেখা থাকবে ‘করোনা রোগী পরিবহনে সাথে আছি সপ্তাহে ২৪ ঘন্টা।’ চালক- আমি নিজেই।